ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সংস্কৃতি সংবাদ

আবারও মঞ্চে আরণ্যকের ইবলিশ

প্রকাশিত: ০৫:৪২, ৩১ অক্টোবর ২০১৮

আবারও মঞ্চে আরণ্যকের ইবলিশ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ দীর্ঘ বিরতির পর পুনরায় মঞ্চে ফিরল দর্শক সমাদৃত নাটক ‘ইবলিশ’। আরণ্যক নাট্যদলের ষষ্ঠ প্রযোজনা হিসেবে ১৯৮১ সালে মঞ্চে আসে ‘ইবলিশ’। প্রথম মঞ্চায়নের অল্পদিনের মধ্যেই নাটকটি জয় করে নেয় দর্শকের মন। শতাধিক মঞ্চায়নের পর বন্ধ হয়ে যায় দর্শকপ্রিয় নাটকটির প্রদর্শনী। দীর্ঘদিন পর গত বছর আরণ্যকের ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে অনুষ্ঠিত হয় নাটকটির একটি বিশেষ প্রদর্শনী। সেই মঞ্চায়নের মাঝে এক বছরের বিরতি শেষে মঙ্গলবার আবারও মঞ্চস্থ হলো ইবলিশ। এদিন সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার প্রধান মিলনায়তনে নাটকটির প্রদর্শনী হয়। নাটকটি রচনার পাশাপাশি নির্দেশনা দিয়েছেন মামুনুর রশীদ। তিন দশকেরও বেশি পুরনো নাটক ইবলিশ।। এত বছর পর প্রযোজনাটি কতটা প্রাসঙ্গিকÑএমন প্রশ্নের জবাবে নির্দেশক ও নাট্যকার মামুনুর রশীদ বলেন, নাটকটির প্রাসঙ্গিকতা এখনো ফুরিয়ে যায়নি, বরং প্রবলভাবে আছে।’ অভিনেতা আজিজুল হাকিমও নাটকটিকে সমসাময়িক মনে করছেন। নাটকে তালবেলেম চরিত্রে অভিনয় করছেন তিনি। আজিজুল হাকিম বললেন, ছাত্রজীবনে ইবলিশ করেছিলাম। এই নাটক নিয়ে আমরা আরণ্যকের কর্মীরা দিনের পর দিন একসঙ্গে কাটিয়ে দিতাম। সেই যোগাযোগ, আড্ডা ফিরে পেয়ে বেশ ভাল লাগছে।’ নাটকটির কাহিনীতে বাংলাদেশের আবহমান গ্রাম বাংলার চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। যেখানে দেখা যায়, মুষ্টিমেয় ভূস্বামী, বণিক, রাজপুরুষ, মোল্লা-পুরুতের নির্যাতনের চিত্র। যারা অর্থনৈতিক শ্রেণী বিন্যাসের দ্বারা কুক্ষিগত করে রেখেছে। বঞ্চিত জীবন কাটিয়ে দেয়া নির্যাতিত জনগোষ্ঠী মাঝে মধ্যেই ক্রোধের দাহ ও দ্রোহ জ্বলে উঠে। গ্রামের স্থির, নিশ্চল নিসর্গে লেগেছে ভাঙ্গনের পালা। কৃষিনির্ভর জীবন থেকে গ্রামভিত্তিক শিল্প গড়ে তুলতে চায় অনেকেই। কিন্তু প্রতিক্রিয়ার শক্তি চায় শিল্পকে শহরকেন্দ্রিক করে রাখতে। এই দ্বন্দ্বের মধ্য দিয়েই এগিয়ে যায় নাটকের কাহিনী। ইবলিশ নাটকে একাব্বর চরিত্রে অভিনয় করেছেন মামুনুর রশীদ, গরিবুল্লাহ চরিত্রে ফজলুর রহমান বাবু, তালবেলেম চরিত্রে আজিজুল হাকিম, মুন্সী চরিত্রে শাহ আলম দুলাল, আতসী চরিত্রে রূপ দিয়েছেন মোমেনা চৌধুরী। অন্যান্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন ফয়েজ জহির, আমিন আজাদ, রুবলী চৌধুরীসহ আরণ্যকের নবীন-প্রবীণ শিল্পীরা। অদিতি ও অভীকের সঙ্গীতসন্ধ্যায় শ্রোতার মুগ্ধতা ॥ এক আয়োজনে গাইলেন খ্যাতিমান ও উদীয়মান দুই শিল্পী। সুরে সুরে শ্রোতার হৃদয়ে মুগ্ধতার বীজ বুনে দিলেন শিল্পীদ্বয়। আর পরিবেশনায় উভয়েই বেছে নেন রবীন্দ্রনাথের গান। এভাবেই রবীন্দ্রসঙ্গীতের সুর ও বাণীতে শ্রোতাকে আলোড়িত করলেন অদিতি মহসিন ও অভীক দেব। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এই দুই শিল্পী গান শোনালেন ধানম-ির ছায়ানট মিলনায়তনে। সঙ্গীত কর্মশালায় পার্বতী বাউলকে সম্মাননা প্রদান ॥ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে ২৮ অক্টোবর থেকে অনুষ্ঠিত হয়েছে বাউল সঙ্গীত কর্মশালা। উপমহাদেশের প্রখ্যাত শিল্পী পার্বতী বাউলের পরিচালনায় এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। শিল্পকলা একাডেমির সঙ্গীত ও বাউল শিল্পীসহ প্রতিশ্রুতিশীল ৪২ জন শিল্পী তিন দিনব্যাপী এই কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন। একাডেমির সঙ্গীত ও নৃত্যকলা ভবনের মহড়া কক্ষে কর্মশালার সমাপনী দিনে মঙ্গলবার পার্বতী বাউলকে শিল্পকলা একাডেমির পক্ষ থেকে সম্মাননা তুলে দেন একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী।
×