ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বিএনপি সুস্থধারার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না ॥ প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৭:১৭, ১ আগস্ট ২০১৮

বিএনপি সুস্থধারার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না ॥ প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) সুস্থধারার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। তারা শুধু জানে কিভাবে সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ ও দুর্নীতি করা যায়। তিনি বলেন, বিএনপি সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদের সঙ্গে জড়িত, এ ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই। তারা সন্ত্রাস করে আমাদের অনেক নেতা-কর্মীকে হত্যা করেছে। প্রধানমন্ত্রী মঙ্গলবার বিকেলে তার সরকারী বাসভবন গণভবনে আয়োজিত ২১ আগস্টে গ্রেনেড হামলায় হতাহত ২৫ জনের পরিবারের কাছে সঞ্চয় সার্টিফিকেট হস্তান্তর অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন। খবর বাসস’র। আওয়ামী লীগের সমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলাকে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে বিএনপি-জামায়াত জোটের বিশাল ষড়যন্ত্র হিসেবে বর্ণনা করে শেখ হাসিনা বলেন, এই হামলার কয়েকদিন আগে বেগম খালেদা জিয়া বলেছিলেন, আমি ভবিষ্যতে আর কখনও প্রধানমন্ত্রী, এমনকি বিরোধী দলীয় নেতাও হতে পারব না। বেগম জিয়ার এই বক্তব্যের পরই এই হামলা হয় এবং এ থেকে বোঝা যায় এই অপরাধে কে জড়িত। শেখ হাসিনা তাকে হত্যা করতে কোটালীপাড়ায় ৭৬ কেজি ও ৮৪ কেজি ওজনের দুটি বোম পুঁতে রাখার কথা উল্লেখ করে বলেন, যখনই এ ধরনের বক্তব্য দেয়া হলো তখনই আমার জীবনের ওপর হামলা হলো। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি বলেছিল, আওয়ামী লীগ একশত বছরেও ক্ষমতায় আসতে পারবে না। যখনই তারা এ ধরনের বক্তব্য দিয়েছিল, তখনই আমরা বুঝতে পেরেছিলাম আমাদের ওপর হামলা হবে। গ্রেনেড হামলায় মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমানসহ আওয়ামী লীগ এবং দলের অঙ্গসংগঠনের ২২ জন নেতাকর্মী নিহত এবং বোমার আঘাতে ৫ শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়। তাদের অনেকেই এখন দুর্বিসহ জীবন বয়ে বেড়াচ্ছেন। এই হামলায় শেখ হাসিনা অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেলেও উপর্যুপরি বোমার শব্দে তিনি তার কানের শ্রবণ শক্তি হারিয়ে ফেলেন। তিনি বলেন, সিলেটে হযরত শাহজালাল (র.)-এর মাজারে ব্রিটিশ হাইকমিশনারের ওপর হামলাসহ সারাদেশে সন্ত্রাসী কর্মকা-ের প্রতিবাদে ২০০৪ সালের ২১ আগস্টে দলের কার্যালয়ের সামনে এক শান্তি সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছিল। আমরা যখন একটি সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশ করছিলাম, ঠিক তখনই সন্ত্রাসের শিকার হলাম। ঘাতকরা প্রকাশ্য দিবালোকে এ ধরনের অপরাধ করতে আমাদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ল। তিনি বলেন, ঘাতকরা ১৩টি গ্রেনেড হামলা চালায়। এতে আইভি রহমানসহ আওয়ামী লীগের ২২ জন নেতা-কর্মী নিহত হন। শত শত নেতা-কর্মী আহত হন। মেয়র মোঃ হানিফসহ দলের নেতাদের সৃষ্ট মানবঢালে আমি প্রাণে বেঁচে যাই। শেখ হাসিনা বলেন, এই হামলার পর থেকে তিনি ব্যক্তিগতভাবে এবং তার দলের পক্ষ থেকে ২১ আগস্টে ক্ষতিগ্রস্তদের সাধ্যমত সহায়তা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, আমি যতদিন বেঁচে থাকব ততদিন তাদের সহায়তা দিয়ে যাব। প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন হিসাবে একটি ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা গড়তে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি তৃণমূলের নেতা কর্মীদের আওয়ামী লীগের মূল শক্তি হিসাবে উল্লেখ করে বলেন তারা যে কোন দুঃসময়ে দলের পাশে আছে এবং থাকবে।
×