ফারিয়ার গুজবের অডিও প্রকাশ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ অবশেষে ছাত্র আন্দোলনে গুজব ছড়ানোর দায়ে গ্রেফতারকৃত ফারিয়া মাহজাবিনের গুজবের অডিও প্রকাশ করল র‌্যাব। অডিওতে এক ছাত্রকে ধানমন্ডির আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে হত্যা ও এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে গুজব ছড়িয়ে ছিল ফারিয়া মাহজাবিন। গুজব ছড়ানোর দায়ে গ্রেফতারকৃত ফারিয়া মাহজাবিন তিন দিনের পুলিশ রিমান্ডে রয়েছে। শনিবার ঈদ উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির বিষয়ে কাওরানবাজারে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন র‌্যাব মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ। সংবাদ সম্মেলন শেষে সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে র‌্যাব মহাপরিচালক বলেন, ফারিয়া মাহজাবিনকে সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়েছে। দেশে বিশৃঙ্খলা তৈরির জন্য ফারিয়া মিথ্যা কথা প্রচার করেছিল। শেষ পর্যন্ত সাংবাদিকদের অনুরোধে র‌্যাব ফারিয়ার সেই গুজব ছড়ানোর অডিও শোনান। র‌্যাব মহাপরিচালক জানান, নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলাকালে গত ৪ আগস্ট আওয়ামী লীগের ধানমন্ডি কার্যালয়ের সামনের রাস্তায় এক মেয়েকে ধর্ষণ ও একজনকে গলা কেঁটে হত্যা করার গুজব ছড়ায় ফারিয়া। সেই গুজবের অডিও রেকর্ড তৈরি করে ফেসবুক মেসেঞ্জার ও অন্যান্য মাধ্যমে শেয়ার করেন। ওই রেকর্ডে একজনের নাম উল্লেখ করে মাহজাবিনের কণ্ঠে ছিল, আমাকে বলছে, ম্যাম এসেন না। ওরা নিজেদের সামনে তিনটা লাশ দেখছে। কিছুক্ষণ পরে একটা ছেলে আসছে। ওর রাবার বুলেট লাগছে। সে আমার ক্যাফেতে এসে সেন্সলেস হয়ে গেছে। পরে আমাকে নিজে বলতেছে, ম্যাডাম জানেন, ওই ছেলের কাছ থেকে শুনছি একজনকে চাকু দিয়ে মেরে ফেলছে, গুলি করছে। রাস্তার ওপরে একটা মেয়েকে রেপ করছে। র‌্যাব মহাপরিচালক বলেন, ফারিয়া বলেছেন একজনের গলা দা দিয়ে কেটে ফেলা হয়েছে এবং হাজার হাজার মানুষের মধ্যে একটা মেয়েকে রেপ করা হয়েছে। আর তিনটা লাশ দেখেছে। তা এগুলো কোথায় ? এগুলো করা হয়েছে সিম্পলি আমাদের দেশটাকে ধ্বংসের মুখোমুখি নিয়ে যাওয়ার জন্য এবং ডেলিবারেটলি। মেয়েটা কিন্তু কম্পিউটার সায়েন্স গ্রাজুয়েট। সে কিন্তু জানে এটাকে কীভাবে ব্যবহার করতে হয়। এজন্য ফেসবুক ব্যবহার না করে ওনি রেকর্ড করেছেন, এবং ভয়েজ স্টেটমেন্ট হিসেবে এটাকে ওনি সোশ্যাল মিডিয়াতে ডিস্ট্রিবিউট করেছেন। আমরা এই সমস্ত লোকদের খুঁজছি। ওনাকে নিয়ে আসছি যখন, ওনাকে ইন্টারোগেট করা হয়েছে। ওনি যাদের কথা বলেছেন, তাদের আমরা নিয়ে আসব। র‌্যাব প্রধান বলেন, শুধু গুজব সৃষ্টিকারী নয়, পেছন থেকে যারা ইন্ধন দিচ্ছেন আইনের আওতায় আনা হবে তাদেরও। নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যে ৪ আগস্ট ফেসবুকে ব্যাপকভাবে গুজব ছড়ানো হয়। আওয়ামী লীগের ধানমন্ডি কার্যালয়ে ছাত্র হত্যা ও ধর্ষণের গুজব ছড়িয়ে শিক্ষার্থীদের উত্তেজিত করা হয়। আর এরপর হামলা হয় সেখানে, ঘটে সংঘর্ষ।