ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

১৪ দলীয় জোট আরও বড় হতে পারে ॥ কাদের

প্রকাশিত: ০৫:৪৫, ২৮ জুলাই ২০১৮

   ১৪ দলীয় জোট আরও বড়  হতে পারে ॥ কাদের

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট আরও বড় হতে পারে জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘নির্বাচন আসলে পোলারাইজেশন হবে। এলায়েন্স (জোট) হবে, এলায়েন্স তো আছে আমাদের। সেটা বাড়তেও পারে। অনেকেই তো জোটে আসতে চাইছে। অনেকেই আবার নিজেরাই আলাদা জোটে ঢুকতে চাইছে। বিএনপিও সঙ্গেও থাকবে না, আওয়ামী লীগের সঙ্গেও নয়। এমন জোটও হতে পারে। তবে শেষ পর্যন্ত বিষয়টা কোথায় গিয়ে দাঁড়ায় এটা পরিষ্কার হবে অক্টোবরে।’ শুক্রবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে মেট্রো রেলের কাজ পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির সঙ্গে আনুষ্ঠানিক সংলাপের সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির সঙ্গে আনুষ্ঠানিক সংলাপের বিষয়ে আমি কোন কথা বলিনি। আমি মনে করি আগে যা বলেছি এখনও তাই বলব। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আর মাত্র তিন মাস বাকি। এই তিন মাসের মধ্যে সিডিউল ঘোষণা হবে, এর মধ্যে আনুষ্ঠানিক সংলাপের কোন প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি না। এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, আমাদের মধ্যে (রাজনৈতিক দল) একটা ওয়ার্কিং কিংবা আন্ডারস্ট্যান্ডিং থাকতে পারে, এর জন্য টেলিফোনে আমার সঙ্গে যে কেউ কথা বলতে পারে। কাদের সিদ্দিকী সাহেব ফোন করেছেন, তিনি কথা বলতে চান। তাকে আমি বলেছি আসেন। অনানুষ্ঠানিক আলাপ-আলোচনা হতে পারে। আর কিছু না হোক চোখ দেখা-দেখি না হোক, টেলিফোনে তো সংলাপ করা যায়। আর আমাদের সঙ্গে তাদের অনেক গ্যাপ। দীর্ঘদিন দেখা নেই। সবই কি আনুষ্ঠানিকতার মধ্যে সীমিত থাকবে। টেলিফোনে কথা বলতে অসুবিধা কী? আমি বলেছি বিএনপি মহাসচিব আমাকে কখনও ফোন করেননি। আমি বলিনি যে সংলাপের আহ্বান জানিয়েছি। তাই দয়া করে কেউ এ বিষয়ে ভুল ব্যাখ্যা দেবেন না। কয়লা দুর্নীতির খবর সরকারের জন্য নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে কী না, এমন এক প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, সরকার বিষয়টা নিয়ে কী ভাবছে? এসব ঘটনা পৃথিবীর সব দেশেই ঘটে থাকে। আমার বক্তব্য হচ্ছে সরকার এখানে প্রো-এ্যাকটিভ কি না? এ বিষয়টি নিয়ে সরকার কনসার্ন কতটা? তিনি বলেন, সরকার তো বিষয়টা সিরিয়াসলি দেখছে এবং এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কড়া নির্দেশ- এ ঘটনার সঙ্গে যারাই জড়িত তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী নিজেই এটা বলেছেন। সরকার তো এখানে নীরব নয়, বরং সরকার এখানে কঠোর হস্তে দেখছে। মোজাফফর আহমদের শয্যাপাশে কাদের ॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হাসপাতালে ভর্তি মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, ন্যাপের সভাপতি, প্রবীণ রাজনীতিক অধ্যাপক মোজাফফর আহমেদের চিকিৎসার সব ব্যয়ভার বহন করছেন। শুক্রবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ হাসপাতালে তাকে দেখতে যান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। হাসপাতালে তিনি বলেন, মোজাফফর আহমদের চিকিৎসায় এ পর্যন্ত যত খরচ হয়েছে তা প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে পরিশোধ করা হয়েছে। আগামীতে যত খরচ হবে সব প্রধানমন্ত্রী বহন করবেন। মুক্তিযুদ্ধকালের প্রবাসী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের একমাত্র জীবিত সদস্য তিনি। গত ২০ জুলাই সকালে বারিধারার পার্ক রোডের বাসায় হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে পড়েন। তাকে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় অবস্থিত এ্যাপোলো হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে ভর্তি করা হয় ওই দিনই। মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক বোরহান উদ্দীনের অধীনে চিকিৎসাধীন মোজাফফর আহমদ গত এক সপ্তাহ ধরে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন। শুক্রবার শারীরিক অবস্থা উন্নতি হওয়ার কারণে তাঁর লাইফ সাপোর্ট খুলে দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
×