ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১

শ্রীলঙ্কা-দক্ষিণ আফ্রিকা ওয়ানডে দ্বৈরথ

প্রকাশিত: ০৭:৩৫, ২৯ জুলাই ২০১৮

শ্রীলঙ্কা-দক্ষিণ আফ্রিকা ওয়ানডে দ্বৈরথ

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ শ্রীলঙ্কা ও দক্ষিণ আফ্রিকা পাঁচ ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডে আজ। পঞ্চাশ ওভারের ক্রিকেটে দ. আফ্রিকা তিন, আর শ্রীলঙ্কা আট নম্বরে। কিন্তু খেলাটা যখন শ্রীলঙ্কার মাটিতে তখন র‌্যাঙ্কিং রেকর্ড গৌন হয়ে উঠতে পারে। দুই টেস্টের সিরিজে এরই মধ্যে সফরকারীদের হোয়াইটওয়াশ করেছে সুরাঙ্গা লাকমালের দল। মূলত স্বাগতিক স্পিনারদের কাছেই ধরাশায়ী হতে হয় ফ্যাফ ডুপ্লেসিসদের। তার ওপর ইনজুরি কাটিয়ে ফেরা অভিজ্ঞ এ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসকে অধিনায়ক করেই এই সিরিজের জন্য শক্তিশালী দল ঘোষণা করেছে লঙ্কানরা। ২০১৯ বিশ্বকাপ সামনে রেখে নিজ নিজ দল গুছিয়ে নিচ্ছে সবাই। সুতরাং দক্ষিণ আফ্রিকা চাইবে সাম্প্রতিক সময়ে রঙিন পোশাকের সাফল্য অব্যাহত রাখতে। ওয়ানডে সিরিজ নিয়ে আশাবাদী প্রোটিয়া কোচ ওটিস গিবসন। ডাম্বুলায় খেলা শুরু বাংলাদেশ সময় সকাল সোয়া দশটায়। বাইরের দলগুলো উপমহাদেশে এলে যে যেমন হয় দক্ষিণ আফ্রিকারও সেই অবস্থা। দুরন্ত-দুর্বার সব ক্রিকেটার নিয়েও টেস্ট সিরিজে পাত্তা পায়নি সফরকারীরা। গলে প্রথম টেস্টে ২৭৮ রানের বিশাল হারের ম্যাচে দ্বিতীয় ইনিংসে তো মাত্র ৭৩ রানে অলআউট হয় প্রোটিয়ারা। কলম্বোয় সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে হার ১৯৯ রানে। এবার প্রথম ইনিংসে ডুপ্লেসিসরা গুটিয়ে যায় ১২৪-এ। দক্ষিণ আফ্রিকান ইতিহাসের সেরা বোলিং উপহার দিয়েও হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় স্পিনার কেশব মহারাজকে। রঙ্গনা হেরাথ, দিলরুয়ান পেরেরা, আকিলা ধনঞ্জয়াদের স্পিনের মুখে তারকাখচিত সফরকারী ব্যাটসম্যানরা ছিল অসহায়। হাতুরাসিংহে কোচের দায়িত্ব নেয়ার পর গেল জানুয়ারিতে ম্যাথুসকে সীমিত ওভারের অধিনায়কত্ব ফিরিয়ে দেয়া হয়েছিল। কিন্তু ক্রমাগত ইনজুরিতে ভোগা তারকা তখনও আবার ইনজুরিতে পড়েন। সে কারণে ওয়ানডে ও টি২০ ম্যাচে খেলতে পারেননি। অলরাউন্ডার ম্যাথুসের যদিও বোলিং করা নিয়ে সংশয় রয়েছে। ম্যাথুসের অবর্তমানে দীনেশ চান্দিমাল শ্রীলঙ্কা দলকে ওয়ানডে ও টি২০তে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন। বর্তমানে কোচের পাশাপাশি চান্দিমালও চার ম্যাচের নিষেধাজ্ঞার মধ্যে রয়েছেন। সর্বশেষ শ্রীলঙ্কার হয়ে খেলা ওয়ানডে সিরিজের স্কোয়াডে ছয়টি পরিবর্তন আনা হয়েছে। দুশমান্থ চামিরা ও অলরাউন্ডার আসেলা গুনারতেœ ইনজুরির কারণে নেই এই সিরিজে। নুয়ান প্রদীপও সুযোগ পাননি। অন্যদিকে নিষেধাজ্ঞার কারণে সুযোগ পাননি দানুস্কা গুনাথিলাকা। তাদের পাশাপাশি শিহান মাধুশঙ্ক ও ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গাকেও রাখা হয়নি ১৫ সদস্যের দলে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক হওয়া মিডিয়াম পেসার কাসুন রাজিথা ওয়ানডে অভিষেকের অপেক্ষায় আছেন। অভিষেকের অপেক্ষায় আছেন প্রবাথ জয়সুরিয়াও। আগামী বছর বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখেই তারুণ্য ও অভিজ্ঞতার আলোকে দল গড়া হয়েছে। যেখানে দ্রুতগতির পেসার যেমন আছেন, আছেন হার্ডহিটার ব্যাটসম্যানও। অন্যদিকে টেস্টের ব্যর্থতা ঝেড়ে ঘুরে দাঁড়ানোর সামর্থ্য রয়েছে দ. আফ্রিকার। ব্যাটিংয়ে অধিনায়কের বড় ভরসা হাসিম আমলা, কুইন্টন ডি কক, এইডেন মার্করাম, জেপি ডুমিনি। দুই কৃষ্ণাঙ্গ পেসার কাগিসো রাবাদা, লুঙ্গি এনগিদির সঙ্গে স্পিনার হিসেবে আছেন টেস্টে ইতিহাস গড়া মহারাজ ও তাবারেজ শামসি। হার্ডহিটার ব্যাটসম্যান ডেভিড মিলারও নিজের দিনে দৃশ্যপট বদলে দিতে পারেন। যদিও গত বেশ কিছুদিন নামের প্রতি সুবিচার করতে পারছেন না তিনি। ১৯৯২ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত মুখোমুখি ৬৬ ওয়ানডের ৩৫টিতে জয় দক্ষিণ আফ্রিকার। শ্রীলঙ্কার সাফল্য ২৯। টাই ও পরিত্যক্ত হয় একটি করে ম্যাচ। ২০১৪ সালে শ্রীলঙ্কা সফরে ২-১এ ওয়ানডে সিরিজ জিতেছিল প্রোটিয়ারা। আর গত বছর ঘরের মাটিতে তো লঙ্কানদের হোয়াইটওয়াশ করে ৫-০ ব্যবধানে। গত বছর চ্যম্পিয়ন্স ট্রফিতেও সর্বশেষ দেখায় প্রতিপক্ষকে উড়িয়ে দিয়েছিল প্রোটিয়ারা। রঙিন পোশাকে ভাল সুযোগ ডুপ্লেসিসদের সামনে। কোচ ওটিস গিবসন শিষ্যদের সেটিই মনে করিয়ে দিয়েছেন।
×