ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

আলোকোজ্জ্বল কামারখন্দ ॥ বিদায় কুপি ও হারিকেন

প্রকাশিত: ০৫:৩২, ১৮ আগস্ট ২০১৮

আলোকোজ্জ্বল কামারখন্দ ॥ বিদায় কুপি ও হারিকেন

বিদায় হারিকেন! বিদায় কুপি বাতি!! ধামকোল, দশশিকা ও চালা শাহবাজপুরসহ কামারখন্দ উপজেলার ৫৩ গ্রামের কোথাও এখন আর কুপি বাতি বা হারিকেনের আলো জ্বলে না। ঘরের আলো জ্বালাতে কেউ এখন আর কেরোসিন তেল ব্যবহার করে না। কেরোসিন বিক্রির দোকানও কমে গেছে। অন্ধকারের কামারখন্দ এখন আলোকিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৭ সালের ১০ ডিসেম্বর কামারখন্দ উপজেলাকে শতভাগ বিদ্যুতায়নের উদ্বোধন করেছেন। ১৯০৯ সালে প্রতিষ্ঠিত কামারখন্দ থানা ১৯৮৩ সালে উপজেলায় রুপান্তর হয়। ৪ ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত কামারখন্দ উপজেলার জনসংখ্যা প্রায় দুইলাখ। গ্রামের সংখ্যা মাত্র ৯৩। যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে লোকে বলত ‘যার হয় কপাল মন্দ সে বাস করে কামারখন্দ’। সেই প্রবাদবচনটি এখন উল্টে গেছে। লোকে বলে ‘যার আছে মনে আনন্দ সে বাস করে কামারখন্দ।’ কামারখন্দ উপজেলার প্রতিটি গ্রাম এখন আলোকোজ্জ্বল। উপজেলার চার ইউনিয়নে পাঁচ শ’ চল্লিশ কিঃমি বিদ্যুতের লাইন টানা হয়েছে। বিদ্যুতের গ্রাহকের সংখ্যা ৩৯ হাজার ৬৩৫। এর মধ্যে গৃহস্থালী বা আবাসিক গ্রাহক ৩৪ হাজার ২৪০। ক্ষুদ্র শিল্পে গ্রাহকের সংখ্যা ৩শ ৫৯। পল্লী বিদ্যুতের হিসাব মতে কামারখন্দ উপজেলাকে বিদ্যুতায়নের আওতায় আনতে প্রায় ৫০ কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে। সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ও সিরাজগঞ্জ-২ (সদর কামারখন্দ) আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডাঃ হাবিবে মিল্লাত মুন্না তাঁর নির্বাচনী এলাকা কামারখন্দকে পল্লী বিদ্যুতের আওতায় প্রায় পঞ্চাশ কোটি টাকা ব্যয়ে আলোকিত করেছেন। শুধু বিদ্যুতায়ন নয়, সড়ক ও সড়ক অবকাঠামো, ব্রিজ কালভার্ট নির্মাণ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো গড়ে তুলেছেন। কামারখন্দের একমাত্র উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হাজী কোরপ আলী কলেজকে সরকারীকরণ করেছেন। -বাবু ইসলাম, সিরাজগঞ্জ থেকে
×