ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ড. কামাল এখন তারেক রহমানের নির্দেশ ছাড়া কথাও বলেন না

প্রকাশিত: ০৬:১২, ৭ ডিসেম্বর ২০১৮

ড. কামাল এখন তারেক রহমানের নির্দেশ ছাড়া কথাও বলেন না

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ প্রবীণ রাজনীতিক ড. কামাল হোসেনরা বিএনপির রাজনীতির কাছে ‘আত্মসমর্পণ করেছেন’ মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গড়ে ‘বাঘা বাঘা’ নেতারা এখন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন তারেক রহমানের নির্দেশে পরিচালিত হচ্ছেন। আর ড. কামাল হোসেন এখন নেতা নন, নির্বাচনও করছেন না। তাহলে তাদের নেতা হচ্ছে পলাতক, দ-িত আসামি তারেক রহমান। তার নির্দেশ ছাড়া কামাল হোসেন সাহেব এখন কথাও বলেন না। বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগের এক যৌথ সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরও জানান, দল থেকে যারা মনোনয়ন পেয়েছেন আগামীকালের (শুক্রবার) মধ্যেই তারা চূড়ান্ত চিঠি পেয়ে যাবেন। বৃহস্পতিবার থেকে দলীয় মনোনয়নের চূড়ান্ত চিঠি দেয়া শুরু এবং যারা দলের মনোনয়ন পেয়েছেন তারা শুক্রবারের মধ্যে চিঠি পেয়ে যাবেন। ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, তারেক রহমানের নির্দেশে কামাল হোসেন, কাদের সিদ্দিকী, মাহমুদুর রহমান মান্না, মোস্তফা মহসিন মন্টুরা পরিচালিত হচ্ছেন। হায় রে কি লজ্জা! বাংলাদেশের জনগণ কি এত বোকা? এই মানুষগুলোর অসহায় আত্মসমর্পণ খুনীর কাছে, দুর্নীতির কাছে। কামাল হোসেনের নেতৃত্বে গঠিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে বিএনপির পাশাপাশি ডাকসুর সাবেক ভিপি মাহমুদুর রহমান মান্না ও সুলতান মোহাম্মদ মনসুর ও কাদের সিদ্দিকীর মতো নেতারা রয়েছেন। এটা ভাবলেও দেশের মানুষ অবাক হন। আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ‘ষড়যন্ত্র’ হচ্ছে মন্তব্য করে এ বিষয়ে নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আওয়ামী লীগ বিরোধী শক্তির কাছে রাজনীতির একটা বড় অস্ত্র আছে, সেটা হলো ষড়যন্ত্রের হাতিয়ার। এই হাতিয়ার আবার ব্যবহার হতে পারে, সতর্ক থাকতে হবে। আবার নাশকতা করতে পারে, সহিংসতা করতে পারে। শুরুটা তারাই করেছে। তফসিলের পর পল্টনে নারকীয় তা-ব। এটা যারা করতে পারে, তারা দেশে-বিদেশে নানা ষড়যন্ত্রের পাঁয়তারা করেছে। তারা তো কেন্দ্র পাহারা দেবে, আর আমাদের কেন্দ্র রক্ষা করতে হবে। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ‘ভরাডুবি হবে’ বলে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মন্তব্যের সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, মির্জা ফখরুল আওয়ামী লীগকে ৩০ আসনের বেশি দিতে চান না। অথচ তারা ২০০৮ সালে পেয়েছিলেন ২৯ সিট। আমরা কিন্তু ক্ষমতায় থেকে প্রতিপক্ষকে এত সিট দেব- এই অহঙ্কারী উচ্চারণ একবারও করিনি। ক্ষমতার মালিক আল্লাহপাক, তারপর দেশের জনগণ। জনগণই ঠিক করবে কাকে কত সিট দেবে। মির্জা ফখরুল ইসলামের উদ্দেশে প্রশ্ন রেখে ওবায়দুল কাদের বলেন, ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আপনি কখন শিখলেন জ্যোতির্বিদ্যা? বারবার খালি সংখ্যাতত্ত্ব ১০টি, ২০টি। আপনার নেত্রী (খালেদা জিয়া) বলেছিলেন, আওয়ামী লীগ ১০০ বছরেও ক্ষমতায় আসতে পারবে না। এবারও তো ১০ বছর ছুঁই ছুঁই। যতই আস্ফালন করবে ততই পতন ঘটবে। সভায় দল ও জোটের মনোনয়ন প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমাদের দলের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল দলের এবং জোটের মনোনয়ন প্রক্রিয়া শেষ করা। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ইতোমধ্যে দলের এবং জোটের মনোনয়ন প্রক্রিয়া শেষ করেছি। আজকালের মধ্যেই চিঠি দিয়ে দেব। আগামীকাল (শুক্রবার) মনোনয়নপ্রাপ্তরা চিঠি পাবেন আশা করি। আর শরিকদের সঙ্গেও বোঝাপড়া হয়ে গেছে। আমরা একটা সমঝোতা করতে পেরেছি। মনোনয়ন নিয়ে শরিকদের সঙ্গে টানাপোড়েন দেখতে পাইনি। যাদের মহাজোট মনোনয়ন দিয়েছে আমি শতভাগ আশাবাদী বিপুল ভোটে বেশিরভাগ আসনে আমরা বিজয়ী হব।
×