ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

মহাবিপাকে পড়তে পারে বাংলাদেশ

প্রকাশিত: ০৫:২৩, ১৮ আগস্ট ২০১৮

 মহাবিপাকে পড়তে পারে বাংলাদেশ

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ এবার এশিয়া কাপ হবে সংযুক্ত আরব আমিরাতে। ১৫ সেপ্টেম্বর শুরু হবে টুর্নামেন্ট। শেষ হবে ২৮ সেপ্টেম্বর। এবার ওয়ানডে ফরমেটে হবে এশিয়া কাপ। সূচীতে যে অবস্থা দেখা যাচ্ছে তাতে মহাবিপাকে পড়তে পারে বাংলাদেশ। গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন দল হলে সমস্যা খানিক কম হবে। কিন্তু রানার্সআপ হলে সমস্যা অনেক বেশি হবে। যেভাবেই হোক, বিপাকে পড়বেই বাংলাদেশ। যদি শেষ মুহূর্তে সূচীতে কোন পরিবর্তন না আনা হয়। এশিয়া কাপে বাংলাদেশ রয়েছে ‘বি’ গ্রুপে। একই গ্রুপে শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তানও রয়েছে। ১৫ সেপ্টেম্বর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে লড়াই করবে বাংলাদেশ। এরপর ২০ সেপ্টেম্বর আফগানিস্তানের বিপক্ষে খেলবে। প্রথম ম্যাচটি হবে দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। দ্বিতীয় ম্যাচটি হবে আবুধাবির শেখ জায়েদ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। ২১ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে ‘সুপার ফোরে’র খেলা। যদি বাংলাদেশ গ্রুপপর্বে সেরা দুই দলের একটি হতে পারে তাহলে ‘সুপার ফোরে’ খেলবে। এই ‘সুপার ফোরে’র খেলা নিয়েই বিপাকে পড়বে বাংলাদেশ। ‘সুপার ফোরে’র সূচী যদি শেষ পর্যন্ত একই থাকে তাহলে ২০ সেপ্টেম্বর আফগানিস্তানের বিপক্ষে খেলে ২১ সেপ্টেম্বর ‘সুপার ফোরে’র ম্যাচ খেলতে হবে বাংলাদেশকে। যদি বাংলাদেশ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয় তাহলে সমস্যা একটু কম হবে। ‘এ’ গ্রুপে আছে ভারত, পাকিস্তান ও এশিয়া কাপের বাছাইপর্ব থেকে উতরে আসা একটি দল। এ দলের মধ্যে সেরা দুইয়ে থাকবে দুটি দল। বাংলাদেশ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হলে ‘এ’ গ্রুপের রানার্সআপ দলের বিপক্ষে লড়াই করবে। খেলাটি হবে আবুধাবিতেই। খেলাগুলো শুরু হবে সকাল এগারোটায়। শেষ হতে হতে সন্ধ্যা ৭টা বাজবে। পরেরদিন আবুধাবিতে খেলা হলে তখন টানা দুই ম্যাচ খেলার ধকল নেয়া সম্ভব হবে। কিন্তু যদি বাংলাদেশ গ্রুপ রানার্সআপ হয়, তাহলে মহাবিপদে পড়বে। আবুধাবিতে খেলে পরের দিন খেলতে হবে দুবাইয়ে। ‘এ’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন দলের বিপক্ষে খেলতে হবে। তখন ২০ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় খেলা শেষ করেই দুবাইয়ের উদ্দেশে রওনা হতে হবে। রাতের মধ্যেই যদিও দল দুবাইয়ে পৌঁছে যেতে পারবে। কিন্তু খেলা শেষ করেই আরেক শহরে যাওয়ার চিন্তা থাকবে। ক্লান্তি নিয়ে আবুধাবি থেকে যাবে দুবাইয়ে। আবার রাত কোন রকমে কাটতেই আরেক ম্যাচে খেলতে হবে। যা মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। হয় ভারত নয়তো পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলা থাকতে পারে। যে দুই দলের বিপক্ষে ম্যাচকে অনেক গুরুত্ব দেয়া হয়। আবুধাবিতেই যদি খেলতে পারে বাংলাদেশ তাহলেও এই দুই দলের যে কোন একটির বিপক্ষে খেলতে হতে পারে। তবে রাতেই এক শহর থেকে আরেক শহরে গিয়ে খেলা ঝামেলারই হবে। এ দুই দলের বিপক্ষে খেলতে হলে বিশেষ পরিকল্পনা লাগবে। সেই পরিকল্পনা করারই সময় ঠিকমতো মিলবে না। টানা দুই ম্যাচ খেলাই তো ঝামেলার। সেখানে যদি আবার ভ্রমণ ক্লান্তি যোগ হয় তাহলে তো সমস্যা আরও বেড়ে যাবে। এ নিয়ে ভাবনা এখন সবার মধ্যেই আছে। এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) তত্ত্বাবধানে খেলা হয় এশিয়া কাপ। বাংলাদেশের কথা মাথায় না থাকলেও ভারত ও পাকিস্তানের ম্যাচটি নিয়ে তারা ভাবনায় পড়েছে। ভারত যে টানা দুইদিন, দুই ম্যাচ খেলবে। গ্রুপপর্বে ১৮ সেপ্টেম্বর বাছাইপর্ব উতরে আসা দলের বিপক্ষে খেলার পরই পরেরদিন চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দল পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলতে হবে ভারতকে। এ নিয়ে সমালোচনা চলছেই। এসিসি তাই ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের সূচী নিয়ে ভাবতে শুরু করেছে। এই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচটির সূচীতে শেষ পর্যন্ত পরিবর্তন আসলে ‘সুপার ফোরে’র সূচীও পরিবর্তন হতে পারে। ‘সুপার ফোরে’র সূচী একদিন পরে হতে পারে। তাতে বাংলাদেশের স্বস্তি মিলবে। টানা ম্যাচ খেলা থেকে মুক্তি মিলতে পারে। টানা ম্যাচ খেলার সঙ্গে গ্রুপ রানার্সআপ হলে রাতের মধ্যেই আরেক শহরে (আবুধাবি থেকে দুবাই) গিয়ে খেলা ঝামেলা থেকেও মুক্তি মিলতে পারে। বিপাক তখন দূর হবে। আর যদি কোনভাবে ‘সুপারফোরে’র সূচী একই থাকে তাহলে মহাবিপাকে পড়তে পারে বাংলাদেশ।
×