ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বগুড়ায় নির্বাচনে বড় ভূমিকা রাখবে নতুন ও তরুণ ভোটার

প্রকাশিত: ০৬:০৬, ২৬ ডিসেম্বর ২০১৮

বগুড়ায় নির্বাচনে বড় ভূমিকা রাখবে নতুন ও তরুণ ভোটার

সমুদ্র হক ॥ বগুড়ায় এবারের নির্বাচনে বড় ভূমিকা পালন করতে যাচ্ছে নতুন ও তরুণ ভোটার। অথচ কোন আসনের প্রার্থীগণ এই ভোটারদের হিসাবের মধ্যে আনছেন না। এই ভোটাররা যে প্রার্থীর দিকে অতিমাত্রায় ঝুঁকে পড়বে ভোটের হিসাব সেই দিকে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। এমনটি আঁচ করা যায় নতুন ভোটারদের সাইন ও বডি ল্যাঙ্গুয়েজে। লক্ষ্য করা যায়, এই নতুন ও তরুণ ভোটারদের বেশিরভাগই শিক্ষিত। অনেকেই উচ্চশিক্ষিত। তাদের বৃদ্ধাঙ্গুলে এবারই প্রথম অমোছনীয় কালির দাগ পড়বে। এবারই প্রথম ব্যালট পেপার হাতে পেয়ে গোপন কক্ষে গিয়ে সিল দেবে। তাদের জীবনের প্রথম ভোট প্রদান দিয়ে শুরু হবে নাগরিক দায়িত্ব পালন। এই ভোটাররাই প্রার্থীদের বিজয়ে ভোট প্রদান করে এগিয়ে দেবে। একাদশ সাধারণ নির্বাচনে যাদের বয়স ১৮ বছর ও বেশি তারা ভোটার। দশম সাধারণ নির্বাচনে যাদের বয়স ১৫ থেকে ১৭ বছরের মধ্যে ছিল তারাও ভোটার। এই সংখ্যাটি একেবারে কম নয়। নির্বাচন কমিশন জানাচ্ছে, বগুড়ার ১২টি উপজেলার ৭টি আসনে ভোটার বেড়েছে প্রায় ২ লাখ ৩৬ হাজার। দশম সাধারণ নির্বাচনে বগুড়ায় ভোটার ছিল ২৩ লাখ ১০ হাজার ৫শ’ ৪৭ জন। নারী পুরুষের সংখ্যানুপাত ছিল ৫০ : ৫৮। একাদশ সাধারণ নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ২৫ লাখ ৪৬ হাজার ৭শ’ ৮৯ জন। এবার এই অনুপাত নারী পুরুষের সমতায় এসে দাঁড়িয়েছে ৫০ : ৫০। যে ধারাহিকতায় নতুন ভোটারদের মধ্যে তরুণ তরুণীর আনুপাতিক হার প্রায় একই। বগুড়ার সাতটি আসনের মধ্যে বেশি ভোটার বেড়েছে বগুড়া-৫ (শেরপুর-ধুনট) এবং কম ভোটার বেড়েছে বগুড়া-২ (শিবগঞ্জ) আসনে। নারী পুরুষের এই সমতায় নতুন ও তরুণ ভোটারের পাশাপাশি নারী ভোটারদেরও গুরুত্ব অনেক বেশি। বগুড়া সদর আসনের সাবগ্রাম এলাকার কয়েক তরুণ অনুযোগের সুরে বললেন, তারা প্রার্থীদের চেনেন। কেউ তাদের গুরুত্ব দেয় না। জনসংযোগ করার সময় তারা কাছে থাকলেও তাকায় না। ব্যতিক্রমী প্রার্থী হলেন সিপিবির আমিনুল ফরিদ। কাস্তে প্রতীকে তিনি লড়ছেন। তরুণদের দেখলেই এগিয়ে গিয়ে ছোট ভাই সম্মোধন করে কাছে টেনে নেন। সোনাতলা এলাকার কয়েক তরুণ বললেন, তারা প্রযুক্তিকে আপন করে নিয়েছে। সুতরাং যে সরকার প্রযুক্তির অগ্রসরতা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে তরুণরা তার পক্ষেই। এদিকে বগুড়ার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে লোকজনের সঙ্গে কথা বলে যে মনোভাব পাওয়া যাচ্ছে তাতে বেশিরভাগ মানুষের মধ্যে বলাবলি- যে সরকার আছে ভোটে ফের তারাই আসবে। এই মনোভাবের কারণে বগুড়ার গ্রামে নির্বাচন কেন্দ্রিক যে ধরনের আনন্দ থাকে যেমন, এ বাড়ি ও বাড়ি যাওয়া আসা, গৃহস্থ ও কিষাণ বাড়ির উঠানে প্রার্থী ও প্রার্থীদের কর্মীর আগমনে কিছুটা সময় উচ্ছ্বাস তা প্রায় অনুপস্থিত। যেটুকু আছে তা শুধুই কুশলাদি বিনিময়।
×