ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

হাজারীবাগের লিংকেজ প্রতিষ্ঠানগুলোর পুনর্বাসনে কোন উদ্যোগ নেই

প্রকাশিত: ০৪:২৩, ১২ আগস্ট ২০১৮

হাজারীবাগের লিংকেজ প্রতিষ্ঠানগুলোর পুনর্বাসনে কোন উদ্যোগ নেই

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ হাজারীবাগে ট্যানারি কারখানা বন্ধের এক বছর পার হলেও লিংকেজ প্রতিষ্ঠানগুলোর পুনর্বাসনে তেমন কোন উদ্যোগ নেই সরকারের। এতে দুশ্চিন্তায় আছেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, নতুন শিল্পনগরীর পাশে জমির আশায় বিভিন্ন দফতরে অব্যাহত আছে চিঠি চালাচালি। কিন্তু আশ্বাস ছাড়া কিছুই জোটেনি এখনও। কাঁচামালের অভাবে ইতোমধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে ক্ষুদ্র অনেক কারখানা। ক্রমাগত লোকসানে পুঁজি হারিয়ে বিকল্প আয়ের পথ বেছে নিয়েছেন অনেকেই। ভোলা মিয়া, যার হাত ধরে বাংলাদেশে গবাদিপশুর হাড়গোড়ের ব্যবসা শুরু। হাজারীবাগে ট্যানারি চালু থাকা অবস্থায় প্রতিবছর প্রায় ৩৫ থেকে ৪০ লাখ টাকার হাড়, শিং বিক্রি করতেন তিনি। গতবছর হাজারীবাগে ট্যানারি বন্ধ করে দেয় সরকার। এর আগে থেকেই কাঁচামালের অভাবে ছোট হতে থাকে ভোলা মিয়ার ৪০ বছরের ব্যবসার পরিধি। ক্রমাগত লোকসানে কারখানায় করেছিলেন গরুর খামার। তবে পুঁজি কমায় এখন সেখানে তুলেছেন হাঁস মুরগি। ভোলা মিয়া বলেন, ‘দুইটা বছর ধরে ব্যবসা নাই বললেই চলে। এরপর গরুর খামার ছিল, অবস্থা খারাপ দেখে বিক্রি করে দিয়েছি। সংসার কোনরকম টিকিয়ে রাখছি।’ টিকে থাকার লড়াই করে যাচ্ছেন, মাথা ও লেজের চামড়া সংগ্রহকারী ব্যবসায়ী কবির হোসেন ও নুরু মিয়া। ট্যানারি বন্ধ হওয়ার পর কবির হোসেন ব্যবসা ছেড়ে সংসার চালিয়েছেন রিক্সা চালিয়ে। কবির হোসেন বলেন, ‘বহু মানুষ আউট হয়ে গেছে। যারা টিকে থাকার অনেকে রিক্সা চালায়, কুলিগিরি করে, ঠেলা গাড়ি চালায়।’ ভাল নেই কবির হোসেন ও নুরু মিয়ার মতো ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। খরচ বেড়েছে চামড়ার ওপর নির্ভরশীল জুতা, ব্যাগ তৈরিকারীদের। লেদার কো-অপারেটিভ সোসাইটির সাবেক সভাপতি সেকেন্দার মিয়া বলেন, ‘আমাদের এ্যাসোসিয়েশনে ছিল প্রায় ২ হাজারের ওপরে। এখন বর্তমানে এবারের নির্বাচনে ৯২০ জন ভোটার হয়েছেন।’
×