ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে জোট-মহাজোটের লড়াই

প্রকাশিত: ০৫:১১, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৮

 নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে  জোট-মহাজোটের লড়াই

মোঃ খলিলুর রহমান, নারায়ণগঞ্জ ॥ নারায়ণগঞ্জ-৫ (সদর-বন্দর) আসনে আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোটের প্রার্থী ও বিএনপির নেতৃত্বাধীন ঐক্যফ্রন্টের (২০ দলীয় জোট) প্রার্থীর মধ্যে প্রচার লড়াই বেশ জমে উঠেছে। এ আসনটি নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১১নং ওয়ার্ড থেকে ২৭নং ওয়ার্ড, সদর উপজেলার গোগনগর ও আলীরটেক ইউনিয়ন ও বন্দর উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন এলাকা পড়েছে। শীতলক্ষ্যা নদীর পূর্ব পাড়ের বন্দর উপজেলা ও পশ্চিম পাড়ের শহর এলাকা রয়েছে। এ আসনে এবার মহাজোট থেকে জাতীয় পার্টির বর্তমান সংসদ সদস্য একেএম সেলিম ওসমানকে প্রার্র্থী করা হয়েছে। তিনি লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে লড়ছেন। তিনি শহর ও বন্দর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে নির্বাচনী মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। তিনি নির্বাচনী সভা, গণসংযোগ, উঠান-বৈঠকে ব্যস্ত সময় পার করছেন। সেলিম ওসমান শুক্রবার বন্দরের সমরক্ষেত্রসহ বিভিন্ন এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়েছেন। এ আসনটি ২০০৮ ও ২০১৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মহাজোটের জাতীয় পার্টির দখলে ছিল। ২০০৮ সালে এ আসনে মহাজোট থেকে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য একেএম নাসিম ওসমান সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এ আসনে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মহাজোটের কারণে আওয়ামী লীগ জাতীয় পার্টিকে আসনটি ছেড়ে দেয়। ফলে তখন এ আসনে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য একেএম নাসিম ওসমান পুনরায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। একেএম নাসিম ওসমানের মৃত্যুর পর তার ভাই বিকেএমইএর সভাপতি একেএম সেলিম ওসমান উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য এসএম আকরামকে পরাজিত করে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও সেলিম ওসমানের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হয়েছেন এসএম আকরাম। এ আসনে এবার বিএনপি তাদের কোন নেতাকে ধানের শীষের প্রার্থী করেননি। বিএনপির শরিকদল ঐক্যফন্ট থেকে নাগরিক ঐক্যের উপদেষ্টা এসএম আকরামকে ধানের শীর্ষ প্রতীক দিয়েছেন। এ আসনে ধানের শীর্ষ প্রতীক নিয়ে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এসএম আকরাম প্রচারণার মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। প্রচার শুরু হওয়ার পর থেকেই গণসংযোগ, উঠান বৈঠক ও পথসভায় তিনি মিলিত হচ্ছেন। এস এম আকরাম শুক্রবার জুমার নামাজের পর বন্দর উপজেলার কদম রসুলসহ বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ করেন। এস এম আকরাম ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগের নৌকার টিকেটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। পরে তিনি আওয়ামী লীগ থেকে পদত্যাগ করে মাহমুদুর রহমান মান্নার নাগরিক ঐক্যে যোগ দেন। এসএম আকরাম এখন নাগরিক ঐক্যের উপদেষ্টা পদে আছেন। গত রবিবার নির্বাচনী প্রতীক বরাদ্দের পর থেকেই শুরু হয় নির্বাচনী প্রচার। এরপর থেকেই এ আসনে মহাজোট ও জোট প্রার্থীরা নির্বাচনী মাঠে লড়াই করছেন। এ আসনের মহাজোট থেকে লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য একেএম সেলিম ওসমান বলেন, আমার থেকে বড় আওয়ামী লীগার আর নেই। আমার সঙ্গে জনগণ, ভবিষ্যত প্রজন্ম, আওয়ামী লীগের কর্মীরা, বিএনপির নেতাকর্মীরা, পেশাজীবী ও ব্যবসায়ীসহ সবাই আছেন। ইনশাল্লাহ জয় আমাদের সুনিশ্চিত। বিএনপি তথা ঐক্যফ্রন্টের (নাগরিক ঐক্য) প্রার্থী (ধানের শীর্ষ প্রতীক) এস এম আকরাম বলেন, জোটের সকল দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে আমার যোগাযোগ হয়েছে। তারা আমার সঙ্গে আছেন। যদি সুষ্ঠু নির্বাচন হয় তবে আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর কোন খবরই থাকবে না।
×