ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

জুলাই মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমেছে

প্রকাশিত: ০৬:৩৮, ৮ আগস্ট ২০১৮

জুলাই মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমেছে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ জুলাই মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে কমে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৫১ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৫ দশমিক ৫৪ শতাংশ। আবার খাদ্য পণ্যের মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ১৮ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৫ দশমিক ৯৮ শতাংশ। খাদ্য বহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৪ দশমিক ৪৯ শতাংশে, যা তা আগের মাসে ছিল ৪ দশমিক ৮৭ শতাংশ। মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক ব্রিফিং শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) এ তথ্য প্রকাশ করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব সৌরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী। পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, স্থানীয় বাজারে নিত্য পণ্যের চাহিদা ও সরবরাহ ঠিক আছে। এছাড়া আমাদের বিনিময় হার কিছুটা বাড়লেও যেসব খাদ্যপণ্য আমরা আমদানি করি, সেসব পণ্যের দাম আন্তর্জাতিক বাজারে বাড়েনি। ফলে মূল্যস্ফীতি কমেছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মজুদ পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকায় কোরবানি ঈদে মসলা পেঁয়াজসহ অন্যান্য জিনিসপত্রের দাম বাড়বে না। বিবিএসের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, গ্রামে সার্বিক মূল্যস্ফীতি পয়েন্ট টু পয়েন্ট হারে কমে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৫ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ। খাদ্য পণ্যের মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৩৪ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৫ দশমিক ২৫ শতাংশ। খাদ্য বহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৪ দশমিক ৪৯ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৪ দশমিক ৭৬ শতাংশ। শহরে সার্বিক মূল্যস্ফীতি পয়েন্ট টু পয়েন্ট হারে কমে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ৩৭ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৬ দশমিক ৩৯ শতাংশ। খাদ্য পণ্যের মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৭ দশমিক ৬৩ শতাংশ। খাদ্য বহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৪ দশমিক ৫০ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৫ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ।
×