স্টাফ রিপোর্টার ॥ আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী বাছাই করবেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। একইসঙ্গে আগামী ২০ অক্টোবর রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশের আগেই দলের প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করবে রাজনৈতিক দলটি। এই তালিকা চূড়ান্ত করার দায়িত্ব পার্টির প্রেসিডিয়াম ও সংসদ সদস্যরা সম্মিলিতভাবে দলের চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে দিয়েছেন।
রবিবার দুপুরে জাপা চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয়ে পার্টির প্রেসিডিয়াম ও এমপিদের এক যৌথসভায় উপস্থিত নেতারা পার্টির চেয়ারম্যানকে এসব বিষয়ে ক্ষমতা প্রদান করেন।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলের নেতা রওশন এরশাদ এবং প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ অভিন্নভাবে আওয়ামী লীগের জোটগত নির্বাচনের পূর্বে আমাদের ছাড় দেয়া আসনে যেন নৌকার কোন ডামি বা বিদ্রোহী প্রার্থী না থাকে সে বিষয়ে নিশ্চিত
হবার বিষয়ে গুরুত্ব আরোপ করেন।
সভায় দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য মজিবুল হক চুন্নু সম্প্রতি গণমাধ্যমে রওশন এরশাদ ও হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের দ্বন্দ্ব নিয়ে প্রকাশিত সংবাদ বিষয়ে বলেন, এই দ্বন্দ্ব থাকলে দল ক্ষতিগ্রস্ত হবে। জবাবে রওশন এরশাদ বলেন, আমাদের মাঝে কোন দ্বন্দ্ব নেই, তাছাড়া আমি নির্বাচনকালীন সরকারের মন্ত্রী করার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে আলাদা কোন তালিকাও দেইনি। সভায় ২০ তারিখের মহাসমাবেশের অর্থ যোগান দিতে পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্যদের ১ লাখ এবং দলীয় সংসদ সদস্যদের ৫ লাখ টাকা করে দেয়ার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়।
বৈঠকে পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেন, আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি রাখতে হবে। একক অথবা জোটগত নির্বাচন। তিনি বলেন, বিএনপি নির্বাচনে আসুক বা না আসুক আমরা নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত। আমরা তিনশ’ আসনের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। বিএনপি কি করছে, কি কর্মসূচী দিচ্ছে তার দিকে তাকিয়ে থাকলে হবে না। আগামী নির্বাচনে যেভাবেই হোক আমাদের ভাল ফল আনতে হবে।
বৈঠক শেষে পার্টির মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে বলেন, জাতীয় পার্টি আগামী জাতীয় নির্বাচন মহাজোট না এককভাবে করবে, সে সিদ্ধান্ত নেবে বিএনপির গতি প্রকৃতি দেখে। আমরাও চাই নির্বাচনে সবদলের অংশগ্রহণ। পাশাপাশি একক নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নেয়ার কথাও জানান দলটির মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার। আর সেই লক্ষ্যে আগামী ২০ অক্টোবর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশের ঘোষণা দেন তিনি। তবে ফের মহাজোট হচ্ছে কিনা তা স্পষ্ট করেননি হাওলাদার। প্রেসিডিয়াম ও দলীয় এমপিদের যৌথ সভায় ৩শ’ আসনে একক নির্বাচনের সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানান তিনি। মহাজোটের সঙ্গে থাকা না থাকা প্রসঙ্গে গতানুগতিক রাজনৈতিক ভাষায় তিনি বলেন, রাজনীতিতে শেষ কথা বলতে কিছু নেই। এরশাদের সঙ্গে সিঙ্গাপুরে ড. কামাল হোসেনের বৈঠক হয়েছে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে হাওলাদার বলেন, কামাল হোসেন সিঙ্গাপুর যাননি। এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।