ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ কোন ব্যাংকের ইস্যু করা

বন্ডের হিসাবায়ন স্পষ্ট করল বাংলাদেশ ব্যাংক

প্রকাশিত: ০৫:৪৬, ২৭ জুলাই ২০১৮

 বন্ডের হিসাবায়ন  স্পষ্ট করল  বাংলাদেশ ব্যাংক

সাব-অরডিনেট বন্ডের উদ্বৃত্ত দায় ব্যাংকের নগদ জমার বাধ্যবাধকতা (সিআরআর) ও বিধিবদ্ধ তারল্য সংরক্ষণ (এসএলআর) পরিপালনের উদ্দেশ্যে নিট তলবী ও মেয়াদী দায় হিসাবায়নের ক্ষেত্রে বিবেচ্য হবে। এ ক্ষেত্রে একটি ব্যাংক নিজে যে পরিমাণ সাব-অরডিনেট বন্ড ইস্যু করেছে তার থেকে অন্য ব্যাংকের সাব-অরডিনেট বন্ডে যে পরিমাণ বিনিয়োগ করেছে তা বাদ দিয়ে অতিরিক্ত অংশটুকু ওই ব্যাংক তার দায় হিসেবে সিআরআর বা এসএলআর-এ দেখাতে পারবে। যদি ইস্যু করা সাব-অরডিনেট বন্ডের তুলনায় অন্য ব্যাংকের সাব-অরডিনেট বন্ডে বিনিয়োগ বেশি থাকে তাহলে ওই দায় সিআরআর বা এসএলআর-এ দেখানো যাবে না। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক এক সার্কুলার লেটার দিয়ে ব্যাংকের ঝুঁকি বাহিত মূলধন পর্যাপ্ততার নীতিমালায় এ বিষয়টি স্পষ্ট করেছে বলে জানিয়েছেন ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগের (বিআরপিডি) মহাব্যবস্থাপক আবু ফারাহ মোঃ নাছের। একই দিন বিআরপিডির অন্য এক সার্কুলার লেটারে বলা হয় সম্পদ-দায় ব্যবস্থাপনা নীতিমালায়ও কিছুটা স্পষ্টিকরণ করা হয়েছে। সার্কুলারে বলা হয়, ঋণ ও আমানত অনুপাত (এডিআর) হিসাবায়নের ফর্মুলা হবে মোট ঋণ এবং অগ্রিম বা বিনিয়োগ (শরিয়াভিত্তিক ব্যাংকগুলোর জন্য)। এক্ষেত্রে মোট মেয়াদী এবং তলবী দায়ের সঙ্গে যোগ করতে হবে আন্তঃব্যাংকের উদ্বৃত্ত আমানত এবং উদ্বৃত্ত বন্ডের অঙ্ক। এক্ষেত্রে একটি ব্যাংক যে পরিমাণ আমানত অন্যান্য ব্যাংকের কাছে গচ্ছিত রাখবে সেই অঙ্ক থেকে ওই ব্যাংকটি নিজে অন্য ব্যাংক থেকে যে পরিমাণ আমানত সংগ্রহ করেছে সেটা বাদ দিয়ে উদ্বৃত্ত আমানতকে দায় হিসাবে দেখাতে পারবে। একই ভাবে একটি ব্যাংক বন্ডে যে পরিমাণ বিনিয়োগ দিয়েছে তার থেকে যে পরিমাণ বিনিয়োগ সে সংগ্রহ করেছে সেটা বাদ দিয়ে বন্ডের উদ্বৃত্ত দায় বের করবে। যদি এই উদ্বৃত্ত বের করতে গিয়ে অঙ্ক ঋণাত্মক হয় তবে সেটা এডিআর-এ অন্তর্ভুক্ত হবে না।
×