ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ১৪ দল একত্রে কাজ করবে ॥ নাসিম

প্রকাশিত: ০৪:৪৮, ১৮ আগস্ট ২০১৮

 আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ১৪ দল একত্রে  কাজ করবে ॥ নাসিম

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ আওয়ামী লীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য, কেন্দ্রীয় ১৪ দলের মুখপাত্র এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হতে বঙ্গবন্ধু শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ১৪ দল ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৩তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ১৪ দল আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি আরও বলেন, দুনিয়ার কোন শক্তি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঠেকাতে পারবে না। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করেছিল কিন্তু পারেনি। এবারও কেউ নির্বাচন ঠেকাতে পারবে না ইনশাআল্লাহ। নির্বাচন নিয়ে কোন ফাউল গেম খেলতে দেয়া হবে না, অতীতের মতো জ্বালাও-পোড়াও করতে দেয়া হবে না। মোহাম্মদ নাসিম বলেন, নির্বাচনে যে কেউ অংশ নিতে পারে। নির্বাচন করার অধিকার সবার আছে। কিন্তু নির্বাচনের নামে কোনো ফাউল গেম দেখতে চাই না। সংবিধান অনুযায়ী ডিসেম্বরে নির্বাচন হবে। নির্বাচন পরিচালনা করবে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধান থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কমিশনকে বলব, সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করতে আপনারা এগিয়ে যান। সার্বিক সহযোগিতা করবে ১৪ দল। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, চক্রান্ত শুরু হয়ে গেছে। দেশে বিদেশে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। কিন্তু অতীতের মতো ঐক্যবদ্ধ থেকে শেখ হাসিনার নির্দেশনায় ষড়যন্ত্র মোকাবেলার ক্ষেত্রে ১৪ দল কাজ করছে এবং করবে। তিনি বলেন, এখন অনেকে অনেক কথা বলেন। কিন্তু যেদিন ইনডেমনিটি অধ্যাদেশের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচারের পথ বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল, খুনীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়া হলো তখন কোথায় ছিল তাদের মানবাধিকার, কোথায় ছিল তাদের তত্ত্ব। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু হলেন হিমালয়ের মতো উঁচু। হিমালয়ের নিচে বসে কোন অন্ধ যদি হিমালয়ের উচ্চতা পরিমাপ করতে না পারে সেটা অন্ধের দোষ। তিনি বলেন, জাতির দুর্ভাগ্য জাতীয় শোক দিবসের দিন একটি দল ও তাদের নেত্রী ভুয়া জন্মদিনের নামে কেক কেটে উল্লাস করে। এটা কি গণতন্ত্র? গণতন্ত্র মানে কি হত্যা ষড়যন্ত্র করা? গণতন্ত্র মানে কি জঙ্গীবাদ সন্ত্রাস সৃষ্টি করা? গণতন্ত্র মানে কি হাওয়া ভবন তৈরি করা? তিনি বলেন, আমরা আর কোন উদারতা দেখাব না। উদারতা দেখিয়ে বঙ্গবন্ধুকে হারিয়েছি। উদারতা দেখিয়েছি বলেই শেখ হাসিনার ওপর হামলা হয়েছে। সুতরাং সকল অপরাজনীতি, ষড়যন্ত্র ও অপশক্তিকে আমরা রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করব, এক্ষেত্রে কোন ছাড় দেয়া হবে না। এখন থেকে মাঠে-ময়দানে ১৪ দল সতর্ক থাকবে। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ সার্বিকভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। দেশের এই অগ্রযাত্রা ধরে রাখতে দেশবাসী আবারও আওয়ামী লীগকে বিজয়ী করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। জাতীয় পার্টির (জেপি) সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মন্ত্রী শেখ শহীদুল ইসলাম বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ করতে হয় আমাদের প্রয়োজনে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে। ১৫ আগস্টে জাতির পিতাসহ যারা নিহত হয়েছেন তারা অমর। তিনি বলেন, ষড়যন্ত্র চলছে। ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করা আমাদের রাজনৈতিক কর্তব্য। শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রতি ১৪ দলের অকুণ্ঠ সমর্থন রয়েছে বলে তিনি জানান। সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় তার কন্যা শেখ হাসিনা কাজ করে যাচ্ছেন। দেশকে দ্রুত এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। এখন ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। জাসদের (একাংশ) সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার বলেন, বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী পড়লেই বোঝা যাবে জাতির পিতা কেমন মানুষ ছিলেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করে গেছেন। ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন তরিকত ফেডারেশনের সভাপতি নজিবুল বশর মাইজভা-ারী এমপি, জাসদের (একাংশ) সভাপতি শরীফ নুরুল আম্বিয়া, ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা, গণআজাদী লীগের সভাপতি এসকে শিকদার, কমিউনিস্ট কেন্দ্রের আহ্বায়ক ডাঃ ওয়াজেদুল ইসলাম খান, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডাঃ শাহাদাৎ হোসেন, বাসদের আহ্বায়ক রেজাউর রশীদ খান, ন্যাপ’র ইসমাইল হোসেন প্রমুখ। সভা পরিচালনা করেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
×