ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১

গোলটেবিল আলোচনা

ঢাকায় প্রতি ওয়ার্ডে তিনটি খেলার মাঠ দরকার

প্রকাশিত: ০৭:৫৩, ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮

 ঢাকায় প্রতি ওয়ার্ডে তিনটি খেলার মাঠ দরকার

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ঢাকায় বেড়ে ওঠা শিশুদের ভবিষ্যত প্রায় অনিশ্চিত হয়ে উঠছে। শিশুরা প্রতি প্রতিনিয়তই একটি অন্ধকার আগামীর দিকে ধাবিত হচ্ছে। তাদের জন্য নেই বিনোদন ও অবসর কাটানোর মতো পর্যাপ্ত শিশুবান্ধব পার্ক ও খেলার মাঠ। তাদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ফলে বিনোদন ও অবসর সময় কাটানোর জন্য শিশুরা টেলিভিশন দেখে এবং ট্যাব বা সেলফোনে গেম্স খেলে সময় পার করছে। এতে অল্প বয়সেই শিশুরা হৃদরোগ ও চোখের সমস্যাসহ রোগ-ব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছে। শুধু তাই নয়, এসব কারণে আজকের শিশুরা প্রয়োজনের তুলনায় অধিকতর স্থ‍ূল হয়ে পড়ছে। এভাবে খেলাধুলা ও বিনোদনের পর্যাপ্ত সুযোগ না পাওয়ায় শিশুরা শারীরিক ও মানসিকভাবে বেড়ে উঠতে পারছে না। বুধবার সকালে ডেইলি স্টার ভবনের কনফারেন্স হলে সেভ দ্য চিলড্রেন ও ডেইলি স্টার আয়োজিত ‘চিলড্রেন’স রাইট টু প্লে ইন ঢাকা সিটি’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা এসব কথা বলেন। বৈঠকে ঢাবির সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সালমা আক্তার কল্যাণপুর বস্তি, ধানমন্ডি আবাসিক এলাকা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আবাসিক এলাকা ও মিরপুর আবাসিক এলাকার শিশুদের নিয়ে করা একটি গবেষণার তথ্য সংক্ষিপ্ত আকারে উপস্থাপন করেন। তিনি এসব এলাকার ৮ থেকে ১৪ বছর বয়স পর্যন্ত অন্তত ৩ শ’ শিশুর ওপর গবেষণা করেন। এসব শিশুর মধ্যে ৫৬ শতাংশ মেয়ে ও ৪৪ শতাংশ ছেলে অংশ নেয়। এতে বিভিন্ন বয়সী ও শ্রেণীর শিশুর মনোদৈহিক অবস্থা ফুটে ওঠে। বৈঠকে ঢাকায় প্রতিটি ওয়ার্ডে শিশুদের জন্য অন্তত তিনটি করে খেলার মাঠ রাখার কথা বলা হয়। গোলটেবিল আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন ড. আমিনুল ইসলাম, প্রফেসর ইসরাত ইসলাম, স্থপতি ইকবাল হাবীব, লায়লা খন্দকার, ড. ইঞ্জিনিয়ার তৌফিক বিন ইউসুফ, মোঃ মইনুল ইসলাম, মোঃ আশরাফুল ইসলাম, মারুফ হোসেন, প্রফেসর আদিল মোহাম্মদ খান এবং গণমাধ্যমের সাংবাদিকসহ সেভ দ্য চিলড্রেন ও এনজিও কর্মকর্তারা। এ সময় অন্যান্য বক্তা ঢাকাকে শিশুদের জন্য বাসযোগ্য নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে সরকারের প্রতি সর্বাত্মক সহযোগিতার আহন জানান।
×