রূপগঞ্জে স্পিনিং মিলে আগুন, ব্যাপক ক্ষতি

নিজস্ব সংবাদদাতা, রূপগঞ্জ ৩০ ডিসেম্বর ॥ নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে একটি রফতানিমুখী স্পিনিং মিলে ভয়াবহ অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটেছে। ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট কাজ চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। আগুনে তুলা, সুতা, ম্যাশিনারিজসহ মালপত্র পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে, কোন প্রকার হতাহতের সংবাদ পাওয়া যায়নি। রবিবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে উপজেলার কাতরার চক এলাকার নান্নু স্পিনিং মিলে ঘটে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নান্নু স্পিনিং মিলে কয়েক হাজার শ্রমিক কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন। রবিবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে হঠাৎ করে মিলের এক পাশে আগুন ধরে যায়। মুহূর্তের মধ্যে তুলা ও সুতায় আগুন ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। এ সময় মিলে থাকা কর্মরত শ্রমিকরা মিলের ভেতর থেকে বেরিয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে আগুনের লেলিহান শিখা ও ধোয়া ১০০ থেকে ২০০ ফুট উপড়ে উঠে যায়। এ সময় আশপাশের এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে আড়াইহাজার থানা, ডেমড়া, হাজীগঞ্জ, কাঞ্চন ও নারায়নগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট প্রায় ৫ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলামসহ সেনাবাহিনী, র‌্যাব, বিজিবি, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। আগুনে মিলের তুলা, সুতা, ম্যাশিনারিজসহ মালপত্র পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে করে মিলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে কি পরিমাণ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা কর্তৃপক্ষ জানাতে পারেনি। এদিকে, আগুন লাগার সুযোগে একটি চোর চক্র মিলের ভেতরে ঢুকে লুটপাট শুরু করে বলে অভিযোগ করেন মিল কর্তৃপক্ষ। এতে বাধা দিলে মিলের দায়িত্বরত কর্মকর্তা মিল্কি চাকমার ওপর হামলা চালানো হয়। এক পর্যায়ে মিলের ব্যবহৃত একটি প্রাইভেটকার ভাংচুর করে ওই চক্রটি। পরে পুলিশ ধাওয়া দিলে তারা পালিয়ে যায়। মিলের নির্বাহী কর্মকর্তা শিপলু জানান, মিলের কিছু অংশ চালু ছিল। তারা নির্বাচনী কাজে ছিলেন। হঠাৎ করে আগুন লাগার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বলা যাচ্ছে না। তবে, সময় মতো শ্রমিক-কর্মচারীরা মিল থেকে বের হওয়ায় কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। কাঞ্চন ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান জানান, সর্ব প্রথম তারা ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছান। সময়মতো ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা চেষ্টা না করলে আশপাশের মিল কারখানায় আগুন ছড়িয়ে আরও বড় ধরনের ভয়াবহ অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটত। তবে, আগুনের সুত্র কিভাবে হয়েছে, তা এখনও নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না।