ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

নীলফামারীতে বিদ্যুত বিভ্রাট ॥ কারখানায় উৎপাদন ব্যাহত

প্রকাশিত: ০৪:১১, ২৭ আগস্ট ২০১৮

নীলফামারীতে বিদ্যুত বিভ্রাট ॥ কারখানায় উৎপাদন  ব্যাহত

স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী ॥ বিদ্যুত আছে, কিন্তু লো-ভোল্টেজে বাতিও জ্বলে তবে নিভু নিভু। আবার গতি নেই ফ্যানে। এসি ও ফ্রিজ অন করলেই বিপদ। নির্ঘাত নষ্ট। চলছে না বিদ্যুত চালিত যন্ত্রপাতি, এর ওপর ঘণ্টার পর ঘণ্টা লোডশেডিং। বিদ্যুতের এমন লোডশেডিং আর লো-ভোল্টেজে একদিকে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে, অন্যদিকে প্রায় ২৪ দিন ধরে জেলার বিভিন্ন বড় কল-কারখানায় উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। জেলা শহরের মিলন পল্লীর এক বেসরকারী ইঞ্জিনিয়ার বিকাশ রায় বললেন পুরাতন তারের লাইনের ভোল্টেজ ভাল, সৈয়দপুর হতে নীলফামারী ৩৩ হাজার ভোল্টের যে নতুন লাইনটি নিয়েছে সেটির ভোল্টেজ কম। তিনি মনে করেন পুরাতন লাইনের তারটি অনেক ভাল। সেটিকে বাতিল করে যে নতুন তার দেয়া হয়েছে তা কোন কাজে আসছে না। বিশ্বাস না হয় তদন্ত করে দেখুন। জেলা সদরের নূহা অটো রাইস মিলের মালিক সৈয়দ রাকিব হাসান মিশুক বলেন, ‘আমার মিলে দেড় শতাধিক শ্র্র্রমিক কাজ করেন। এর আগে লো-ভোল্টেজের একটি ধাক্কা না কাটতেই চলতি মাসের প্রথমদিক থেকে আবারও শুরু হয়েছে সমস্যা। এ কারণে মিল বন্ধ থাকায় শ্রমিকদের বসিয়ে রেখে বেতন দিতে হচ্ছে। ফলে আমার মিলে প্রতিদিন লোকসান হচ্ছে পাঁচ লক্ষাধিক টাকা।’ সামসুল অটো রাইস মিলের মালিক সামসুল হক বলেন, ‘লো-ভোল্টেজের কারণে আমার রাইস মিল চলছে না। এতে প্রতিদিন আমার লোকসান হচ্ছে প্রায় চার লাখ টাকা। ঝুঁকি নিয়ে মিল চালাতে গিয়ে বৈদ্যুতিক মোটরসহ বিভিন্ন যন্ত্রপাতি নষ্ট হচ্ছে। মিল বন্ধ থাকায় শতাধিক শ্র্রমিক কর্মহীন দিন কাটাচ্ছে। ‘তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমি বিভিন্ন মহলে কথা বলেছি। গত জুলাই মাসের ২১ তারিখ থেকে সমস্যার কিছুটা সমাধান হলেও চলতি মাসের ৬ তারিখ থেকে আবারও সেই লো-ভোল্টেজ সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। এ অবস্থা আর কিছুদিন চললে লোকসানের ভারে মিল মালিকরা ঋণখেলাপী হবেন।’ সূত্র মতে জেলায় এমন অটো রাইস মিল রয়েছে ২১টি। রয়েছে দুটি সিরামিক ও একটি টাইলস কারখানাসহ ছোট-বড় অনেক শিল্প কলকারখানা। বিভিন্ন যন্ত্রপাতি নষ্ট হওয়াসহ শুধু ওই ২১ অটো রাইস মিলে প্রতিদিন লোকসান হচ্ছে প্রায় পৌনে এক কোটি টাকা। পাশাপাশি অন্যান্য কল-কারখানাসহ দিনে লোকসান হচ্ছে পাঁচ কোটি টাকার উর্ধে। জানা গেছে, জেলায় লো-ভোল্টেজের কারণে প্রায় বন্ধ হয়ে পড়েছে বিদ্যুত নির্ভর ব্যবসা বাণিজ্যও। জেলা শহরের ফটোকপি ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান বলেন, ‘এর আগের লো-ভোল্টেজে শুধু রাতে মেশিন চালানো সম্ভব হয়নি।
×