ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

কাঁকন বিবির জীবনের গল্প নিয়ে হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র

প্রকাশিত: ০৬:০৪, ১৮ জুলাই ২০১৮

কাঁকন বিবির জীবনের গল্প নিয়ে হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র

স্টাফ রিপোর্টার ॥ মহান মুক্তিযুদ্ধের এক অনন্য চরিত্র কাঁকন বিবি। একাত্তরে নিখোঁজ স্বামীর সন্ধানে বের হয়ে ধরা পড়েন পাকবাহিনীর হাতে। শিকার হন নিষ্ঠুর নির্যাতনের। পরবর্তীতে ছাড়া পেয়ে সাহসিকা এই নারী যুক্ত হন স্বাধীনতার সংগ্রামে। শুরুতে পাকবাহিনীর বিপক্ষে মুক্তিবাহিনীর গুপ্তচর হিসেবে কাজ করেন। পরবর্তীতে গুপ্তচরবৃত্তির পাশাপাশি পাকসেনার বিরুদ্ধে কুড়িটি সম্মুখযুদ্ধে অংশ নেন। সংগ্রামী এই নারীর সেই সাহসী জীবনের গল্প নিয়ে এবার নির্মিত হচ্ছে চলচ্চিত্র। সেই সঙ্গে চলচ্চিত্রটিতে উঠে আসবে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস। বীরপ্রতীক কাঁকন বিবি নামের ছবিটি নির্মাণ করছেন শহীদুল হক খান। একসঙ্গে তিনি ছবিটির চিত্রনাট্য, সংলাপ রচনার পাশাপাশি সঙ্গীত পরিচালনাও করছেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিএফডিসির ৮ নম্বর ফ্লোরে এস এইচ প্রোডাকশনের ব্যানারে নির্মিতব্য ছবিটির মহরত অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক। এ আয়োজনে চলচ্চিত্রটিতে কাঁকন বিবি চরিত্রে রূপদানকারী চিত্রনায়িকা শিমলাসহ অন্য শিল্পীদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন কাঁকন বিবির মেয়ে সখিনা। সভাপতিত্ব করেন এটিএন বাংলার চেয়ারম্যান ড. মাহফুজুর রহমান। সূচনা বক্তব্য রাখেন শহীদুল হক খান। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন কবি হাসান হাফিজ। বক্তব্য রাখেন চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার। অনুভূতি প্রকাশ করেন কাঁকন বিবির মেয়ে সখিনা খাতুন ও শিমলা। অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বীরপ্রতীক কাঁকন বিবি আমাদের দেশের মহান মুক্তিযোদ্ধা। তাকে নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণ হচ্ছে তা আনন্দের বিষয়। এ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তরুণ প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের সঙ্গে জানতে পারবে একাত্তরের রণাঙ্গনের এক সাহসী নারীর জীবনকথা। মোহাম্মদ জোয়ারদারের চিত্রকর্ম প্রদর্শনী ‘রূপসী বাংলা’ ॥ আকাশের মেঘের ঘনঘটা। বিস্তীর্ণ চরাচর। বিশাল উদ্যানের মাঝে জীবনের আভাস দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে পাতাহীন প্রকা- একটি বৃক্ষ। এঁকেবেঁকে ছড়িয়েছে গাছের ডালপালা। ওপর-নিচের দুই ডালে বসে আছে এক জোড়া পাখি। লাল আর হলুদ পাখি দু’টি মনের সুখে ঠোঁট খুলে ডাকাডাকি করছে। শূন্যতার মাঝেও নিসর্গের এমন প্রাণসঞ্চারী ছবিটি এঁকেছেন গোলাম মোহাম্মদ জোয়ারদার। মূর্ত ও বিমূর্ত রীতিতে চিত্রিত এমন অনেকগুলো ছবি নিয়ে এই শিল্পী সাজিয়েছেন তাঁর প্রদর্শনী। আবহমান বাংলার রূপ মেলে সে প্রদর্শনীর শিরোনাম ‘রূপসী বাংলা’। ধানম-ির ফরাসী সংস্কৃতি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ দ্য ঢাকার লা গ্যালারিতে ১২ দিনব্যাপী এ প্রদর্শনীর শেষ দিন ছিল মঙ্গলবার। ‘রূপসী বাংলা’ শীর্ষক প্রদর্শনীটি শিল্পীর তৃতীয় একক চিত্র প্রদর্শনী। শিল্পীর ছবি আঁকার মূল প্রতিপাদ্য হিসেবে বেঁচে নিয়েছেন প্রকৃতি, মানুষ ও তার পরিপার্শ্বকে। বস্তুত তিনি একজন প্রকৃতি প্রেমিক। প্রকৃতির প্রতি সেই ভালবাসা উঠে এসেছে তাঁর ক্যানভাসে। অধিকাংশ ছবি এঁকেছেন বিমূর্ত রীতিতে। রঙের খেলায় সুনিপুণভাবে রাঙিয়েছেন চিত্রপটকে। ছবি আঁকার ক্ষেত্রে শিল্পী মূলত শিল্পী মূলত গ্রাভিটি কালার ব্যবহার করেছেন। ৩৯টি চিত্রকর্মের সম্ভারে সাজানো হয়েছিল প্রদর্শনীটি। জলরং, চারকোল, মিক্সড মিডিয়া ও এ্যাক্রেলিক মাধ্যমের আশ্রয়ে চিত্রিত হয়েছে চিত্রকর্মগুলো। ৬ জুলাই থেকে শুরু হওয়া প্রদর্শনীর শেষ দিন ছিল মঙ্গলবার। শিল্পী জোয়ারদার ছবি আঁকার পাশাপাশি লেখালেখিও করে থাকেন। ২০১৮ সালে তাঁর লেখা ‘মধ্যরাতের কান্না শিরোনামে একটি উপন্যাস ও ‘বিমূর্ত প্রতিকৃতি’ শিরোনামে একটি গল্প প্রকাশিত হয়। দশ বছরে সুরধ্বনি ॥ সাংস্কৃতিক সংগঠন সুরধ্বনি পূর্ণ করল পথচলার নয়টি বছর। পদার্পণ করল প্রতিষ্ঠার দশম বছরে। এ উপলক্ষে মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হলো আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বিকেলে জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে এই আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়। আয়োজনের শুরুতেই ছিল আলোচনা অনুষ্ঠান। এতে বক্তব্য রাখেন কম্পট্রোলার এ্যান্ড অডিটর জেনারেল (অব) মাসুদ আহমদ, সাবেক সচিব মোঃ মোখলেছ-উর-রহমান ও বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান এ কে এম দেলোয়ার হোসেন। সংগঠনের সভাপতি পরিমল চন্দ্র সাহার সভাপতিত্বে এতে স্বাগত বক্তব্য দেন সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক নূরুর রহমান পলাশ। আলোচনা শেষে শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এতে সংগঠনের শিল্পীরা বেশ কিছু জনপ্রিয় বাংলা গান পরিবেশন করেন। এর মধ্যে দিলীপ চৌধুরী পরিবেশন করেন ‘এলো বরষা যে সহসা মনে ও আমি তোমার পাশে থাকব চিরদিন’ শিরোনামের দু’টি গান। নূরুর রহমান পলাশ গেয়ে শোনান ‘তুমি সন্ধ্যাকালে তারার মতো ও আমি নিজের মনে’ দু’টি গান, ফাহমিদা অলম রতœা গেয়ে শোনান মহাত্মা লালনের দুটি গান ‘গুরু আমারে কি রাখবেন করে ও বলি মা তোর চরণ ধরে’, সোনিয়া দাস গেয়ে শোনান দু’টি গান ‘সুন্দর অতিথি এসো এসো ও ‘ও পলাশ ও শিমুল’ এবং শৈলী সূত্রধর স্বর্ণা গেয়ে শোনান লালনগীতি ‘চাতক বাঁচে কেমনে’ গানটি।
×