স্টাফ রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশের নাট্য জগতে অন্যতম জনপ্রিয় নাট্যদল বটতলা। অপেক্ষাকৃত তরুণ এ দলটি ১০ বছর পার করে ১১ বছরে পা রেখেছে গত ২৭ আগস্ট। ১১ বছরে পা এবং ১০ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে আজ ১ সেপ্টেম্বর বিশেষ কর্মসূচী পালন করতে যাচ্ছে বটতলা। আজ শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় বেইলি রোডের মহিলা সমিতি মিলনায়তনে এ আয়োজন অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে আয়োজন সূচীতে থাকছে আলোচনা, স্মৃৃতিচারণ, দলের সদস্য প্রয়াত নাদিম স্মৃতি সম্মাননা, শ্রেষ্ঠ নাট্যকর্মী পদক ২০১৮ প্রদান এবং নাটক মঞ্চায়ন।
দলসূত্রে জানা গেছে অনুষ্ঠানসূচীর প্রথমপর্ব নাদিম স্মৃতি শ্রেষ্ঠ নাট্যকর্মী পদক ২০১৮ প্রদান করা হবে। সন্ধ্যা ৬টা অনুষ্ঠান শুরু হবে ‘নাদিম স্মৃতি শ্রেষ্ঠ নাট্যকর্মী পদক ২০১৮’ প্রদানের মধ্য দিয়ে। পদক পাবেন বটতলার একজন নিষ্ঠাবান কর্মী যিনি বটতলার কর্মীদের মাধ্যমে নির্বাচিত হবেন। এ পদক প্রদানের কারণ বটতলা অন্তঃশক্তি বিকাশকে উদযাপন করতে চায়। পদক প্রদান করবেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি পঞ্চাশ দশকের ঢাকার মঞ্চাভিনেত্রী মার্থা রিতা গোমেজ। এছাড়াও পদক প্রদান অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন নাট্যকার ও নির্দেশক মাসুম রেজা, আজাদ আবুল কালাম, মোহাম্মদ বারী এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক আনু মুহাম্মাদ।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয়পর্বে রয়েছে বটতলার ১০ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন। সন্ধ্যা ৭-৩০ মিনিটে অনুষ্ঠানের দ্বিতীয়পর্বে থাকবে বটতলার নিজস্ব শিল্পীদের পরিবেশনায় গান, বটতলার জন্মদিনের কেক কাটা এবং রাত ৮টায় সুকুমার রায়ের ‘হেসোরাম হুঁশিয়ারের ডায়েরী’ অবলম্বনে ইভান রিয়াজের নাট্যরূপ ও নির্দেশনায় শিশুদের জন্য নাটক ‘বন্যথেরিয়াম’-এর বিশেষ প্রদর্শনী। নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করবেন তৌফিক হাসান ভুঁইয়া, ধ্রুব কায়েস, শেউতি শাগুফতা, হাফিজা আক্তার ঝুমা, সুমিত তেওয়ারি রানা, নোঙর রাসেল, পঙ্কজ মজুমদার, ম. সাঈদ, শাহদাৎ হোসেন, মাফরুর জাওয়াদ, আবু জাফর, কেএম মুত্তাকি ও ইভান রিয়াজ। মূল গল্প, গান ও কবিতা সুকুমার রায়, উপদেষ্টা নির্দেশক মোহাম্মদ আলী হায়দার, সুর ও সঙ্গীত পরিকল্পনায় ব্রাত্য আমিন ও হুমায়ূন রেওয়াজ, কোরিওগ্রাফি সামিনা লুৎফা নিত্রা, প্রপস্ ও সেট পাভেল রিয়াজ ও ম. সাঈদ, পোশাক পরিকল্পনা তৌফিক হাসান ভুঁইয়া, প্রযোজনা তত্ত্বাবধানে শেউতি শাগুফতা, প্রযোজনা ব্যবস্থাপনা সুমিত তেওয়ারি রানা, বাদ্যযন্ত্র ও কণ্ঠ শারমিন ইতি, হুমায়ূন আজম রেওয়াজ, রায়হান বাবু, শাবরুল ইসলাম, অমিত।
‘বন্যথেরিয়াম’ নাটকের কাহিনীতে দেখা যাবে প্রাণিবিজ্ঞান সংস্থা ‘ওয়াইল্ড ভিশনে’র মূল দায়িত্ব বন আর বন্যপ্রাণী গবেষণা, সংরক্ষণ এবং তা বৃদ্ধিতে কাজ করা হলেও এক অদ্ভুত প্রজাতির ‘ট্যাঁশ গরুর সন্ধান পাওয়া মাত্র তা ধরে নিয়ে আসা কোম্পানির প্রেসিডেন্ট হারুর নির্দেশে’। এমন অদ্ভুত আর বিরল বন্যপ্রাণীর সন্ধান ‘ওয়াইল্ড ভিশন’কে এনে দেয় খ্যাতি। খবর পেয়ে ছুটে আসে বন্যপ্রাণী ব্যবসায়ী ‘মিস হুকি’; সে আরও ট্যাঁশ গরুর সন্ধান চায়। এরই মাঝে আরও অদ্ভুত বন্যপ্রাণী আর প্রকৃতির সন্ধান নিয়ে আসে বিখ্যাত গবেষক ‘প্রফেসর হেসোরাম হুঁশিয়ারের ভাগ্নে ‘চন্দ্রখাই’ সে নিজেও একজন বিজ্ঞানী, গবেষক এবং প্রকৃতপ্রেমী। চন্দ্রখাইয়ের কাছে ‘প্রফেসর হেসোরাম হুঁশিয়ারে’র অদ্ভুত অভিযানের কাহিনী শুনে হারু আর মিস হুকি রোমাঞ্চিত হতে থাকে, সঙ্গে নতুন বিজনেসের ক্ষেত্র আবিষ্কার হচ্ছে ভেবে উৎফুল্লও হতে থাকে। তখন তারা অক্সিজেন, খাদ্যচক্র আর পরবর্তী প্রজন্মের কথা ভুলে স্বপ্ন দেখতে শুরু করে সবুজ প্রকৃতিকে ধূসর করে দেবার। আর চন্দ্রখাইও গল্পের ছলে পৌঁছুতে থাকে তার চূড়ান্ত উদ্দেশ্যে।