ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সঙ্গে সর্দি-কাশি কোল্ড ডায়রিয়াসহ বাড়ছে শীতের রোগব্যাধি

জেঁকে বসেছে শীত- মাসের শেষ দিকে প্রথম শৈত্যপ্রবাহ

প্রকাশিত: ০৬:০২, ২০ ডিসেম্বর ২০১৮

জেঁকে বসেছে শীত- মাসের শেষ দিকে প্রথম শৈত্যপ্রবাহ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ পৌষের বৃষ্টিতে জেঁকে বসেছে শীত। দেশের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পার্থক্য দ্রুত হ্রাস পেয়েছে, যা শীতের তীব্রতা বাড়াতে সহায়ক ভূমিকা রাখছে। মাসের শেষসপ্তাহে মৌসুমের প্রথম শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। শীতের তীব্রতা বাড়তে পারে। গত কয়েকদিন ধরে বেড়েছে শীতল বাতাসের প্রবাহ। সে সঙ্গে সর্দি-কাশি, কোল্ড ডায়রিয়া, শ্বাসকষ্ট ও নিউমোনিয়াসহ শীতজনিত রোগের প্রকোপও বেড়েছে। তীব্র শীতে ছিন্নমূল ও গরিবের কষ্টের সীমা থাকে না। বেড়েছে শীতবস্ত্রের দাম। রাজধানীতে সন্ধ্যার পর থেকে পরদিন সকাল পর্যন্ত অনুভূত হচ্ছে মাঝারি ধরনের শীত। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, দিনের তাপমাত্রা হ্রাস ও ঠাণ্ডা বাতাসে শীতের তীব্রতা বেড়েছে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রী সেলসিয়াসের নিচে না নামলেও দেশের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পার্থক্য হ্রাস পেয়েই চলেছে। এ পার্থক্য যতই হ্রাস পাবে শীতের তীব্রতা ততই বাড়বে। গ্রামাঞ্চলে কুয়াশায় জলীয় বাষ্প উপরে উঠতে পারছে না। শিশির ভেজা মাটি শুকিয়ে যাওয়ার সুযোগ থাকছে না। মাঝে মধ্যে সূর্য দেখা গেলেও উত্তাপ থাকে না। দিনের অধিকাংশ সময় কুয়াশার চাদরে মোড়া থাকে আকাশ। এ অবস্থা জানুয়ারি পর্যন্ত চলতে পারে। জানুয়ারিতে এক পর্যায়ে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ সৃষ্টি হবে। সে সময় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬ থেকে ৪ ডিগ্রী সেলসিয়াসের মধ্যে থাকতে পারে। আবহাওয়া অফিস জানায়, বাতাসের তাপমাত্রা ৬ থেকে ৮ ডিগ্রীর মধ্যে হলে মাঝারি এবং ৮ ডিগ্রীর চেয়ে বেশি থেকে ১০ ডিগ্রী সেলসিয়াসের মধ্যে হলে তাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বলে। আর তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রীর নিচে হলে তাকে বলে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ । আজ বুধবার পৌষের ৫ তারিখ। আবহাওয়া অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল দিনাজপুরে ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস। একদিন আগে এই তাপমাত্রা ছিল ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস। বুধবার ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৬ দশমিক ২ ডিগ্রী যা মঙ্গলবার ছিল ১৭ দশমিক ৮ ডিগ্রী। আবহাওয়া অধিদফতর আরও জানায়, জানুয়ারিতে দেশের উত্তর, উত্তর-পূর্বাঞ্চল, পশ্চিম ও মধ্যাঞ্চলে এক থেকে দুটি মাঝারি ও তীব্র শৈত্যপ্রবাহ ও অন্যত্র দুই থেকে তিনটি মৃদু ও মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
×