ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

‘পূর্ণগ্রাসের কাল’ চলচ্চিত্রের উদ্বোধনী প্রদর্শনী

প্রকাশিত: ০৪:২৭, ২৭ অক্টোবর ২০১৮

 ‘পূর্ণগ্রাসের কাল’ চলচ্চিত্রের উদ্বোধনী প্রদর্শনী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালায় সিনেমোশনের উদ্যোগে আজ শনিবার বিকাল ৫-৩০ মিনিটে তরুণ নির্মাতা জায়েদ সিদ্দিকীর ‘পূর্ণগ্রাসের কাল’ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের উদ্বোধনী প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। চলচ্চিত্রের মূল ভাবনা, চিত্রনাট্য ও পরিচালনা- জায়েদ সিদ্দিকী। গল্প ও সংলাপ হেলাল মহিউদ্দিন। চলচ্চিত্রের মূল চরিত্রে অভিনয় করেছেন প্রখ্যাত অভিনেতা জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়। অনান্য চরিত্রে রয়েছেন কৌশিক সাহা, মনিরুজ্জামান মনি, কামাল আহমেদ, হীরা চাকমা, ফাতেমা তুজ জোহরা, খন্দকার বদরুল আলম, আবিদ এ আজাদসহ আরও অনেকে। সম্পাদনা- সামীর আহমেদ, শব্দ সম্পদনা- নাহিদ মাসুদ, চিত্রগ্রহণ- পান্থ রহমান, শিল্প নির্দেশনা শান্তনু হালদার, আবহসঙ্গীত বিনোদ রায় দাস, সঙ্গীত পরিকল্পনা- জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, সঙ্গীত- দীপময় দাস। প্রযোজনা- সিনেমোশন, সহ-প্রযোজনা- বারাকা পাওয়ার। গণঅর্থায়ন এবং গণমানুষের অধিকতর সম্পৃক্ততায় নির্মিত ‘পূর্ণগ্রাসের কাল’ চলচ্চিত্রের গল্পে উঠে এসেছে বর্তমান সময়ের বাস্তব চিত্র। গল্পটি মৌলবাদ ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে একজন লেখক ও চিত্রশিল্পীর সৃজনবাদী যুদ্ধের জয়গাথা। ভাস্কর চৌধুরী, বয়স ষাটের কাছাকাছি। বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ ও অস্থিরতা তাকে বিধ্বস্ত করে তোলে। তিনি দু’টি খেরোখাতায় সমাজের সুন্দর ও অসুন্দর ঘটনাচিত্র সংরক্ষণ করেন। ‘পূর্ণগ্রাসের কাল’ শিরোনামের সামাজিক অসঙ্গতির খেরোখাতাটি একবার রহস্যজনকভাবে হারিয়ে যায়। আবার দশদিন পর রহস্যজনকভাবে ফেরতও পান। যেদিন ফেরত পান সেদিন জঙ্গীরা তাকে হত্যা করতে আসে। তারাই খেরোখাতাটি চুরি করেছিল। জঙ্গীরা তার অস্ত্রহীন যুদ্ধকৌশলের কাছে পরাজিত হয়। নিজের জীবনরক্ষায় তাদের হত্যা করার প্রয়োজন এবং সুযোগ থাকা সত্ত্বেও তিনি তাদের বাঁচিয়ে রাখেন। জঙ্গীদের আগ্রহ জন্মায় ‘আলোকদিনের গান’ খেরোখাতাটির প্রতি। তিনি তাদের নিঃশর্তভাবে মূল খেরোখাতাটিই উপহার দেন। মৌলবাদ ও সন্ত্রাসের কাছে নিজে পরাস্ত না হয়ে উল্টো তাদের পরাস্ত করেন।
×