ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১

নাজনীন বেগম

সড়ক নিরাপত্তায় সর্বাত্মক উদ্যোগ

প্রকাশিত: ০৬:৩৯, ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮

সড়ক নিরাপত্তায় সর্বাত্মক উদ্যোগ

২৯ জুলাই বনানীতে দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে সড়ক পরিবহন ব্যবস্থার ওপর যে দায়িত্বহীনতার অপবাদ চাপে তাতে গোটা দেশ আন্দোলনে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। চালকের গাফিলতির সঙ্গে সড়ক পরিবহন আইনের প্রতি অবজ্ঞাÑ সব মিলিয়ে রাস্তায় প্রায়ই দুর্ঘটনার কবলে পড়ে যাত্রী এবং পথচারীরা। শুধু তাই নয় মেয়াদোত্তীর্ণ, যান্ত্রিক ত্রুটি সংবলিত যানবাহন যেভাবে অদক্ষ চালকদের আবর্তে পড়ে সেখান থেকেই শুরু হয় সড়ক-মহাসড়কের নানা বিপত্তি। সবচেয়ে বেশি ক্ষিপ্ত হয়েছিল নিহত দুই ছাত্রছাত্রীর সতীর্থরা। এই জঘন্য হত্যাকা-ের প্রতিকার চেয়ে ঢাকাসহ সারাদেশের স্কুল-কলেজে পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নেমে আসে। উদ্দীপ্ত তারুণ্যে টগবগ করে জ্বলে উঠল দেশের ভাবী প্রজন্ম। যারা তাদের জীবন গড়ার এই পথপরিক্রমায় নিশ্চিন্তে, নির্বিঘেœ, নিরাপদে দেশের যথার্থ কর্ণধার হিসেবে গড়ে উঠতে পারে। শুধু চালক কিংবা সড়ক পরিবহন বিধিই নয়, পুরো ব্যবস্থাকে যুগোপযোগী করে ঢেলে সাজানোর প্রত্যয়ও ব্যক্ত হয় টানা ১০ দিন সড়কে নিজেদের অবস্থান শক্ত করা এই উদীয়মান শিক্ষার্থীদের পক্ষে। অন্যায় আর অবিচারের বিরুদ্ধে খড়গহস্ত হতে গিয়ে ছাত্র আন্দোলন থেকে কঠিন অঙ্গীকারে প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়, শুধুমাত্র শাস্তি দিয়ে এর প্রতিকার করা যাবে না, স্থায়ীভাবে সমস্যা সমাধানের সব ধরনের আইনী এবং প্রশাসনিক পদক্ষেপ নেয়া অত্যন্ত জরুরী। টানা দশ দিন তারুণ্যের বাংলা প্রত্যক্ষ করল নতুন প্রজন্ম কি এক অমিত সাহস আর দৃঢ় মনোবলে আইনশ্ঙ্খৃলা রক্ষাকারী বাহিনীর দায়িত্বভার নিতেও কার্পণ্য করে না এবং সেটা তারা অত্যন্ত সফলভাবে প্রদর্শনও করে। সড়ক পরিবহনের আইনগত বিধি সম্পর্কে প্রায়ই অনভিজ্ঞ এসব তরুণ যেভাবে যাতায়াত ব্যবস্থার ত্রুটিবিচ্যুতি চিহ্নিত করেছিল, তা যেমন বিস্ময়ের একইভাবে তাদের যুগান্তকারী কর্মযজ্ঞেরও সফল নিদর্শন। বৈধ কাগজপত্র ছাড়া গাড়ি এবং চালকের যে বেপরোয়া অনিয়ম তাতে শুধু প্রচলিত আইনই বিঘিœত হচ্ছে না, তার চেয়েও বেশি অসহায়, নিরীহ মানুষের প্রাণ সংহারের মতো ঝুঁকিও প্রতিনিয়ত বেড়ে চলেছে। চালক এবং যানবাহন সম্পর্কে প্রচলিত আইনে অনেক কিছু নির্ধারণ করা থাকলেও মালিক-শ্রমিক কেউই তা মানছে না। ভাঙ্গাচোরা-লক্কড় ঝক্কড় গাড়ি যেমন, চালকের ব্যাপারেও সে রকম কোন বৈধ সক্ষমতাকে পদে পদে লঙ্ঘন করা হচ্ছে। তার ওপর আছে নিয়ম-কানুন বহির্ভূত রাস্তার উল্টো দিকে গাড়ি চালানোর মতো অপরিণামদর্শিতা, যা কিনা সড়কে পথচারী হয়রানি থেকে শুরু করে অনেক বিপর্যয়কেও টেনে আনে। মন্ত্রী, সচিব এবং আইন রক্ষাকারী বাহিনীর উর্ধতন কর্মকর্তাদেরও সড়কে নিয়ম ভাঙ্গার কারণে ছাত্রদের কাছে জবাবদিহি করতে হয়েছে। তবে ঠা-া মাথায়, যুক্তিসম্মত মতামত প্রদান করে সরকারী উচ্চপদস্থ অফিসাররা ছাত্রদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরও দিয়েছেন। ট্রাফিক পুলিশও ছাত্রদের এই সংঘবদ্ধ আন্দোলনের প্রতি আস্থা রেখে সড়কে নিজেদের উদ্দীপ্ত তারুণ্যের সহযোগী করতে পেরেছে। সুশৃঙ্খল আর নিয়মমাফিক এই আন্দোলন সকল শ্রেণী-পেশা লোকের কাছে সমর্থিতই হয়নি, সঙ্গে সঙ্গে প্রশংসিতও হয়েছে। এই আধুনিক প্রজন্মের বয়স ১৪ থেকে ২০। এরই মধ্যে পরিস্থিতি মোকাবেলায় নিজেদের মধ্যে সংহতি গড়ে তুলতে কাউকেই সেভাবে ভাবতে হয়নি। এমন এক জোয়ার বাংলাদেশ আর কখনও দেখেছে কিনা তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। মনে পড়ে যায় যুদ্ধাপরাধীর বিচার নিয়ে গণজাগরণ মঞ্চের সেই অবর্ণনীয় একাত্মতা, যেখানে সারা বাংলাদেশ গভীর সংহতি প্রকাশ করে। সেখানে তরুণ প্রজন্মের সঙ্গে মধ্যবয়সী, পরিণত যুবক, প্রৌঢ় এমনকি বৃদ্ধদের অংশীদারিত্বও ছিল নজর কাড়ার মতো। তাই এ কথা এখন নিশ্চিতভাবে বলা যেতে পারে প্রয়োজনে বাংলাদেশ জ্বলে উঠতে পারে। দেশের ও মানুষের প্রতি গভীর দায়বদ্ধতায় নিজেকে সম্পৃক্ত করতেও পিছপা হয় না। এসব সংগ্রাম, আন্দোলন, প্রতিরোধ ও প্রতিবাদে মানুষ আর মানবতার জয়গান ধ্বনিত হয়, উচ্চকণ্ঠে দাবি ওঠে বাসযোগ্য একটি নিরাপদ আর মুক্ত দেশের। যে দেশে বেসামাল যানবাহন কিংবা অদক্ষ চালক তো নয়ই সড়ক পরিবহন আইনও হবে জনবান্ধব, নিশ্চিত ও নিরাপদ জীবনের শুভ সঙ্কেত। আর কোমলমতি শিক্ষার্থীরা সেই বোধে রাস্তায় তাদের অবস্থান শক্তই করেনি, প্রশাসনেও তার প্রভাব বিস্তার করে নতুন আইন প্রণয়নে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছে। পরবর্তী কেবিনেট মিটিংয়ে সড়ক পরিবহনের নতুন আইন মন্ত্রিপরিষদ সভা কর্তৃক অনুমোদিত হয়ে এখন পূর্ণাঙ্গ বিধির প্রজ্ঞাপন জারির অপেক্ষায়। তবে শুধুমাত্র আনাড়ি চালক কিংবা ত্রুটিযুক্ত যানবাহনই নয়, পথচারী ও যাত্রীদের সতর্ক থাকতে হবে সড়ক মহাসড়কে। পরিবহন বিধির অন্যতম ধারা যান চলাচলের ফাঁক ফোকরে পথচারীকে রাস্তা পার হতে দেয়া আইননিষিদ্ধ। পাশেই থাকে রাস্তা পারাপারের পদচারী সেতু। কিন্তু সিংহভাগ মানুষ তা ব্যবহার না করে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রাস্তা পার হয়। এমন অনিয়ম আর বিশৃঙ্খলাকেও ব্যক্তিক সচেতনতা আর কঠোর আইন দিয়ে বন্ধ করতে হবে। তা না হলে সড়কের দুর্ভোগ কোনভাবেই কমবে না। শুধু বৃহৎ নয় ছোট যানবাহনের চালকদেরও হঠাৎ করে গতি নিরোধ করা সম্ভব হয় না, যখন বিরতির সঙ্কেত উঠিয়ে নেয়া হয়। সুতরাং প্রত্যেক মানুষ যদি তাদের প্রতিদিনের জীবনকে অশুভ পর্যায় থেকে ঠেকাতে না পারে তা হলেও সড়কে পথচারী সঙ্কট কিছুমাত্র কমবে না। শুধুমাত্র গতিনিরোধক ব্যবস্থায় চালক নিজেকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে না, তার সঙ্গে যদি সড়কের অন্যান্য শৃঙ্খলাও সঠিকভাবে প্রদর্শিত না হয়। নতুন আইন করা হলো, ছাত্রদের আন্দোলনও সমর্থিত হয়ে সারাদেশকে জাগিয়ে তুলল, তাতে খুব আশা নিয়েই সবাই ভাবতে শুরু করে এবার আমরা হয়তবা নতুন এক সড়ক ব্যবস্থাপনা প্রত্যক্ষ করব। কিন্তু বাস্তব পরিস্থিতি এখনও নতুন কোন পথের সন্ধান দিতে পারেনি। এমন একটি সফল সড়ক আন্দোলন শেষ অবধি আলোর মুখ দেখবে না, এটাও কোন স্বাধীন দেশের জন্য মঙ্গলজনক কিনা সেটা ভাবার সময় হয়েছে। অথচ প্রধানমন্ত্রী নিজেই এই আন্দোলনকে ইতিবাচকভাবে মূল্যায়ন করেছেন। দুই নিহত ছাত্রছাত্রীর অভিভাবকদের প্রতি যথাযথ দায়িত্ব পালন করেছেন। তাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা উদ্যোগও গ্রহণ করা হয়েছে। সেখানে আবারও সেই গতানুগতিক চিত্রই প্রতিদিন উন্মুক্ত হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানবতার জননী, স্নেহশীল মা, তাঁর আশীর্বাদে সিক্ত হয়েছিল দেশের শিক্ষার্থী সমাজ। আন্দোলনরত ছাত্ররা অনেক আইনগত বিধিকে উপেক্ষা করে ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্ব যেভাবে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রেখেছিল, সেখানেও প্রধানমন্ত্রীর স্নেহাশীষ ছাত্রছাত্রীকে সমূহ বিপর্যয় থেকে রক্ষাই শুধু করেনি, তাদের নিরাপত্তার ব্যাপারেও সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়ে পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। কোমলমতি শিক্ষার্থীদের গায়ে কোন বিপদের আঁচটুকুও লাগতে দেননি। এমন সহানুভূতি ও সহমর্মিতা দেখানোর পর কোন অদৃশ্য ছায়ায় সড়ক পরিবহন ব্যবস্থা তার চিরাচরিত ধারায় আবারও দেখা দিল। শুধু তাই নয় সারাদেশে পথ দুর্ঘটনা কমার লক্ষণ তো নেই, বরং অনেক বেশি বেড়ে গেছে। সেখানে দুর্ঘটনা নয়, ইচ্ছাকৃত হত্যারও অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে বিভিন্নভাবে। চালক আর হেলপার মিলে ইচ্ছে করে গাড়ি থেকে ধাক্কা দিয়ে নামিয়ে দেয়ার পর সেই মানুষকে পিষে মারার অভিযোগও উঠেছে চট্টগ্রামের সিটি কর্পোরেশনের গেটের কাছে। যা নিয়ে পুরো চট্টগ্রামবাসী বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। এ ছাড়া কুষ্টিয়ায় রাস্তা পারাপারের সময় মার কোল থেকে সন্তান ছিটকে পড়ে গাড়ির নিচে চাপা দেয়ার ঘটনাও ঘটেছে। আন্দোলন চলাকালীন অবস্থায়ও সারাদেশে এমন অনেক অঘটনে সবাই বিস্ময়ে হতবাক হয়ে যায়। তার মানে কি বলা যায়, পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা আইনকানুনকে তো তোয়াক্কা করছেই না, বরং মানুষের মহামূল্যবান জীবন নিয়ে প্রতিনিয়ত ছিনিমিনি খেলছে। এখনও ফিটনেসহীন গাড়ি, প্রশিক্ষণহীন, লাইসেন্সবিহীন অদক্ষ চালক এবং লাগামহীন, বেপরোয়া গতি সড়ক পরিবহন ব্যবস্থাকে আষ্টেপৃষ্ঠে আঁকড়ে ধরেছে। যেখান থেকে অতি সহজে মুক্তি পাওয়া আদৌ সম্ভব কিনা সেটা প্রশ্নবিদ্ধ থেকেই যায়। তা হলে অনিয়ন্ত্রিত সড়ক পরিবহন সুষ্ঠু যাতায়াত ব্যবস্থাকে কখনও মানুষের কল্যাণে অবারিত করতে পারবে কিনা, সে প্রশ্ন মালিক-শ্রমিক, প্রশাসন কিংবা অন্যান্য সংশ্লিষ্ট সংস্থার কাছে, যারা যথার্থ কর্তৃপক্ষ? সবচেয়ে বেশি বিশৃঙ্খলা প্রতীয়মান হয় যাত্রীবাহী ভারি যানবাহনের ক্ষেত্রে। থামার নির্দিষ্ট কোন জায়গা নেই। যেখানে সেখানে যাত্রী ওঠা-নামা পরিবহন ব্যবস্থার একটি অন্যতম অনিয়ম। আর এই অনিয়ন্ত্রিত অব্যবস্থা যানজটকে যে অসহনীয় পর্যায়ে নিয়ে যায়, তা বর্ণনার অতীত। এই ধরনের অপরিকল্পিত সড়ক পরিবহনে যাত্রী-পথচারী প্রত্যেকেই জীবনের ঝুঁকির মধ্যে পড়ে যায়। কিন্তু চালক তার সহকারী এমনকি ট্রাফিক বিধিও নির্বিকার, নিষ্ক্রিয়। রাস্তায় ছাত্রছাত্রীর বৃহদাকার আন্দোলনের পরিণতি সেভাবে সুখকর হয়নি। প্রতিপক্ষ ষড়যন্ত্রকারীর অশুভ শিকারে পরিণত হয়ে বিভিন্ন বিপত্তির মধ্যে শিক্ষার্থীরা জড়িয়ে পড়ে। তখনই আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী একটু শক্ত হাতে আন্দোলনকে নিয়ন্ত্রণে এনে ছাত্রদের তাদের যথার্থ কর্তব্য অধ্যয়নে মনোযোগ দেয়ার আন্তরিক আহ্বান জানায়। অভিভাবক, শিক্ষক সবার প্রতি প্রশাসন ও সরকারের সনির্বন্ধ অনুরোধ ছিল। এক সময় ছাত্ররা সব ধরনের আশ্বাস পেয়ে নতুন সড়ক নীতি বাস্তবায়নের অপেক্ষায় ঘরের ছেলে ঘরে ফিরে যায়। আন্দোলন বানচালের হীন উদ্দেশ্য নিয়ে সরকারকে বিব্রত করার যে দুরভিসন্ধি চক্রান্তকারীরা করেছিল, তাতে আন্দোলনের মাহাত্ম্য নষ্ট না হলেও সড়ক পরিবহন ব্যবস্থায় এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। যাদের প্রত্যক্ষ প্রতিপত্তিতে সড়ক পরিবহনের দুর্যোগ কাটতে আরও সময় নিতে পারে। প্রধানমন্ত্রী দেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় সব ধরনের সূচককে সমান গুরুত্ব দিয়ে প্রবৃদ্ধির গতিধারাকে অবারিত করতে চান। ছাত্র আন্দোলনেও তাদের যৌক্তিক আবেদন শেখ হাসিনাকে নমনীয় করেছিল। তিনিও অত্যন্ত আন্তরিক শিক্ষার্থীদের এই জনবান্ধব কর্মপ্রক্রিয়ায়। কারণ স্বার্থটা শুধু ছাত্র সমাজের নয়, গণমানুষের। যেখানে প্রত্যেকের সচেতনতা সব থেকে বেশি জরুরী। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে একা সব দিকে নজর দেয়া সম্ভব নয়। নিজ নিজ দায়িত্ব পালনে অবহেলা এবং উদ্দেশ্যহীনতায় উপস্থিত সমস্যাকে সবার নজর থেকে সরিয়ে দেয়া সহজতর হয়। কিন্তু এখান থেকে তো বেরুতে না পারলে সঙ্কট আরও জটিল হতে সময় নেবে না। অসম সাহসিকতার উদীয়মান তরুণরা যেমন রুদ্ররোষে ক্ষিপ্ত হয়েছিল, সেটার যেন আর পুনরাবৃত্তি না হয় সে দিকে নজর দিতে হবে। আর সে জন্য নিরাপদ সড়ক তৈরিতে যথাযথ ভূমিকা পালন করে সবাইকে নিজের কর্তব্যে অবিচল থাকতে হবে। পরিবহন মালিক-শ্রমিককেও তাদের দায়ভার নিতে হবে। ট্রাফিক পুলিশকেও তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব সচেতনভাবে পালন করতে হবে। যাত্রী এবং পথচারীকেও নিজের জীবনবাজি রেখে সড়ক মহাসড়কে যা খুশি তাই করা থেকে বিরত থাকতে হবে। একা হাতে সব সামলানো কারও পক্ষেই সম্ভব নয়। সমন্বিত উদ্যোগ, সম্মিলিত প্রচেষ্টা এবং পরস্পরের প্রতি দায়বদ্ধতায় সমূহ সঙ্কট থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যাবে। এই মুহূর্তে সবাইকে মিলে-মিশে তাই করতে হবে। এর অন্যথা হলে সমস্যা যে তিমির সেই তিমিরেই থেকে যাবে। লেখক : সাংবাদিক
×