ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

‘শাকিল ছিলেন প্রাণপ্রাচুর্যে ভরপুর’

প্রকাশিত: ০৫:৪৮, ২১ ডিসেম্বর ২০১৮

  ‘শাকিল ছিলেন প্রাণপ্রাচুর্যে  ভরপুর’

স্টাফ রিপোর্টার ॥ প্রাণপ্রাচুর্যের ভরপুর এক মানুষ ছিলেন মাহবুবুল হক শাকিল। যে কোন আয়োজনে হয়ে থাকতেন মধ্যমণি। একইভাবে বৃহস্পতিবার না থেকেও তিনি হয়ে উঠলেন অনুষ্ঠানের মধ্যমণি। শারীরিক উপস্থিতি না থাকলেও বিশিষ্টজনদের আলোচনায় উঠে এলেন সবার প্রিয় শাকিল। এদিন তার ৫০তম জন্মবার্ষিকী। এ উপলক্ষে মাহবুবুল হক শাকিল সংসদ আয়োজন করেন জন্মোৎসবের। আলোচনা আর কবিতার আশ্রয়ে ভালবাসা জানানো হলো তাকে। বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ আয়োজনে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান। বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক ও মাহবুবুল হক শাকিল সংসদের সভাপতি কবি হাবীবুল্লাহ সিরাজীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন মাহবুবুুল হক শাকিলের পিতা এ্যাডভোকেট জহিরুল হক খোকা। আরও বক্তব্য রাখেন অনুষ্ঠানে বাচিকশিল্পী আহকাম্্ উল্লাহ, প্রকাশক ওসমান গনি, শিশু একাডেমির পরিচালক আনজীর লিটন, গীতিকার আসিফ ইকবাল, ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সঞ্জিত চন্দ্র দাস ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসাইন প্রমুখ। অনুষ্ঠানে কবি স্নিগ্ধা বাউলকে প্রদান করা হয় মাহবুবুল হক শাকিল পদক-২০১৮। পুরস্কার হিসেবে তাকে প্রদান করা হয় এক লাখ টাকার চেক, ক্রেস্ট ও শংসাবচন। এছাড়াও শাকিলের স্ত্রী এ্যাডভোকেট নিলুফার আনজুম পপি ও মেয়ে জাকিয়া রুবাবা মৌমিকে নিয়ে আগামী প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত মাহবুবুল হক শাকিল স্মারক গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন অতিথিরা। কাটা হয় জন্ম দিনের কেকও। জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান বলেন, শাকিল কবি ও রাজনীতিবিদ। সর্বোপরি একজন অনিন্দ্য সুন্দর মানুষ। সে ছিল সদালাপী ও বিনয়ী। মানুষকে সহজে আপন করে নেয়ার মতো গুণাবলী ছিল। পরকে আপন করে নেয়ার যে গুণাবলী তার মধ্যে ছিল, সেটিই তাকে সবচেয়ে বেশি আকৃষ্ট করে। ছেলের স্মৃতিচারণে শাকিলের বাবা জহিরুল হক খোকা বলেন, এই দিনটি আমার জন্য অত্যন্ত আনন্দের একই সঙ্গে বিষাদের। তবে আমি আনন্দ নিয়েই থাকতে চাই। শৈশব থেকেই শাকিল মেধাবী ও সংবেদনশীল মনের অধিকারী ছিল। রাজনীতি থেকে সাহিত্যাঙ্গনে প্রবেশ করেছে। সাহিত্যের বিশাল এই সমুদ্রে শাকিল খুব একটা ঢেউ তুলতে না পারলেও কিছুটা আলোড়ন তুলতে পেরেছিল বলেই আমি মনে করি। সবকিছুর বহির্প্রকাশ করা যায়। কিন্তু ভালবাসার প্রকাশ করা যায় না। সাংস্কৃতিক পর্বে আবৃত্তি পরিবেশন করেন লায়লা আফরোজ, রিকি হায়দার আশা ও সাদিয়া মীম। মাহবুবুল হক শাকিলের প্রিয় কবিতা হুমায়ূন আজাদের ‘ভালো থেকো’ আবৃত্তি করেন আহকাম্্ উল্লাহ্্। সবশেষে সাংস্কৃতিক পর্বে সঙ্গীত পরিবেশন করেন কমলিকা চক্রবর্তী, কিশোর, পারভেজ প্রমুখ।
×