ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

নির্মিত হলো মুক্তিযুদ্ধের বিশেষ নাটক ‘ব্যানার’

প্রকাশিত: ০৩:৫৬, ২৭ নভেম্বর ২০১৮

নির্মিত হলো মুক্তিযুদ্ধের বিশেষ নাটক ‘ব্যানার’

স্টাফ রিপোর্টার ॥ উত্তরবঙ্গের অন্যতম জেলা শহর গাইবান্ধার বিভিন্ন লোকেশনে সম্প্রতি নির্মিত হয়েছে এক ঘণ্টার বিশেষ নাটক ‘ব্যানার’। মুক্তিযুদ্ধের গল্পভিত্তিক নাটকটি রচনা করেছেন প্রথিতযশা নাট্যকার ও পরিচালক শেখ সানিয়াত কবির বাবু। আর নাটকটি পরিচালনা করেছেন তরুণ নির্মাতা জি পি সাধন। ‘ব্যানার’ নাটকের প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন দেশ বরেণ্য অভিনয়শিল্পী মামুনুর রশীদ। আরও অভিনয় করেছেন পীরজাদা হারুন, শেলী আহসান, মাহমুদ আলম, সাজু মাহাদি, সেলজুক তারিক, মহসিন পলাশ, উর্মিলা শ্রাবন্তী করসহ আরও অনেকে। এছাড়া নাটকে স্থানীয় এক ঝাঁক মঞ্চশিল্পী অভিনয় করেছেন। নাটকের চিত্রগ্রহণ করেছেন আরমান হোসাইন। সহকারী পরিচালক হান্নান শাহ। নাটকটি আগামী বিজয়ের মাসে নাটকটি আরটিভিতে প্রচার হবে বলে জানা গেছে। ‘ব্যানার’ নাটকের গল্পে দেখা যাবে মেধাবী হলেও ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে গভীর ঘনিষ্ঠতা থাকায় পার্টির ব্যানার ফেস্টুন, চিকা লিখতে লিখতে কখন যে জীবনের মূল্যবান সময়টুকু পার করে দিয়েছে তা ইচ্ছে হলেও মনে করতে পারে না শিবুদা। ছাত্র জীবনে ভাল আঁকিয়ে ছিল শিবুদা। তাই পোস্টার, ব্যানার ও চিকার দায়িত্ব ছিল তার ওপর। নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্বটি পালন করতে গিয়ে চাকরির বয়সটা কখন যে পার করে ফেলেছে তা টের ই পায়নি শিবুদা। পরের জীবনে শৈলানী দেবীর ভালবাসার কাছে হার মেনে শিবুদা জীবন সংসারের পা রেখে বুঝতে পারে বাস্তবতা কত কঠিন। কোথাও ভাল চাকরি জোগার করতে না পেরে স্বাধীনচেতা শিবুদা প্রয়োজনের তাগিদে ব্যানার লিখে সংসারের খরচ মেটাতে থাকে। শত চেষ্টা করেও শিবুদা ব্যানার লেখার গ-ি থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি। এরই মধ্যে কন্যা সন্তানের জনক হওয়ায় দায়িত্বটা আরও ভারি হয়ে শিবুদার ঘারে চেপে বসে। এভাবেই চলছিল সংসার। সাহসী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা শিবুদা স্বাধীনতা যুদ্ধে তার অনেক অবদান থাকলেও মুক্তিযুদ্ধকে পুঁজি করে কোন বাড়তি সুবিধা না নেয়ার দলের একজন। পাশাপাশি মানুষের বিপদেও পাশে দাঁড়ায় বিভিন্নভাবে। স্ত্রী শৈলানী দেবীও শিবুদার দারিদ্র্যকে জয় করে, মেয়ে নদীকে নিয়ে হাসিমুখে নিঃশব্দে সংসারের হাল ধরে আছে। দুজন দুজনের প্রতি ভালবাসা প্রতিবেশীদের অবাক করে। এক সময় স্থানীয় লোকজন প্রতিবারের মতো বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে মুক্তিযোদ্ধা এবং পরোপকারী শিবুদাকে নির্বাচন করা হয়। মানসিকভাবে দেশপ্রেমিক ও সংস্কৃতিমনা শিবুদাও বিজয় দিবস উদ্যাপনে অভ্যস্ত। এ উপলক্ষে তার কাজের চাপও বাড়তে থাকে। তবে মাত্রাতিরিক্ত পরিশ্রম ও মেয়ে মাটির সেমিস্টারের টাকার চিন্তা শিবুদাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে দুর্বল করে দিতে থাকে। রাত ১২টা এক মিনিট থেকে বিজয় দিবসের দিন শুরু হবে। বিজয় দিবসের কাজগুলো শেষ করতে মরিয়া শিবুদা। তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে বিজয় দিবসের ব্যানার লিখতে লিখতে এক সময় ব্যানারের ওপর ঢলে পরে শিবুদা।
×