ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

রাতে হঠাৎ করেই ধানমণ্ডির আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রীর ভিডিওকল

প্রকাশিত: ০৭:৪১, ১ নভেম্বর ২০১৮

রাতে হঠাৎ করেই ধানমণ্ডির আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রীর ভিডিওকল

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ সত্যিই যেন ভিরমি খাওয়ার দশা। নির্বাচন সামনে, তাই প্রতিদিনই জমজমাট থাকে ধানমণ্ডির আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়। বুধবারও ছিল তেমনি। সেখানে থাকা নেতাকর্মীরা কিছুই জানতেন না। হঠাৎ নিজের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংযুক্ত হয়ে নেতাকর্মীদের চমক দেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার রাত আটটার দিকে ভিডিওকলের মাধ্যমে তিনি কার্যালয়ে থাকা নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথাও বলেন। আওয়ামী লীগের উপ-দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া জনকণ্ঠকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। সে সময় ধানমণ্ডির কার্যালয়ে থাকা একাধিক নেতা জনকণ্ঠকে জানান, সামনে নির্বাচন। তাই প্রতিদিনই রাজনৈতিক কার্যালয় জমজমাট থাকে। সন্ধ্যার পর একে একে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ছাড়াও সভাপতিমÐলীর সদস্য কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমানসহ অন্য নেতারা কার্যালয়ে আসেন। অনেক সিনিয়র নেতাই কার্যালয়ে এসে নিজেদের মধ্যে কথা বলেছেন। পরে তারাও চলে যান। তখনও কিছু কেন্দ্রীয় নেতা এবং সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের অনেক নেতাকর্মীই উপস্থিত ছিলেন। রাত আটটার দিকে ভিডিওকলের মাধ্যমে নিজ রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংযুক্ত হন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। হঠাৎ করেই টিভির পর্দায় ভেসে ওঠে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মুখ। সবাই যেন হতবাক। ভিডিওকলের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী সবার সঙ্গে কথা বলা শুরু করলে নেতাকর্মীদের মধ্যে অন্যরকম উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়। ভিডিওকলের মাধ্যমে সভাপতিমণ্ডলীর রুমে স্থাপিত টিভি স্ক্রিনে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দেন কার্যালয়ে কারা কারা আছে তাদের ডাক। নেত্রীর কণ্ঠস্বরে কার্যালয়ের স্টাফরা বুঝতে পারেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী ভিডিওকলে যুক্ত হয়েছেন। এতে সাড়া পড়ে যায় সভাপতির কার্যালয়ে। এ সময় কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে কার্যালয়ে অবস্থান করছিলেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, উপ-দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, কার্যনির্বাহী সদস্য আমিরুল আলম মিলন, মারুফা আকতার পপিসহ অন্যরা। তারা সবাই এ খবর পেয়ে দ্রæত ভিডিও স্কিনের সামনে সংযুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সালাম বিনিময় করেন। একে একে কার্যালয়ে অবস্থানরত স্টাফরাও ছুটে আসেন। এ সময় শেখ হাসিনা বলেন, শুধু দেশকে ডিজিটাল করলেই হবে না, নিজের দলকেও ডিজিটাল করতে হবে। আমি তো চাইলেই মানুষের ভোগান্তির কথা চিন্তা করে কার্যালয়ে যেতে পারি না। তাই নিজের কার্যালয় ডিজিটাল করেছি। যাতে যে কোন প্রান্ত থেকেই সংযুক্ত হয়ে যে কোন বিষয়ে কথা বলতে পারি। এখন থেকে নিয়মিতই ভিডিওকলে যুক্ত হওয়ার ইচ্ছা আছে। এ সময় উপস্থিত সকলে সালাম বিনিময় করেন এবং নেতাকর্মীরা ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগান দিলে অপর প্রান্ত গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও স্লোগান দিয়ে নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত করে তোলেন। এছাড়াও তিনি কার্যালয়ের স্টাফদের কার্যালয়টি যাতে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকে সে বিষয়েও নির্দেশ দেন। প্রসঙ্গত, গত জাতীয় সম্মেলনের আগে থেকেই আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়টি ডিজিটাইজড করার উদ্যোগ নেয়া হয়। সেই সুবাদে বুধবার প্রধানমন্ত্রী ডিজিটাল ডিভাইস ভিডিওকলে বড় পর্দায় সংযুক্ত হয়ে সংলাপের আগের সন্ধ্যায় আরেক চমক উপহার দিলেন।
×