ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

তিন যুবকের গুলিবিদ্ধ লাশ পূর্বাচল থেকে উদ্ধার

প্রকাশিত: ০৫:২৩, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮

 তিন যুবকের  গুলিবিদ্ধ লাশ  পূর্বাচল  থেকে উদ্ধার

নিজস্ব সংবাদদাতা, রূপগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, ১৪ সেপ্টেম্বর ॥ সোহাগ (৩৫), শিমুল আজাদ (২৬) ও নূর হোসেন বাবু (২৬) নামে তিন যুবকের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করেছে রূপগঞ্জে পুলিশ। শুক্রবার সকালে উপজেলার পূর্বাচল উপ-শহরের আলমপুরা এলাকার ৯নং সেক্টরের ১১নং ব্রিজের নিচ থেকে ওই তিন যুবকের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত তিন যুবকের স্বজনদের অভিযোগ, ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে উঠিয়ে নিয়ে তিন যুবককে হত্যা করা হয়। নিহতরা হলো ঢাকার মহাখালীর নিকেতন বাজার এলাকার মৃত শহিবুল্লাহর ছেলে সোহাগ, ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ থানার গোরেলা এলাকার আব্দুল মান্নানের ছেলে শিমুল আজাদ ও মুন্সীগঞ্জ জেলার টুঙ্গিবাড়ির থানার পাইকপাড়া এলাকার মৃত আঃ ওহাবের ছেলে নূর হোসেন বাবু। রূপগঞ্জ থানার পুলিশ জানায়, স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে খবর পেয়ে ওই তিন যুবকের গুলিবিদ্ধ লাশ পুলিশ উদ্ধার করে। এ সময় নূর হোসেন বাবুর পকেট থেকে ৬৫ পিস ইয়াবা পায় পুলিশ। মরদেহগুলো ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পরে পরিবারের লোকজন থানায় এসে লাশ শনাক্ত করে। শিমুলের মা চায়না বেগম জানান, সোহাগ, শিমুল আজাদ ও নূর হোসেন বাবু তিন বন্ধু। শিমুল আজাদ ও নূর হোসেন বাবু ঝুটের ব্যবসা করে ও আর সোহাগ ডিশ ক্যাবলের ব্যবসা করে। সোহাগ ও নূর হোসেন বাবু মিলে বন্ধু শিমুল আজাদের বাড়িতে বেড়াতে যায়। গত বুধবার রাতে তারা তিন বন্ধু শিমুলের বাড়ি থেকে মাওয়া হয়ে ঢাকা ফিরছিল। রাত ১টার দিকে পরিবারের লোকজনের সঙ্গে তাদের শেষ কথা হয়। এরপর থেকে তাদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনগুলোই বন্ধ পাওয়া যায়। পরিবারের লোকজন বিভিন্নভাবে খোঁজ করে তাদের না পেয়ে ঢাকার সায়দাবাদ টার্মিনালের বাস কাউন্টারে যোগাযোগ করেন। বাসের সুপার ভাইজার জানান, মাওয়া থেকে ঢাকা আসার পথে সোহাগ, শিমুল আজাদ ও নূর হোসেন বাবুকে ডিবি পরিচয়ে বাস থেকে নামিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। শুক্রবার সকালে পরিবারের লোকজন খবর পেয়ে রূপগঞ্জ থানায় এসে লাশ শনাক্ত করেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, কাঞ্চন থেকে কুড়িল বিশ্বরোড পর্যন্ত প্রায় ১৪ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ৩শ’ ফুট রাস্তার উভয় পাশে জনবসতি কম। ভ্রমণপিপাসু লোকজন ৩শ’ ফুট সড়ক ও তার আশপাশে ঘুরতে আসেন কিন্তু এলাকাটি সন্ধ্যার পর থেকেই সুনসান হয়ে যায়। রাতের আঁধারে অপরাধীদের আনাগোনা বেড়ে যায়। অপরাধীরা নিরাপদ স্থান হিসেবে এ এলাকাটিকে ব্যবহার করে। অপরাধীরা মানুষ খুন করে প্রায়ই ৩শ’ ফুট সড়কের আশপাশে লাশ ফেলে রেখে যায়। রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, যে কোন মূল্যে হত্যাকান্ডে রহস্য উদঘাটন করে চিহ্নিত খুনীদের আইনের আওতায় আনা হবে।
×