ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বিরোধীদের দাবি, নাকচ করলেন জয়

প্রকাশিত: ০৭:১১, ১ অক্টোবর ২০১৮

  বিরোধীদের দাবি, নাকচ করলেন জয়

প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় গণতন্ত্রের অবস্থা ও আসন্ন নির্বাচনের আশঙ্কা সম্পর্কিত বিরোধীদের দাবি নাকচ করে দিয়েছেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক রাজনৈতিক সংবাদ ও নির্বাচনী তথ্য সংগ্রহকারী রিয়েল ক্লিয়ার পলিটিক্সে লেখেন, ‘তারা (বিরোধী দল) ভুল বলছে। তাদের একটি দাবিও সত্য নয়।’ রবিবারের সংখ্যায় তার এই নিবন্ধ ছাপা হয়। বাসস। জয় বলেন, সরকারবিরোধীদের দাবি বাংলাদেশে গণতন্ত্র ভেঙ্গে পড়েছে। তাদের বক্তব্য ’১৪ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচন অকার্যকর এবং তারা বলছে যে, আসন্ন নির্বাচনের অবস্থাও অনুরূপ হবে’। তিনি বলেন, বিরোধীদের অভিযোগ হচ্ছে কয়েকজন বিরোধী নেতার অন্তর্ধানের বিষয়টি সরকারের ষড়যন্ত্র। এই প্রবন্ধে তিনি লেখেন, ‘তারা ভুল বলছে। তাদের একটি দাবিও সত্য নয়।’ জয় বলেন, প্রকৃত সত্য হচ্ছে- বিএনপি বিগত নির্বাচনটি ইচ্ছাকৃত বয়কট করেছে এবং ‘পরবর্তীতে দাবি করে যে খুব স্বল্পসংখ্যক রাজনৈতিক দল এতে অংশ নিয়েছে। যা ছিল একটা ভাঁওতাবাজি ও হাতাশাপূর্ণ।’ প্রবন্ধে তিনি বলেন, ’১৪ সালের ত্রুটিপূর্ণ নির্বাচনের অভিযোগ সম্পূর্ণ বিএনপির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের জন্য নয়। বিএনপি ওই নির্বাচনকে বিতর্কিত করার জন্যই সংসদের একটি আসনেও প্রার্থী দেয়নি।’ তিনি বলেন, বিএনপি প্রকৃতপক্ষে ’১৪ সালের নির্বাচনে ব্যর্থ হয়েছে। জয় তার প্রবন্ধে উল্লেখ করেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বারবার বলেছেন, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন গণতন্ত্রের ভিত্তি এবং এমনকি নির্বাচনে তদার সহায়তার জন্যও বিএনপির প্রতি আহবান জানান অথচ দলটি তার ছাড় দেয়ার বিষয়ও নাকচ করে দেয় এবং এর বিপরীতে এ দলের কতিপয় নেতা ভোটকেন্দ্রে বোমা মারার পথ বেছে নেয়। তিনি বলেন, বিএনপি নেতৃবৃন্দ তাদের জোট সদস্যদের এবং যুদ্ধবাজ জামায়াতের সহায়তায় সহিংস প্রতিবাদে ঝাঁপিয়ে পড়ে। ফলে ’১৪ সালে ভোট ব্যাহত হয় এবং জাতির আঁতে ঘা লাগে। জয় প্রবন্ধে বলেন, বিএনপি ও তাদের দোসররা হাজার হাজার বাড়ি-ঘর, গাড়ি, ভবন, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আগুন দেয়। বিদ্যুত স্থাপনা ধ্বংস করে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ২০ সদস্যকে হত্যা করে এবং সরকারী ভবনে অগ্নিসংযোগ করে। নির্বাচনের দিন তারা পেট্রোলবোমা নিয়ে তাদের প্রতিপক্ষের ওপর চড়াও হয়। জয় বলেন, আরেকটি খারাপ দিক হচ্ছে বিএনপি এ বছরও পুনরায় নির্বাচন থেকে দূরে থাকছে, যা ফের গণঅসন্তোষ ও সহিংসতার ঝুঁকি তৈরি করছে। প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এক রিপোর্ট উল্লেখ করে বলেন, ওখানে কতিপয় ব্যক্তি সাক্ষাতকারে বলেছেন, ‘হামলাকারীরা ছিল গ্রামের অপর পাশ থেকে আসা আমাদের প্রতিবেশী। তারা সকলেই বিএনপি-জামায়াতের লোক।’ জয় বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিনের ঘটনা উল্লেখ করেন, যাকে (সালাহউদ্দিন) ’১৫ সালে পুলিশ অপহরণ করেছিল বলে উল্লেখ করা হয়। কিন্তু ২ মাস পরে ভারতে পলাতক অবস্থায় ওই দেশের পুলিশ তাকে আটক করে জানায়, বাংলাদেশে বিচার থেকে বাঁচতে সে এখানে পালিয়ে আছে।’ বিএনপি সংশ্লিষ্ট বুদ্ধিজীবী ফরহাদ মজহারের বিষয়টি উল্লেখ করে জয় বলেন, ‘অন্যেরা তাড়াতাড়ি ফিরে এসেছেন’। ফরহাদ মজহার ‘নিখোঁজ ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পরে তাকে খুলনা থেকে রাজধানীতে আসার পথে বাসে পাওয়া যায়।’ জয় বলেন, খালেদা জিয়ার ছেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। এর কয়েকটি এতিমদের আড়াই লাখ ডলার তসরুপের। তারেক আওয়ামী লীগের জনসভায় গ্রেনেড হামলা মামলায়ও অভিযুক্ত হয়েছে। বিএনপির অন্য অনেক নেতার মতো তারেক রহমানও সাজা এড়াতে দেশ থেকে পালিয়ে গেছেন।
×