ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সাগরে থামছে না দস্যুদের তাণ্ডব

প্রকাশিত: ০৪:৩৬, ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮

সাগরে থামছে না দস্যুদের তাণ্ডব

নিজস্ব সংবাদদাতা, বাঁশখালী, ৬ সেপ্টেম্বর ॥ বঙ্গোপসাগরে জেলেদের কমছে না দুর্ভোগ। জলদস্যুদের তা-বে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জেলেদের জীবন। একের পর এক জলদস্যুদের অপহরণ ও খুনের ঘটনায় আলোড়ন ছড়িয়ে পড়েছে সর্বত্র। জলদস্যুদের এমন তা-বেও রেহাই পাননি বাঁশখালীর শতাধিক জেলে পরিবার। দিনের পর দিন জলদস্যুদের অপহরণ ও খুনের ঘটনায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে বাঁশখালীর লক্ষাধিক জেলে পরিবার। জানা যায়, প্রায় সময় জলদস্যুরা মাঝি-মাল্লাদের অপহরণ করে টাকার জন্য এবং নির্দিষ্ট স্থানে টাকা পৌঁছে দেয়ার জন্য বলা হলেও পরবর্তীতে তাদের মোবাইল সংযোগ বন্ধ থাকে। বর্তমানে বঙ্গোপসাগরের জলদস্যু সম্রাট আবদুল হাকিম প্রঃ বাইশ্যা ডাকাত জেলহাজতে থাকলেও বঙ্গোপসাগরে জেলে ও বোট অপহরণ থেমে নেই। বঙ্গোপসাগরে আস্তনা গড়ে ওঠা জলদস্যুরা জেলেদের কাছ থেকে প্রতিনিয়ত আহরিত মাছ ছিনিয়ে নিয়ে হত্যা ও অপহরণ করছে জেলেদের। বিশেষ করে ২০১১ সালের মার্চে ১২ এবং নবেম্বরে ১৪ জেলেকে অপহরণ করে হত্যা। সর্বশেষ ২০১৩-এর ২৫ মার্চ বাঁশখালীর ৩১ জেলেকে অপহরণের পর নির্মমভাবে হত্যার ঘটনায় আলোড়ন সৃষ্টি হয়। এরপর আবারও ১০ নবেম্বর ২ ফিশিং বোটসহ ১৫ মাঝিমাল্লাকে অপহরণ করে জলদস্যুরা। পরে মুক্তিপণের বিনিময়ে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়। গত ৩১ আগস্ট বাঁশখালীর শেখেরখিল এলাকার আল্লাহ মালিক নামক ফিশিং বোট ১০ মাঝিমাল্লাসহ অপহরণ করে জলদস্যুর দল নিয়ে গেলে আর ফিরে আসেনি। তারপরেও জীবনের তাগিদে থেমে নেই জেলেদের মৎস্য আহরণ। বঙ্গোপসাগরে নিজেদের জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ ও সহযোগিতা কামনা করেন ভুক্তাভোগী জেলেরা। উল্লেখ্য, বঙ্গোপসাগরের বাঁশখালী কুতুবদিয়া মোহনায় জলদস্যুদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে শেখেরখিল ফাঁড়ির মুখ এলাকার তিন ফিশিং বোট মালিক। এদের বিরুদ্ধে ২০১৩ সালে ৩১ জেলে মার্ডারের সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগ আনলেও অদ্যাবধি প্রশাসনের ধরাছোঁয়ার বাইরে এরা। অচিরেই এই তিন ফিশিং বোট মালিককে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হলে জলদস্যুদের মূল হোতাদের রহস্য উদ্ঘাটন হবে বলে ভুক্তাভোগী জেলেরা জানায়।
×