ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

কোটা আন্দোলন থেকে শুরু করে নিরাপদ সড়ক ও সর্বশেষ জাতীয় শোক দিবসে প্রমাণ মিলেছে আসন্ন সংসদ নির্বাচন ঘিরে আরও পরিকল্পিতভাবে গুজব ছড়ানোর আশঙ্কা, বড় ধরনের অঘটন ঘটানোর ছক

গুজবই ভরসা ॥ সরকার হটাতে বিরোধীদের অপচেষ্টা

প্রকাশিত: ০৪:৪৫, ১৮ আগস্ট ২০১৮

গুজবই ভরসা ॥ সরকার হটাতে বিরোধীদের অপচেষ্টা

গাফফার খান চৌধুরী ॥ গুজব ছড়িয়ে সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার চেষ্টা করছে সরকারবিরোধীরা। তারই ধারাবাহিকতায় বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে একের পর এক গুজব ছড়ানো হয়েছে। কোটা আন্দোলন থেকে শুরু করে নিরাপদ সড়ক ও সর্বশেষ জাতীয় শোক দিবসে যার প্রমাণ মিলেছে। ছাত্র আন্দোলনে গুজব ছড়ানোর দায়ে ফারিয়া মাহজাবিন নামে আরও এক নারী র‌্যাবের হাতে গ্রেফতার হয়েছে। তাকে তিনদিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। এ নিয়ে ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় শোক দিবসে গুজব ছড়ানোর দায়ে মোট ১১ জন গ্রেফতার হলো। গোয়েন্দা সূত্রগুলো বলছে, আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে আরও পরিকল্পিতভাবে গুজব ছড়ানোর আশঙ্কা আছে। ওই সময় গুজব ছড়িয়ে সারাদেশে আরও বড় ধরনের অঘটন ঘটানোর পরিকল্পনা রয়েছে সরকার বিরোধীদের। গুজব ছড়ানোর সঙ্গে জড়িত অনেকের ফেসবুকসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোর বিষয়ে তদন্ত হচ্ছে। অনেকেই নজরদারির মধ্যেও রয়েছেন। তদন্ত শেষে তাদের বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন র‌্যাবের লিগ্যাল এ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান। গত ২৯ জুলাই দুপুরে রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কের কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সামনে এমইএস বাসস্ট্যান্ডে প্রতিদিনের মতো যানবাহনের জন্য অপেক্ষারত শিক্ষার্থীদের চাপা দেয় যাত্রীবাহী জাবালে নূর পরিবহনের একটি বাস। এতে ঘটনাস্থলেই শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের একাদশ শ্রেণীর ছাত্রী দিয়া খানম মীম ও বিজ্ঞান বিভাগের দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র আব্দুল করিম রাজিব নিহত হয়। আহত হয় অন্তত ১৫ শিক্ষার্থী। এমন ঘটনার জেরে সারাদেশের বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করতে থাকে। আন্দোলন যখন তুঙ্গে তখন পরিকল্পিতভাবে গুজব ছড়ানো হতে থাকে। আর সেই গুজবের জেরে শিক্ষার্থীরা প্রায় আটদিন সারাদেশের যানবাহন চলাচল অচল করে রাখে। পুরো দেশের ট্রাফিক ব্যবস্থার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় শিক্ষার্থীরা। বিভিন্ন জায়গায় শিক্ষার্থীদের ধাওয়া পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। যারা গুজব ছড়িয়ে ছিল তাদেরকে চিহ্নিত করে গ্রেফতার করতে সারাদেশে সাঁড়াশি অভিযান চালাচ্ছে আইনশ্ঙ্খৃলা বাহিনী। তারই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর হাজারীবাগ থানাধীন হাজী আফসার উদ্দিন রোডের একটি বাড়ি থেকে ফারিয়া মাহজাবিন (২৮) নামের ওই তরুণীকে গ্রেফতার করে র‌্যাব-২ এর একটি দল। তার কাছে থাকা মোবাইল ফোনটি জব্দ করা হয়েছে। র‌্যাবের লিগ্যাল এ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান জানান, নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের মধ্যে ফেসবুকে উস্কানিমূলক পোস্ট দিয়ে গুজব ছড়িয়েছিল ফারিয়া। তিনি ধানমন্ডিতে নার্ডি বিন নামের একটি কফিশপের মালিক। ঢাকার নর্থ ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটিতে লেখাপড়া করেন। তিনি ফেসবুক মেসেঞ্জার ব্যবহার করে ছাত্র আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত ও দীর্ঘায়িত করে আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটাতে উদ্দেশ্যমূলকভাবে উস্কানিমূলক মিথ্যা তথ্য সংবলিত অডিও ক্লিপ ছড়িয়েছিলেন। সরকার শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেয়ার পরও ফারিয়া শিক্ষার্থীদের নানাভাবে উস্কে দেয়ার চেষ্টা করেছেন। র‌্যাব-২ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল আনেয়ার-উজ-জামান জানান, আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীদের খাবার ও পানীয় সরবরাহ করে ফাঁকে ফাঁকে তাদের নানাভাবে উস্কে দেয়ার চেষ্টা করেছেন। শুক্রবার সকালে ফারিয়াকে রাজধানীর হাজারীবাগ থানায় সোপর্দ করা হয়। হাজারীবাগ থানা পুলিশ জানিয়েছে, ফারিয়ার বিরুদ্ধে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার এক আসামি পলাতক। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা হাজারীবাগ থানার এসআই মাজেদুর রহমান বিকেলে ফারিয়াকে আদালতে হাজির করে সাতদিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম এ কে এম মাইনুদ্দীন ফারিয়াকে তিনদিনের রিমান্ডে পাঠান। এর আগে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী কুমিল্লার ব্যারিস্টার মিলহানুর রহমান নওমীকে বন্ধুবান্ধব ও লোকজনসহ ঢাকায় এসে ছাত্র আন্দোলনে নেমে সরকারকে বেকায়দায় ফেলে দিতে আহ্বান জানিয়েছিলেন। এ সংক্রান্ত অডিওটি ভাইরাল হয়ে পড়ে। এ ঘটনায় গত ১১ আগস্ট চট্টগ্রামে দায়েরকৃত মামলায় নওমীকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ। এর আগে ঢাকা এ্যাটাক সিনেমার অভিনেত্রী কাজী নওশাবা আহমেদ ফেসবুক লাইভে চার শিক্ষার্থীর মৃত্যু ও চার ছাত্রী ধর্ষণের গুজব ছড়িয়ে দেন। এমন মিথ্যা তথ্য ছড়ানোর দায়ে র‌্যাব গত ৪ আগস্ট উত্তরা থেকে তাকে গ্রেফতার করে। পরে তাকে দুই দফায় ৬ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে ডিবি পুলিশ। গত ৫ আগস্ট রাতে ধানমন্ডি থেকে দৃক গ্যালারির প্রতিষ্ঠাতা ও আলোকচিত্রী ড. শহিদুল আলম আন্তর্জাতিক এক গণমাধ্যমে নিরাপদ সড়ক আন্দোলন সম্পর্কে মিথ্যা ও উদ্দেশ্যমূলক বক্তব্য দেয়ার দায়ে ডিবি পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন। গত ৭ আগস্ট রাতে ফেসবুকে গুজব ছড়িয়ে নিরাপদ সড়ক দাবির আন্দোলনকারীদের নাশকতামূলক কর্মকা-ে উস্কে দেয়ার দায়ে ছাত্র শিবিরের বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় শাখার কর্মী বুয়েটের মেকানিক্যাল বিভাগের ১৫তম ব্যাচের ছাত্র দাইয়ান প্রধানকে গ্রেফতার করে চকবাজার থানা পুলিশ। চকবাজার থানার ওসি শামীমুর রশিদ তালুকদার জনকণ্ঠকে জানান, দাইয়ান ঝিগাতলায় চার ছাত্রকে হত্যার পর লাশ গোসল করাতে এবং চার ছাত্রীকে ধর্ষণ করার দৃশ্য দেখেছেন বলে ফেসবুকে গুজব ছড়িয়েছিল। এছাড়া গত ৭ আগস্ট র‌্যাব শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সময় গুজব ছড়ানোর দায়ে ধানম-ি থেকে আকতারুজ্জামান টনি (২২), আসাদুল্লাহ আল গালিব (২২) ও মুনইম সরকার (২৩) নামে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও শিবির কর্মীকে গ্রেফতার করে। গত ১৫ আগস্ট ছাত্র আন্দোলনের সময় গুজব ছড়ানোর দায়ে সিরাজগঞ্জের বেলকুচির যমুনা নদীর দুর্গম চরাঞ্চল ক্ষীদ্র চাপড়ির চর থেকে ডিবি পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয় কোটা সংস্কার আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম-আহ্বায়ক ইডেন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের ছাত্রী লুৎফুন্নাহার লুমা। রমনা থানায় দায়েরকৃত তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে দায়ের করা মামলার আসামি হিসেবে তাকে তিনদিনের রিমান্ডে পেয়ে ডিবি পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করছে। নিরাপদ সড়ক আন্দোলন চলাকালীন আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে শিক্ষার্থীদের হত্যার পর লাশ লুকিয়ে রাখা এবং ছাত্রী ধর্ষণের গুজব ছড়ানোর অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। গত ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসে গুজব ছড়ানোর দায়ে আহমাদ হোসাইন (১৯) ও নাজমুস সাকিব (২৪) নামে দুই জনকে গ্রেফতার করে সিআইডি। গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে গোয়েন্দা সূত্রগুলো বলছে, আপাতত সরকারবিরোধীরা সরকার হটাতে গুজবপন্থাকে বেছে নিয়েছে। এছাড়া আর কোন বিকল্প নেই তাদের হাতে। এমন গুজব ছড়ানো হয়েছে পরিকল্পিতভাবে। গুজব সামনের দিনগুলোতে আরও বাড়বে। গুজবের ডাইমেনশন চেঞ্জ হবে। তখন গুজবকে আরও বিশ্বাসযোগ্য করে ছাড়া হতে পারে। এজন্য দেশের বাইরে থেকে কলকাঠি নাড়ার পরিকল্পনার কথা জানা গেছে। যারা এমন গুজব ছড়াবে তাদের অবস্থান থাকবে দেশের বাইরে। অথচ যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের উপস্থিতি বাংলাদেশে বলে দেখানো হবে। এজন্য তারা প্রযুক্তিকে কাজে লাগাবে। দীর্ঘ দিন ধরেই সরকারবিরোধীরা গুজবকে সরকার হটানোর অন্যতম হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় কোটা সংস্কার আন্দোলনে ছাত্র মৃত্যুর গুজব ছড়িয়ে ভিসির বাসভবন ভেঙ্গে চুরমার করে দিয়ে পরিকল্পিতভাবে সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার চেষ্টা করা হয়েছিল। এছাড়া বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ভ্যাট আন্দোলন, ২০১৩-১৪ সালের নৈরাজ্য, ২০১৫ সালের টানা সন্ত্রাসী কর্মকান্ড, বোমাবাজি ও অগ্নি সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালানোর ক্ষেত্রেও গুজবকে কাজে লাগানো হয়েছিল। এ ব্যাপারে র‌্যাবের লিগ্যাল এ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান জনকণ্ঠকে বলেন, একের পর এক গুজব ছড়ানোর ঘটনা ঘটানো হচ্ছে, যা একেবারেই পরিকল্পিত। সরকারকে পরিকল্পিতভাবে বেকায়দায় ফেলে ক্ষমতাচ্যুত করতেই এমনটাই করা হচ্ছে। আপাতত সরকারবিরোধীরা গুজবপন্থাকে সরকার হটানোর কৌশল হিসেবে বেছে নিয়েছে। সামনের দিনগুলোতে গুজবের পরিমাণ বাড়বে। বিশেষ করে আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সারাদেশে মারাত্মকভাবে গুজব ছড়ানো হতে পারে। সেইসব গুজব বিশ্বাসযোগ্য করে ছাড়া হতে পারে। যাতে সারাদেশে একটি সহিংস পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। অনেক সময় এর কলকাঠি বিদেশ থেকে নাড়া হয়। তিনি বলছেন, র‌্যাব দীর্ঘদিন ধরেই এ বিষয়ে কাজ করছে। সম্প্রতি কাজের মাত্রা আরও বাড়ানো হয়েছে। অনেকের ফেসবুকসহ অন্যান্য যোগাযোগ মাধ্যমের বিষয়ে খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে। যেসব বিষয়টি সমাজ বা রাষ্ট্রের জন্য ক্ষতিকর, সে বিষয়ে তীক্ষè নজর রাখা হচ্ছে। যাদের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ তদন্ত সাপেক্ষে প্রমাণিত হবে তাদের বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। ঢাকা মহানগর পুলিশের মিডিয়া বিভাগের উপকমিশনার মাসুদুর রহমান জানান, আগামীতে সাইবার নিরাপত্তার বিষয়ে আরও জোর দেয়া হচ্ছে। বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ অন্যান্য মাধ্যমে গুজব ছড়ানোর বিষয়টি একটি সামাজিক ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে। এই সামাজিক ব্যাধি সমাজ থেকে দূর করতে না পারলে তা পুরো সমাজ ব্যবস্থা ও রাষ্ট্রের ওপর রীতিমতো ঝুঁকি হয়ে দাঁড়াতে পারে। এমনকি রাষ্ট্রযন্ত্রের পুরো কর্মকা- বিকল হয়ে পড়তে পারে। তাই গুজব সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করার পাশাপাশি গুজব ছড়ানোর সঙ্গে জড়িতদের বিষয়ে কঠোর নজরদারি চলছে। তাদের আইনের আওতায় আনতে পুলিশের সব বিভাগ কাজ করছে। ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া জানান, শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক আন্দোলনকে ধ্বংসাত্মক রূপ দেয়ার সঙ্গে জড়িত আরও কয়েকজন দায়িত্বশীল নেতা নজরদারিতে রয়েছে। ওইসব নেতার কথোপকথনের অডিও-ভিডিও রেকর্ড সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ। অডিও-ভিডিওর কথোপকথন পর্যালোচনা করা হচ্ছে। পর্যালোচনা শেষে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। কতিপয় নেতার এমন অপচেষ্টার সূত্রধরেই শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের তৃতীয় দিন থেকেই বিভিন্ন মহল থেকে প্রোপাগান্ডা ছড়ানো হয়। হত্যা, ধর্ষণ ও চোখ তুলে ফেলার মতো গুজব ছড়িয়ে মিথ্যাচার করা হয়। শিক্ষার্থী সেজে আন্দোলনে ঢুকে নাশকতা চালানোর পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই স্কুল-কলেজের ড্রেস ও ভুয়া আইডি কার্ড তৈরি করা হয়েছিল। পুরো বিষয়টিই ছিল পরিকল্পিত। গুজব ছড়িয়ে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতেই এমন গুজব ছড়ানো হয়েছিল।
×