ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বাগেরহাটে হত্যা মামলায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড

প্রকাশিত: ০৬:২৫, ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮

বাগেরহাটে হত্যা মামলায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড

স্টাফ রিপোর্টার, বাগেরহাট ॥ বাগেরহাটে নসিমন চালক মামুন মোল্লা (২০) হত্যা মামলায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ এবং এক জনের দুই বছরের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছে আদালত। বৃহস্পতিবার বিকেলে বাগেরহাটের অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত-১ এর বিচারক মোঃ হাফিজুর রহমান এই রায় ঘোষণা করেন। মৃত্যুদ-াদেশ প্রাপ্তরা হলেন, বাগেরহাট সদর উপজেলার ভট্টবালিয়াঘাট গ্রামের আব্দুল ফকিরের ছেলে সোহাগ ফকির (২৮), গোলাম মোস্তফা ওরফে মাফুজের ছেলে ইব্রাহিম মোল্লা (২৭), দক্ষিণ খানপুরের মোহাম্মদ আলীর ছেলে মিজান (২৮) ও ফকিরহাট উপজেলার লকপুরের ওমর আলী মোল্লার ছেলে জুনু ওরফে ইসমাইল মোল্লা (৩৩)। এছাড়া মামলার অপর আসামি খুলনার জোনাব আলী গাজীর ছেলে জয়নাল গাজীকে (৩৫) ২ বছরের সশ্রম কারাদ- ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৩ মাসের কারাদ-াদেশ দেন আদালত। রায় ঘোষণার সময় মৃত্যুদ-াদেশ প্রাপ্ত আসামি সোহাগ ফকির ও ইব্রাহিম মোল্লা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, ২০১৩ সালের ১ সেপ্টেম্বর বাগেরহাট সদর উপজেলার হাকিমপুর গ্রামের আব্দুল্লাহ মোল্লার ছেলে নসিমুন চালক মোঃ মামুন মোল্লা (২০) নিজ নসিমনে মৃত্যুদ-াদেশ প্রাপ্ত ৪ আসামিকে নিয়ে খুলনা যায়। এরপর থেকে আর মামুনকে খুঁজে পায়নি তার পরিবার। পরে ৯ সেপ্টেম্বর বাগেরহাট থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন মামুনের পিতা আব্দুল্লাহ মোল্লা। এর ১০ মাস পরে ১লা জুলাই আব্দুল্লাহ মোল্লা তার ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে বলে সদর থানায় এজাহার দেন। এজাহারে তিনি মৃত্যুদ-াদেশ প্রাপ্ত চার আসামি তার ছেলেকে হত্যা করে জয়নাল গাজীর কাছে নসিমন বিক্রি করেছে বলে উল্লেখ করেন। এরপর ২০১৪ সালের ২৮ ডিসেম্বর সিআইডি পরিদর্শক মোঃ নিজাম উদ্দিন হাওলাদার মৃত্যুদ-াদেশ প্রাপ্ত ৪ আসামিসহ ৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। আদালত ১২ জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহণ শেষে হত্যার দায়ে ৪ জনকে মৃত্যুদ- ও চোরাই মাল ক্রয়ের দায়ে একজনের ২ বছরের সশ্রম কারাদ- ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৩ মাসের কারাদ-াদেশ দেন। মানবতাবিরোধী অপরাধে বন্দীর ঢামেকে মৃত্যু স্টাফ রিপোর্টার ॥ মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে কারাবন্দী আব্দুর রহমান (৮৩) মারা গেছেন। বুধবার রাতে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। মৃত আব্দুর রহমানের গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনা জেলায়। এদিকে বৃহস্পতিবার সকালে ঢামেক মর্গে তার লাশের ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের কারারক্ষী আবু হানিফ এ খবর নিশ্চিত করেছেন। কারারক্ষী আবু হানিফ বলেন, বুধবার দুপুরে তাকে অসুস্থতার কারণে কারাগার থেকে হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের ৬০২ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
×