স্টাফ রিপোর্টার ॥ দুর্গাপূজা উপলক্ষে শ্রী শ্রী বরদেশ^রী কালীমাতা মন্দির প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হচ্ছে শারদীয় নাট্যোৎসব। আগামীকাল ১৯ অক্টোবর শুক্রবার এ উৎসবের সমাপনী হচ্ছে। উৎসবের সমাপনী দিন সন্ধ্যা ৭টায় সংস্কার নাট্যদলের পঞ্চম প্রযোজনা ‘বশীকরণ’ নাটকের মঞ্চায়ন হবে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত নাটকটির নবনাটলিপি ও নির্দেশনা দিয়েছেন অধ্যাপক ড. ইউসুফ হাসান অর্ক। নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করবেন মনামী ইসলাম কনক, আশিকুর রহমান, বাপ্পী সাইফ, নদী বাপ্পী, ইসমাইল হোসেন, পৃথা দে, সেলিম রেজা স্বপন, ফাতেমাতুজ জোহরা ইভা, জুলি ইসলাম, সন্তু বৈরাগী, এন ডি চঞ্চল, সুজন কির্ত্তনীয়া, মেহেদী হাসান মিশু, মিজানুর রহমান, সাজ্জাদ হাওলাদার, অলিউল্লাহ আরিয়ান, বশির আহমেদ এবং মাসুদ কবির।
‘বশীকরণ’ নাটকের কাহিনীতে দেখা যাবে দুই বিপরীতমুখী দর্শনে দীক্ষিত বন্ধু অন্নদা ও আশু। অন্নদা ব্রাহ্মধর্ম গ্রহণ করায় খানিকটা আধুনিক, পাশ্চাত্য যুক্তিবাদ ও তথাকথিত বিজ্ঞান মনস্ক। আশু ফিজিক্যাল সাইন্সে এম.এ করেও সনাতন ধর্মের সংস্কার ও ভক্তিবাদে বিশ্বাসী।
অন্নদার স্ত্রী তার শ্বশুরের গোঁড়ামিতে অনিচ্ছা সত্ত্বেও স্বামী ছেড়ে গয়া কাশী ঘুরে বশীকরণ মন্ত্রে দীক্ষাদাত্রী মাতাজি সেজে এই শহরে এসেছেন। আরেক বিধবা মাতার কন্যাকে পাত্রস্থ করার পরিকল্পনা নিয়ে একই শহরে হাজির। ঘটনাক্রমে দুজন যে দুটি বাড়ি ভাড়া নিয়েছে তা একই মালিকের। মাতাজির আবদারে বাড়িওয়ালা তার জন্য বরাদ্দকৃত ২২ নম্বর বাড়ি থেকে তাকে ৪৯ নম্বরে পাঠান। আর ওই বিধবা মাতা ওঠেন ২২ নম্বরে। অন্নদার ৪৯ নম্বরে এক কন্যা দেখতে যাওয়ার কথা ছিল। আর আশুর যাওয়ার কথা ২২ নম্বরে মন্ত্র দীক্ষা নিতে।
বন্ধু যুগলের জানা হলো না যে ভাড়াটে বদল হয়েছে। তাই ভাড়াটে বদল হয়ে যাওয়ার বিভ্রাটে পড়ে দু’জনই। নানা ঝামেলার পর দেখা যায় অন্নদার স্ত্রীই আসলে মাতাজি আর দীক্ষা নিতে গিয়ে দেখা গেল কনেটাকেও আশুর পছন্দ হয়। এই নিয়ে কারবার। শেষ পর্যন্ত বিপরীত দার্শনিকতার দুই বন্ধুরই বশীকরণ ঘটে। সংস্কার নাট্যদলের প্রধান এন ডি চঞ্চল বলেন, এই নাট্যোৎসবে বশীকরণ নাটকটি মঞ্চায়নের সুযোগ করে দেয়ার জন্য লায়ন চিত্ত রঞ্জন দাস মহাশয়কে অনেক অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। আশা করি উৎসবে আমাদের নাটকটি দর্শকরা উপভোগ করবেন।