মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি, জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের সাবেক সভাপতি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য, তদানীন্তন হাইকোর্টের সাবেক বিচারপতি এবং সাবেক এ্যাডভোকেট জেনারেল মরহুম আবু সাঈদ চৌধুরীর তিরিশতম মৃত্যুবার্ষিকী আজ ২ আগস্ট বৃহস্পতিবার।
এ উপলক্ষে টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার নাগবাড়ী জামে মসজিদে কোরানখানি ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী জাতীয় স্মৃতি সংসদ এ উপলক্ষে শীঘ্রই স্মরণসভার আয়োজন করবে।
বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী ১৯৭১ এর ১৫ মার্চ পাক হানাদার বাহিনীর গুলিবর্ষণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুজন ছাত্র নিহত হওয়ার প্রতিবাদে তাৎক্ষণিকভাবে উপাচার্যের পদ থেকে পদত্যাগ করেন। পরবর্তীতে প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে মুক্তি সংগ্রামের সপক্ষে বিশ্ব জনমত সংগঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। ১৯৮৫ সালে তিনি সর্বসম্মতিক্রমে জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের সভাপতি নির্বাচিত হন।
১৯৭১-এ বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন। ছাত্রজীবনে বিচারপতি চৌধুরী নিখিল বাংলা মুসলিম ছাত্রলীগ এবং কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজ ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ১৯৪৬ সালে তিনি নিখিল ভারত মুসলিম ছাত্র ফেডারেশন ব্রিটেন শাখার সভাপতি নির্বাচিত হন। আশির দশকে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। তাঁর রচিত ‘প্রবাসে মুক্তিযুদ্ধের দিনগুলি’ ‘মানবাধিকার’ এবং ‘স্বাধীনতার প্রতিশ্রুতি ও অন্যান্য’ সহ ৫টি গ্রন্থ রয়েছে। বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরীকে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় সম্মানসূচক ডক্টর অব ল এবং বিশ্বভারতী দেশিকোত্তম উপাধিতে ভূষিত করে। -বিজ্ঞপ্তি