ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

‘ড. ভূপেন হাজারিকা ব্যতিক্রম ইন্টারন্যাশনাল রিলেশন এ্যাওয়ার্ড’ পেলেন লিয়াকত আলী লাকী

প্রকাশিত: ০৭:২৩, ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৮

‘ড. ভূপেন হাজারিকা ব্যতিক্রম ইন্টারন্যাশনাল রিলেশন এ্যাওয়ার্ড’ পেলেন লিয়াকত আলী লাকী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ভারতের আসামের গোয়াহাটিতে কর্মশ্রী হিতেস্বর সাইকিয়া মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ‘ড. ভূপেন হাজারিকা ব্যতিক্রম ইন্টারন্যাশনাল রিলেশন এ্যাওয়ার্ড ২০১৮’ গ্রহণ করেছেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী। গত ৮ সেপ্টেম্বর শনিবার ‘ব্যতিক্রম ম্যাস এ্যাওয়ারনেস এ্যান্ড সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন’ উপমহাদেশের কিংবদন্তি সঙ্গীত শিল্পী ভূপেন হাজারিকার ৯২তম জয়ন্তীতে আয়োজিত এই পুরস্কার প্রদান করা হয়। এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে লিয়াকত আলী লাকীর হাতে পুরস্কার তুলে দেন ভূপেন হাজারিকার ভাগ্নে ঋষি শর্মা, উত্তরীয় পরিয়ে দেন একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত সাহিত্যিক ড. উষা রঞ্জন ভট্টাচার্য। লিয়াকত আলী লাকী তার বক্তব্যে ব্যতিক্রম মাসদোর প্রধান ড. সৌমেন ভারতীয়ার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। লিয়াকত আলী লাকী ও ঋষি শর্মা যৌথকণ্ঠে ‘মানুষ মানুষের জন্য’ বাংলা ও অসমীয় ভাষায় গেয়ে শোনান। এছাড়াও ‘মঙ্গল হোক এ শতকে, মঙ্গল হোক সবার’ গানটি গেয়ে শোনান লিয়াকত আলী লাকী। অনুষ্ঠানে সহযোগিতা করেছেন ভূপেন হাজারিকা কালচারাল ট্রাস্ট, ফ্রেন্ডস অব বাংলাদেশ : ঢাকা এবং আসাম, আইসিসিআর এবং আসাম সরকারের সংস্কৃতি বিভাগ। ‘ড. ভূপেন হাজারিকা ব্যতিক্রম ইন্টারন্যাশনাল এ্যাওয়ার্ড ২০১৮’ প্রাপ্তিতে লিয়াকত আলী লাকী বলেন, আমি আবেগ আপ্লুত। পঁচাত্তরের পর বঙ্গবন্ধুর গান, দেশের গান, গণসঙ্গীত বিশেষ করে ভূপেন হাজারিকার গান গেয়ে সারা বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার চেয়েছি এবং বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে যে অপপ্রচার তার প্রতিবাদ করেছি। আজকে সেই বরেণ্য শিল্পীর নামে যে পদকটি আমাকে দেয়া হচ্ছে সেটি শুধু আমার জন্যই নয়, দেশের জন্য ও দেশের মানুষের জন্যও পরম পাওয়া। প্রসঙ্গত ‘ড. ভূপেন হাজারিকা ব্যতিক্রম ইন্টারন্যাশনাল রিলেশন এ্যাওয়ার্ড ২০১৮’ প্রাপ্ত বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী। লিয়াকত আলী লাকীর আদর্শিক নেতা ও গুরু ভূপেন হাজারিকা। তার কাছে গান শিখেছেন। ছাত্র জীবনের উত্তাল তারুণ্যে ভূপেন হাজারিকার গান কণ্ঠে ধারণ করে সবাইকে চমক লাগাতেন সত্তর ও আশির দশকের মঞ্চমাতানো এই শিল্পী। তখন থেকেই বাংলাদেশী ভূপেন হাজারিকা নামে আখ্যায়িত হন ডাকসুর তৎকালীন সাংস্কৃতিক সম্পাদক লিয়াকত আলী লাকী। ১৯৭৫ পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধু ও ভূপেন হাজারিকার গান নিয়ে সারা বাংলায় অনুষ্ঠান করেছেন লিয়াকত আলী লাকী। একটা সময় ভূপেন হাজারিকার সঙ্গে সাক্ষাত হলে তার গান শুনে ভূপেন হাজারিকা বলেন, ‘তুমিতো বাংলাদেশের ভূপেন হাজারিকা’।
×