ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

জাতির পিতার নামে আয়োজিত ফুটবল টুর্নামেন্ট দেশব্যাপী ছড়িয়ে দেয়ার পরিকল্পনা

বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের থিম সং

প্রকাশিত: ০৬:৪০, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮

বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের থিম সং

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ দুই বছর পর আবারও দরজায় কড়া নাড়ছে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ ফুটবল। আগামী ১ থেকে ১২ অক্টোবর দেশের তিন ভেন্যুতে হবে আন্তর্জাতিক এই আসর। এবারের পঞ্চম আসরে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে স্বাগতিক বাংলাদেশসহ ছয় দেশ। ইতোমধ্যে টুর্নামেন্টের গ্রুপিং সম্পন্ন হয়েছে। রবিবার হয়ে গেল থিম সংয়ের আত্মপ্রকাশ। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনে (বাফুফে) বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের থিম সংয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর এমপি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক হারুনুর রশীদ এমপি, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সিনিয়র ভাইস-প্রেসিডেন্ট আব্দুস সালাম মুর্শেদী, বাফুফে সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ, টুর্নামেন্টের স্বত্ব পাওয়া কে স্পোর্টসের সিইও ফাহাদ করিমসহ আরও অনেকে। বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের অনুষ্ঠানে থাকার কথা থাকলেও স্ত্রীর অসুস্থতার কারণে তিনি আসেননি। টুর্নামেন্টের ট্রফি উন্মোচন হবে আগামী ২২ সেপ্টেম্বর। যেখানে বাণিজ্যমন্ত্রী প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বলে আশা করা হচ্ছে। ‘আয় দলে, আয় বলে। জড়ালে বল জালে, গোলে গোলে শোরগোলে নাচবো সব দলে’। থিম সংয়ের মূল স্লোগান এটি। এই থিম সংয়ে কণ্ঠ দিয়েছেন জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্প ও সংসদ সদস্য মমতাজ বেগম। কথা লিখেছেন রাকিব হাসান রাহুল এবং সুর করেছেন অদিত। আয়োজকরা জানিয়েছেন থিম সংটি সারাদেশের জেলা ও উপজেলায় পাঠিয়ে দেয়া হবে। জাতির পিতাকে স্মরণ করতে আন্তর্জাতিকভাবেও এটি ছড়িয়ে দেয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেন, ফুটবলের জন্য আমাদের একটি আলাদা টান কাজ করে। আমরা সকলেই কেউ না কেউ কোন একটা ফুটবল দলের সমর্থক ছিলাম। ফুটবল আমাদের নানা মৈত্রীর বন্ধন তৈরি করেছে। তিনি আরও বলেন, সঙ্গীতের সঙ্গে খেলার সম্পর্ক গভীর। যে কোন টুর্নামেন্টের শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে। এই হিসেবে আমি ফুটবল বিশেষজ্ঞ না হলেও এর সঙ্গে সম্পৃক্ত। একটা গান মানুষকে ফুটবলের কাছে নিয়ে যেতে পারে।’ বাফুফে সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ বলেন, থিম সং সারাদেশে ছড়িয়ে দেয়া হবে। এটা যদি হাইলাইট করা হয় তাহলে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়বে। আমরা থিম সংটিকে জেলা-উপজেলায় পাঠিয়ে দিব। আব্দুস সালাম মুর্শেদী বলেন, জাতির পিতাকে স্মরণ করার জন্য এই টুর্নামেন্ট। দেশ ও আন্তর্জাতিকভাবে বঙ্গবন্ধুর নাম ছড়িয়ে দেয়ার জন্য আমাদের এই উদ্যোগ। কে স্পোর্টসের সিইও ফাহাদ করিম বলেন, বঙ্গবন্ধুর নামে আন্তর্জাতিক এই টুর্নামেন্টের সঙ্গে আমাদের সম্পৃক্ত করায় ফুটবল ফেডারেশনকে ধন্যবাদ। বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপে আগের চার আসরে বাংলাদেশের সেরা সাফল্য একবার ফাইনাল খেলা। এবারের পঞ্চম আসরে অবশ্য এত বড় উচ্চাকাক্সক্ষা নেই। কারণ বাস্তবতা হচ্ছে অংশ নেয়া দলগুলোর সবগুলোই ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে লাল-সবুজের দেশের চেয়ে এগিয়ে। তবে এবার তুলনামূলক সহজ গ্রুপে পড়ায় নকআউট পর্ব অর্থাৎ সেমিফাইনালে খেলার স্বপ্ন বুনছে বাংলাদেশ। ৬ জাতির এই আসরে বাংলাদেশ খেলবে ‘বি’ গ্রুপে। যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ ফিলিপিন্স ও লাওস। আর গ্রুপ ‘এ’তে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন নেপাল, তাজিকিস্তান ও ফিলিস্তিন। বাংলাদেশের গ্রুপে লাওস থাকার কারণেই স্বপ্ন বুনছে স্বাগতিকরা। কেননা ফর্ম ও পরিসংখ্যানের বিচারে একমাত্র লাওসকে হারানোর সম্ভাবনা আছে লাল-সবুজের দেশের। চলতি বছরের ২৭ মার্চ আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে লাওসের মাঠে ২-২ গোলে ড্র করেছিল বাংলাদেশ। বাংলাদেশ দলের কৃতিত্ব ছিল প্রথমার্ধেই দুই গোলে পিছিয়ে পড়েও খেলা শেষ হওয়ার আট মিনিটের মধ্যে দুই গোল শোধ করতে পারা। বাংলাদেশের কাছে ওই ড্র ছিল জয়ের সমান। এবার বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপে সেই লাওসকে হারাতে পারলে সেমিফাইনালে খেলার সম্ভাবনা উজ্জ্বল হবে বাংলাদেশের।
×