ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নেই তিন সিটিতে ॥ রিজভী

প্রকাশিত: ০৬:৩৬, ১৭ জুলাই ২০১৮

 নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নেই তিন সিটিতে ॥ রিজভী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ তিন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনকে ঘিরে চলছে নৌকামার্কার পক্ষে নির্বাচনী অনাচার এবং ক্ষমতাসীনদের অবৈধ দাপট। নির্বাচনের আগে বিএনপি দলীয় নেতাকর্মীদের গ্রেফতার, গ্রেফতারের হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য প্রচ- মহড়া চলছে। পুলিশও বসে নেই। খুলনা ও গাজীপুরের মতো আওয়ামী প্রার্থীর পক্ষে পুরোদমে নেমে পড়েছে। এর বিরুদ্ধে কমিশনে অভিযোগ করে কোন লাভ হচ্ছে না। সোমবার দুপুরে নয়াপল্টন দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এইসব অভিযোগ করেন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, তিন সিটির কোথাও নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নেই। নিরাপদে ভোট দেয়া যাবে কি না তা নিয়েই ভোটারদের মধ্যে শঙ্কা রয়েছে। এ অবস্থায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যে সুষ্ঠু ভোট কারচুপির সুস্পষ্ট আভাস রয়েছে। খুলনা ও গাজীপুরের মতো তিন সিটিতেও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। এই বক্তব্যের মধ্য দিয়ে তিনি সুষ্ঠু ভোট কারচুপির সুস্পষ্ট আভাস দিয়েছেন বলেও অভিযোগ করেন। রিজভী বলেন, রাজশাহী সিটি নির্বাচনে চলছে শাসক দলের পক্ষে আওয়ামী নেতাদের নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের হিড়িক। জেলা প্রশাসক নৌকামার্কার অনুকূলে চরম পক্ষপাতমূলক আচরণ করছেন। নগরীর বিভিন্ন এলাকায় ধানের শীষের অফিস ভাংচুর, অফিসের তালা ঝুলিয়ে দেয়া, নেতা-কর্মীদের হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে আওয়ামী ক্যাডাররা এক আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। বরিশাল ও সিলেটে চলছে প্রকাশ্যে-অপ্রকাশ্যে হুমকি-ধমকি। বরিশালে মন্ত্রী পদমর্যাদায় দায়িত্বে থাকার পরও আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ তার ছেলেকে (সাদেক আবদুল্লাহ) বিজয়ী করার জন্য নির্বাচনী এলাকায় অবস্থান করছেন। তিনি কোন আচরণবিধিই মানছেন না। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে কোটা সংস্কার আন্দোলনে থাকা শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকদের ওপর ছাত্রলীগের হামলারও সমালোচনা করে বলেন, ছাত্রলীগ উন্মাদনায় ক্যাম্পাসে এক আগ্রাসী শক্তিতে পরিণত হয়েছে। আওয়ামী সরকারের ছাত্রলীগের সোনার ছেলেরা ছাত্রীদের ওপরও হামলা চালাচ্ছে। তাদের শুধু লাঞ্ছিত করছে না, ধর্ষণের হুমকিও দিচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্রলীগের নামে কিছু হচ্ছে কিনা জানতে হবে ওবায়দুল কাদেরের এই বক্তব্যের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, ‘নিজ দলের অনাচার ও অপকর্ম তার না জানার বা চোখে না পড়ারই কথা। কারণ ছাত্রলীগকে রক্তের নেশা পাইয়ে দিতে উৎসাহিত করেছে আওয়ামী নেতারাই। যদি জনসমর্থিত সরকার হতো তাহলে বুঝত যে দেশের সর্বত্র ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে জনগণের কী পরিমাণ ধিক্কার ওঠেছে। নির্যাতিত ছাত্রীদের মর্মস্পর্শী বর্ণনা আক্রমণকারীদের সম্পর্কে জনগণের ঘৃণার প্রকাশ তীব্র মাত্রা লাভ করেছে।
×