ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০৮ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১

কেন রে উল্টা বুঝিলি রাম

প্রকাশিত: ০৪:২৯, ৩ ডিসেম্বর ২০১৮

  কেন রে উল্টা বুঝিলি রাম

একাদশ সংসদ নির্বাচনের সময় দ্রুত ঘনিয়ে আসছে। আর ২৬ দিন পর ভোট গ্রহণ। কে জেতে, কে হারে সে নিয়ে নানা জল্পনাকল্পনা চলছে ভোটারসহ নানা স্তরের জনগণের মধ্যে। অবাধ, সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নির্বাচনের লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়েছে। গুরুদায়িত্ব কাঁধে তাদের। কিন্তু নির্বাচন ঘিরে কৌশল, ষড়যন্ত্র চলছেই দেশে-বিদেশে। নির্বাচন ভ-ুল করে দেয়ার লক্ষ্য কারও কারও। কেউবা চায় নির্বাচনকে বিতর্কিত করে তুলতে। কেউ চাইছে গোলযোগ ঘটিয়ে নির্বাচন পিছিয়ে দিতে, যাতে দেশে সাংবিধানিক সঙ্কট হয়। আর রথী-মহারথীরা চাইছেন শেখ হাসিনার বিনাশ। তাদের এই চাওয়া-পাওয়ার নেপথ্যে রয়েছে নানা কিসিমের প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিবর্গ। দেশের মানুষ যখন নির্বাচনমুখী, তখন ষড়যন্ত্রকারীরা সচল গতিতে কৌশল কার্যকর করার জন্য নানা উছিলা খুঁজে বেড়াচ্ছে। ভরাডুবি হতে পারে এই আশঙ্কা থেকে বিএনপি-জামায়াতের নতুন ভাড়াটে নেতা ডক্টর কামাল হোসেন নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন না। ভোটারদের প্রতি বীতরাগ তিনি হতেই পারেন। কারণ কোন নির্বাচনেই তিনি জয়লাভ করতে পারেননি। জামানত হারানোর মতো লজ্জ্বাজনক অবস্থাকে তিনি বোধহয় আর মেনে নিতে পারছেন না। যে জনগণকে তিনি ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জন্য অজস্রবার আহ্বান জানিয়ে আসছেন সেই জনগণ ব্যালটে তাকে প্রত্যাখ্যান করে আসছে বার বার। এসব আর কাঁহাতক সহ্য করা যায়? এমনিতেই ধৈর্য, সহিষ্ণুতার ধারে কাছে তিনি যেতে চান না। অসহিষ্ণুতা আর অধৈর্যের মধ্যে বসবাস করে তিনি ক্রমশ ক্ষিপ্ত হতে থাকেন। ক্ষিপ্ত হলে তিনি আদালতে দাঁড়িয়ে এ্যাটর্নি জেনারেলকে ধমক দিয়ে অভব্য গালি দিতে পারেন। অথচ তিনি যখন গণফোরাম গঠন করেছিলেন নব্বই দশকের গোড়ায়, সে সময় বহু পথ ও মতের লোকজন তাকে কেন্দ্র করে জড় হয়েছিল নতুন কিছু পাওয়ার আশায়। বর্তমান এ্যাটর্নি জেনারেলও তাদের একজন ছিলেন। সেই পুরাতন সহযোদ্ধাকে তিনি যেভাবে, যে ভাষায় ধমক দিয়েছেন, তাতে তার অধৈর্য, অসহিষ্ণুতার মাত্রা পরিমাপ করা গেছে। আর ক্ষেপে গেলে তিনিও যে গালাগালি করতে জানেন, তার স্বাক্ষর রেখে গেছেন নানা সময়ে। আন্তর্জাতিক খ্যাতি যে মানুষকে সব সময় উচ্চাসনে বসাতে পারে না, তার নিদর্শন হিসেবে ডক্টর কামালকে উপস্থাপন করা যায়। রবীন্দ্রনাথের খ্যাপা খুঁজে ফিরত পরশ পাথর। কিন্তু আমাদের কামাল হোসেন খেপে গিয়ে মুখে যা আসে তা-ই বলেন আর খুঁজে ফেরেন শেখ হাসিনার বিনাশের পথ ও পন্থা। নিজের নাক কেটে অপরের যাত্রা ভঙ্গ করার প্রেরণায় আপ্লুত হয়ে তিনি সবকিছু তছনছ করে দিতে চান। নির্বাচনকে যে কোনভাবে তিনি প্রশ্নবিদ্ধ করতে চান। ‘নির্বাচিত দলীয় সরকারের অধীনে যে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়’- তা প্রমাণ করতে তিনি বদ্ধপরিকর। নিজে নির্বাচনে অংশ না নিয়ে বিএনপি-জামায়াতকে পুনর্বাসন করে বিজয়ী করার লক্ষ্যে তিনি একাগ্র হলেও কোন কলাকৌশলই বাস্তবতার রূপ পাচ্ছে না। বরং অনেক কৌশলই মাঠে মারা যাচ্ছে। এতে ক্ষোভের মাত্রা বাড়ছে। আর তা বাড়ছে বলেই উষ্মা প্রকাশ করছেন নির্বাচনকালীন সরকারের পাশাপাশি নির্বাচন কমিশন সম্পর্কে। এসবই তার ‘লীলাখেলা’র অন্তর্ভুক্ত বলা যায়। ভাল খেলোয়াড় না হয়েও তিনি খেলতে নেমেছেন। গোল হয়ত দিতে পারবেন না। কিন্তু খেলাকে ভ-ুল করে দিতে এক ধরনের সার্থকতা লাভ করতে তিনি সচেষ্ট। তার চেষ্টার কমতি নেই এই বার্ধক্যের কালেও। অন্ধের হস্তী দর্শন-এর মতো তিনি খালেদা-তারেক-জামায়াতকে ক্ষমতায় বসানোর জন্য যে গলদঘর্ম করছেন, তাতে কোন ফলোদয় হবে না কোনভাবেই। বিশ শতকের রাজনৈতিক চেতনা ও বোধ তাড়িত হয়ে একুশ শতকের ডিজিটাল বাংলাদেশে তিনি যেভাবে তড়পাচ্ছেন তাতে ছিটকে পড়ার সম্ভাবনা বেশ উজ্জ্বল। ধ্যানধারণায় পশ্চাৎপদ থাকলে আধুনিক মনমানসিকতা বিকশিত হতে পারে না। কামাল হোসেন তাই এখনও সত্তর দশকেই রয়ে গেছেন। সময় যে এগিয়ে গেছে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে, ধ্যানধারণা যে বদলেছে, সেসব তিনি ঘুণাক্ষরেও টের পান না। আমাদের সৌভাগ্য যে, আশী উর্ধ বয়স হলেও তিনি ‘আলঝেইমার’-এ আক্রান্ত নন। স্মৃতি ক্রমশ লোপ পায় না বলেই জামায়াতে ইসলামী নামক সাম্প্রদায়িক, যুদ্ধাপরাধী দলের নেতৃত্ব কাঁধে নিয়ে তাদের অন্ধ গহ্বর থেকে বের করে এনে আলোর পাদপীঠে রাখার জন্য জান বাজি রেখেছেন। একাত্তর সালে তিনি ‘পাকিস্তান ভাঙতে’ কিংবা স্বাধীন বাংলাদেশ চেয়েছেন এমন অবস্থানে ছিলেন না বলেই যুদ্ধাপরাধীদের জন্য প্রাণান্তকর শ্রম দিচ্ছেন। অনেকের কাছে এমনটা মনে হতেই পারে যে, একাত্তরে তার এবং জামায়াতের অবস্থান ছিল একসারি ও কাতারে। জামায়াতিরা যখন বাঙালী নিধনে ব্যস্ত, কামাল হোসেন তখন পাকিস্তানে শ্বশুরালয়ে নিশ্চিন্ত-নির্ভার জীবন যাপন করছিলেন। একাত্তর তিনি দেখেননি। পাকিস্তানী হানাদারদের গণহত্যা, বর্বরতা, অত্যাচার স্বচক্ষে দেখেননি; তাই সিমলা চুক্তিতে পাকিস্তানী যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিষয়টি ছাড় দিয়ে এসেছিলেন। মৌখিক আশ্বাস পেয়েছিলেন যে, ভুট্টো সরকার তাদের দেশে ফেরার পর বিচারের মুখোমুখি করবেন। কিন্তু ভুট্টো তা করেননি। কামাল হোসেন অদ্যাবধি এ নিয়ে কোন উচ্চবাচ্য করেননি। পাকিস্তানের প্রতি উষ্মা প্রকাশও করেননি। করার কথাও নয়। কারণ বিচার যাতে না হয়, তার সে মিশন সফল হয়েছিল। সম্ভবত এমন সাফল্য তার ঝুলিতে খুব একটা বেশি নেই। শেখ হাসিনার সরকার যখন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু করে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে তখন আইনজীবী হিসেবে তিনি সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেননি। বরং তার জামাতা বার্গম্যান এই ট্রাইব্যুনালকে প্রশ্নবিদ্ধ করে বিদেশী পত্রিকায় যেমন লিখেছেন তেমনি জামায়াতের অর্থায়নে লবিস্টের ভূমিকায় নেমেছিলেন। কামাল হোসেন এ কাজে বাধা দেননি। বরং সায় দিয়েছেন। তার জামাতা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে বল্গাহীন সব উক্তি করেছেন। শহীদদের সংখ্যা নিয়ে স্পর্ধা দেখিয়েছেন। জামাতার মাধ্যমে জামায়াতকে রক্ষার কৌশলে শ্বশুর-জামাতা মিলে যে মেলবন্ধন রচনা করেছিলেন তা ক্রমশ সবার কাছে স্পষ্ট হয়েছে। শেখ হাসিনার প্রতি তার বিদ্বেষের মাত্রা বিচার নিয়ে আরও বেড়েছে। শেখ হাসিনার গড়ে ওঠা আন্তর্জাতিক ইমেজ কামাল হোসেনকে দিনরাত এমনই পীড়িত করে যে, হাঁটু ব্যথার কথাও মনে আসে না। তাই শেখ হাসিনাকে মোকাবেলা করার জন্য তিনি তার হাতেগোনা লোকজনের সমন্বিত গণফোরাম নামক দলের হাতে ধানের শীষ তুলে দিয়ে বিষাক্ত, ক্লেদাক্ত পরিবেশ তৈরিতে নিমগ্ন আজ। দুর্নীতিবাজদের বগলে ঠাঁই নিতেও কসুর করেননি। ‘শেখ হাসিনার শেষ চাই’ তত্ত্ব মস্তিষ্কে ধারণ করে তিনি যেসব কর্মকা- চালাচ্ছেন, বাকচাতুর্য প্রকাশ করছেন, তাতে ভবি ভোলার নয়। বরং প্রহসনের বিভিন্ন অঙ্ক যেন মঞ্চায়িত হচ্ছে। খালেদা-তারেক-জামায়াতকে ক্ষমতায় বসানোর স্বপ্নে তাড়িত হয়ে তিনি মুক্তিযুদ্ধ, অসাম্প্রদায়িকতা, আইনের শাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করছেন। শেখ হাসিনার সঙ্গে সংলাপে তিনি এতই ¤্রয়িমাণ ছিলেন যে, দাবিদাওয়ার পক্ষে কোন ব্যাখ্যা, বিশ্লেষণ উপস্থাপন করতে পারেননি। শেখ হাসিনার সংবিধান সংক্রান্ত কোন প্রশ্নেরই সুষ্ঠু জবাব দিতে পারেননি। এই ব্যর্থতার ভার বইবার শক্তিকে লাঘব করার জন্য তিনি প্রায় প্রতিদিন ‘হেন করেঙ্গা, তেন করেঙ্গা’ মার্কা নানা কিসিমের কথাবার্তা বলছেন; যার আগা মাথা যারা খোঁজেন, তা বিফল মনোরথ দেখে নিন্দামন্দ করতেই পারেন তারা। তারেক রহমানের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে তিনি এখন মাঠে ‘হাল চাষ’ করছেন বিএনপি-জামায়াতের বীজ বপণ করে ফসল ফলানোর জন্য। সেই ফসলের ধান চিটায় পরিপূর্ণ হবে, সে বোধ বা খেয়াল তার যে রয়েছে, এমনটা মনে হয় না। তাই তারেক নির্দেশিত পথে নির্বাচনকে বিতর্কিত ও প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য সত্য-মিথ্যাকে একসঙ্গে গুলিয়ে জনগণকে খাওয়াতে চাইছেন। কিন্তু তথ্যপ্রযুক্তির এ যুগে জনগণ এসব গিলতে চায় না। কারণ, সব তথ্য এখন সহজলভ্য। গোপন কথাটি আর থাকছে না গোপনে। কামাল হোসেনের মনের কথা অবচেতনভাবে হলেও বেরিয়ে আসে মাঝেমধ্যে। তিনি বেফাঁস বলে ফেলেন অনেক কথাই। অবশ্য তিনি যা বিশ্বাস করেন তা কখনও বলেন না। আর যা বলেন তা কখনও বিশ্বাস করেন না। এই দোলাচলেই তিনি এতকাল ধরে রাজনীতির মাঠে কখনও ‘অফেন্সিভ’ কখনও ‘ডিফেন্সিভ’ খেলতে চেয়েছেন। কিন্তু কোথাও দক্ষতা দূরে থাক, সামান্য ‘পারফর্মেন্স ও দেখাতে পারেননি। এত অসফলতা ধারণ করার পরও সুবিধাবাদী লোকজন তাকে ব্যবহার করে বৈতরণী পার হতে চায়। তবে কেউ সফল হয়েছেন, এমন শোনা বা জানা যায় না। ব্যর্থকাম মানুষ অনেক সময় বিপজ্জনক কাজ করতে পারে। আর সেই কাজটাই এখন করছেন কামাল হোসেন। দেশ গোল্লায় যাক, তাতে তার কিছু যায়-আসে না। তিনি চান শেখ হাসিনাকে নিশ্চিহ্ন করতে। কিন্তু গত আড়াই দশকেও তা সম্ভব হয়নি। বরং শেখ হাসিনা আরও প্রতিভাত হয়েছেন দেশ ছাড়িয়ে বিদেশে। আর কামাল হোসেন ক্রমশ বিতর্কিত ও সুবিধাবাদী চরিত্রের বিস্তার ঘটিয়েছেন। দেশবাসী তার এই আচরণে হতাশই বলা যায়। কারণ, তারা এমন ‘খ্যাতিমান’ মানুষের কাছাকাছি যেতে না পারলেও, ধরেই নিচ্ছেন, তিনি চিন্তাচেতনা, দক্ষতা, যোগ্যতায় অনেক উঁচু মাপের। কিন্তু ঐক্যফ্রন্ট গঠনের পর জনগণ বুঝতে পেরেছে, কামাল হোসেন আসলে ফাঁপা বেলুন। ষড়যন্ত্রের কৌশল হিসেবে তারেকের নির্দেশে তিনি নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে গলা হাঁকিয়ে নানান কথা বলার পরও তাতে সাড়া পাননি। অবশেষে তিনি প্রধান নির্বাচন কমিশনারের প্রতি গোস্বা হয়েছেন। বলেছেন, সিইসিকে বদলি করার জন্য। যুক্তি দেখিয়েছেন, ‘আমরা প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে কথা বলে সন্তুষ্ট হতে পারিনি। আর তাই তার বদলে অন্যজনকে সেখানে আসীন করতে চাই।’ আরও বলেছেন, ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনারের ভূমিকা নিরপেক্ষ হচ্ছে না। তাই তার জায়গায় অন্য কাউকে নিয়োগ দেয়া হোক। আর তা না হলে, যা যা করার তাই করা হবে। তা না হলে কঠিন পদক্ষেপ নেয়া হবে।’ প্রচ্ছন্ন হুমকি বৈকি! অশীতিপর একজন আইনজীবী এভাবে হুমকি দিতে পারেন, ভাবা যায় না। এই হুমকি যদি তার দলের মহাসচিব মোস্তফা মহসীন মন্টু দিতেন, মেনে নেয়া যেত তার স্বভাবগত বৈশিষ্ট্যের কারণে। বিএনপির মুখপাত্র হয়ে কামাল হোসেন অতীতে যা বলেননি, এখন তা বলছেন। তার তো দেশের মানুষের মতো জানার কথা, বর্তমান নির্বাচন কমিশন কীভাবে গঠিত হয়েছে। রাষ্ট্রপতি সার্চ কমিটি গঠন করেছিলেন। সব রাজনৈতিক দল, পেশাজীবী, সুশীল সমাজের পরামর্শ নিয়েই তিনি তা করেছিলেন। বিএনপি, গণফোরামও তাতে অংশ নিয়েছিল। সবার প্রদত্ত নাম থেকে তিনি বাছাই করেছিলেন। কমিশনে বিএনপি, আওয়ামী লীগ ও অন্যদের প্রদত্ত প্রার্থীরাই ঠাঁই পেয়েছেন। সরকার বা সরকারী দলের পরামর্শে এ কমিশন হয়নি। বিএনপি দলীয় এক সাবেক সংসদ সদস্যের শ্বশুরও এই কমিশনে রয়েছেন। তেমনি রয়েছেন পেশাজীবী। নির্বাচন কমিশন পরিচালিত হয় কমিশনের সকল সদস্যের মতামতের ভিত্তিতে। সিইসি এককভাবে কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন না। এই কমিশন সংসদ উপনির্বাচন, স্থানীয় সরকার নির্বাচন করেছে হাঙ্গামা, হানাহানি, জালভোট ছাড়াই। বর্তমান কমিশন অযোগ্য প্রমাণিত হয়নি। বিতর্কিতও হয়নি। কিন্তু ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই সাংবিধানিক এই প্রতিষ্ঠানের প্রধানকে বদলি করতে চান। তবে এ জন্য তিনি রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন জানাননি। জনগণকে বিভ্রান্ত করতে চান বলেই তার এই অসংলগ্ন দাবিদাওয়া। কামাল হোসেন কখনই সহজ সাধারণ মানুষ ছিলেন না। বিএনপি-জামায়াতের কাঁধে সওয়ার হয়ে তিনি যা করছেন বা বলছেন, তা তাকে অতি সাধারণে পরিণত করছে। জনগণও তো বলতে পারে গণফোরাম বা ঐক্য ফোরামের নেতৃত্ব পদ হতে কামাল হোসেনকে ব্যর্থতা ও অযোগ্যতার কারণে বদলি করতে। কামাল হোসেনের আচার-আচরণ সেই প্রবাদকে মনে করায়, ‘কেন রে উল্টা বুঝিলি রাম’। কামাল হোসেনের পক্ষে আর সহজ-সরল পথে চলা সম্ভব নয়। ষড়যন্ত্রের ঘেরাটোপে আটকা পড়ে তিনি হয়ত এক সময় ‘আমায় কে নিবি ভাই’ বলে উদ্ধারের জন্য হাঁকডাক দিতে পারেন। জনগণই এখন সিদ্ধান্ত নেবে, উদ্ধার করাবে কিনা।
×