ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

জামায়াত নেতারা প্রার্থী হবেন জানলে দায়িত্ব নিতাম না ॥ ড. কামাল

প্রকাশিত: ০৫:৫৩, ২৮ ডিসেম্বর ২০১৮

জামায়াত নেতারা প্রার্থী হবেন জানলে দায়িত্ব নিতাম না ॥ ড. কামাল

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে ঐক্য গড়ে নিজেই এখন অনুসূচনায় ভুগছেন ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন। তাই এবারের আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকে জামায়াত নেতাদের মনোনয়ন দেয়া বোকামি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। তিনি বলেন, জামায়াত নেতারা ধানের শীষ নিয়ে প্রার্থী হবে জানলে ঐক্যফ্রন্টের দায়িত্ব নিতাম না। বুধবার ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি এই দাবি করেন। সাক্ষাতকারটি বৃহস্পতিবার প্রকাশিত হয়েছে। এরপর পরই কামাল হোসেনের বক্তব্য নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে শুরু হয়েছে তোলপাড়। ১৩ অক্টোবর জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ঘোষণা করেন তিনি। এরপর পরই দেশজুড়ে কামাল হোসেনকে নিয়ে নানা সমালোচনা শুরু হয়। বিভিন্ন মহল থেকে দাবি ওঠে বিএনপি-জামায়াতের প্লাটফরম থেকে সড়ে দাঁড়ানোর। কারণ ঐক্যফ্রন্ট গঠনের আগে তিনি জামায়াত ইস্যুতে সবচেয়ে বেশি বিরোধিতা করেছিলেন। প্রায় আড়াই মাসের মাথায় সম্পর্কের মনস্তাত্ত্বিক টানাপোড়েন ও অনুসূচনা শুরু হয়েছে ড. কামালের মধ্যে। অনেকেই মনে করেন, বিষয়টি আঁচ করতে পেরেই হয়ত তিনি ভোটে প্রার্থী হননি। নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধন বাতিল হওয়া জামায়াতে ইসলামীর ২২ নেতার বিএনপির প্রতীকে নির্বাচনে মনোনয়ন পাওয়ার বিষয়ে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রশ্নের জবাবে কামাল হোসেন বলেন, ‘দুঃখের সঙ্গে আমাকে বলছে হচ্ছে জামায়াত নেতাদের মনোনয়ন দেয়াটা বোকামি। আমি লিখিত দিয়েছি যে, জামায়াতকে কোন সমর্থন দেয়া এবং ধর্ম, মৌলবাদ, চরমপন্থাকে সামনে আনা যাবে না।’ তিনি আরও বলেন, ‘যদি জানতাম জামায়াত নেতারা বিএনপির প্রতীকে নির্বাচন করবেন, তাহলে আমি এতে যোগ দিতাম না। কিন্তু ভবিষ্যত সরকারে যদি জামায়াত নেতাদের কোন ভূমিকা থাকে, তাহলে আমি তাদের সঙ্গে একদিনও থাকব না। ভারতের সঙ্গে বিএনপির সম্পর্কের বিষয়ে ড. কামাল বলেন, ভারতকে বিএনপি বলেছে, তারা ভুল ছিল। খালেদা জিয়া যখন ভারত গেলেন, তখন তিনি তাদের এটা বলেছেন। এটা তাদের ভুল উপলব্ধির প্রক্রিয়ার অংশ, খালেদা জিয়া নিজেদের অবস্থান সংশোধন শুরু করেছেন। ক্ষমতায় গেলে প্রধানমন্ত্রী হবেন কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে কামাল হোসেন বলেন, ‘আমি, হ্যাঁ বা না বলব না। কিন্তু গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় কোন পদ ও বেতন ছাড়াই কাজ করতে আগ্রহী। নির্বাচনের বিষয়ে কামাল হোসেন বলেন, ‘আমি ভোটের দিনের অপেক্ষায় আছি। ভোটের দিন একটি স্বাধীনতার দিন। যদি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হয় তাহলে তা হবে দ্বিতীয় স্বাধীনতা দিন। এখন গণতন্ত্র বিপদগ্রস্ত। যদি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়, তাহলে স্বাধীনতা অর্থপূর্ণ হবে।’ দেশের পুলিশ ও প্রশাসনে দলীয়করণের অভিযোগের প্রসঙ্গে কামাল হোসেন বলেন, ‘পুলিশের দিকে দেখুন তারা কী করছে?’ পুলিশ এখন দলীয় লাঠিয়ালে পরিণত হয়েছে বলেও ড. কামাল হোসেন অভিযোগ করেন।
×