ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১

মেয়েকে উত্ত্যক্তে বাধা দেয়ায় প্রাণ গেল বাবার

প্রকাশিত: ০৫:৪৩, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮

   মেয়েকে উত্ত্যক্তে বাধা দেয়ায় প্রাণ গেল বাবার

নিজস্ব সংবাদদাতা, আমতলী, বরগুনা, ২৮ সেপ্টেম্বর ॥ মেয়েকে উত্ত্যক্তকরণে বাধা দেয়ায় প্রাণ গেল বাবা আলী হোসেন মোল্লার। বাবা আলী হোসেন মোল্লাকে বখাটে মাদকসেবী হিরন গাজী পরিকল্পিতভাবে মোটরসাইকেল চাপা দিয়ে হত্যা চেষ্টা করে। আহত বাবা আলী মোল্লা চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বৃহস্পতিবার রাতে মারা গেছেন। এ ঘটনায় আমতলী থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। ঘটনা ঘটেছে বরগুনার আমতলী উপজেলার দক্ষিণ গাজীপুর গ্রামে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার গাজীপুর গ্রামের বখাটে হিরন গাজী গাজীপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে স্কুলগামী ছাত্রীদের প্রায়ই উত্ত্যক্ত করে আসছিল। ওই বিদ্যালয়ে আলী মোল্লার কন্যা ও ভাগ্নি দশম শ্রেণীতে লেখাপড়া করে। গত ৬ সেপ্টেম্বর বিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে হিরন গাজী তার (আলী হোসেন) কন্যা ও ভাগ্নিকে উত্ত্যক্ত করে। এ ঘটনা ওইদিনই বাড়িতে গিয়ে স্কুলছাত্রী বাবা আলী মোল্লাকে জানায়। মেয়ের কাছে সকল ঘটনা শুনে পরের দিন আলী মোল্লা বখাটে হিরন গাজীকে তার মেয়ে ও ভাগ্নিকে উত্যক্তকরণের বিষয়টি জানতে চায়। এ সময় দু’জনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এতে ক্ষুব্ধ হয় হিরন গাজী। গত সোমবার ২৪ সেপ্টেম্বর দুপুরে বাজার শেষে বাড়ি ফেরার পথে গাজীপুর-কাঁঠালিয়া সড়কের লক্ষণ প্যাদার বাড়ির সামনে দ্রুতগতিতে মোটরসাইকেল চালিয়ে বখাটে হিরন গাজী স্কুলছাত্রীর বাবা আলী মোল্লাকে চাপা দেয়। আলী মোল্লা সড়কে লুটিয়ে পড়লে হিরন গাজী আবারও গাড়ি তার শরীরের উপর উঠিয়ে দেয়। তার ডাক চিৎকারে স্থানীয় ননী প্যাদা ও তার স্ত্রী মালতি রানী এগিয়ে এলে বখাটে হিরন গাজী ও তার বন্ধু আরিফ গাজী পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই আলী মোল্লা গুরুতর আহত হন। দ্রুত তাকে ননী প্যাদা ও তার স্ত্রী মালতি রানীসহ স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে গাজীপুর ক্লিনিকে নিয়ে আসে। পরে তার স্বজনরা পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। ওই হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে সঙ্কটজনক অবস্থায় বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরণ করেন। তার অবস্থা আরও সঙ্কটজনক হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ওইদিনই ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। চার দিন চিকিৎসার পরে বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
×