ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

নির্বাচনী প্রচারে তিন সিটি

প্রকাশিত: ০৫:৪৭, ১৬ জুলাই ২০১৮

 নির্বাচনী প্রচারে তিন সিটি

লিটন-বুলবুলের ফের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ মামুন-অর-রশিদ, রাজশাহী ॥ রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে ভরে গেছে মহানগরী। শহরের অলি-গলি, পাড়া-মহল্লায় ঠাসা এখন নৌকার প্রতীক। আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের নৌকার ব্যানার ও পোস্টার সর্বত্র শোভা পাচ্ছে নগরীতে। সড়কের ল্যাম্প পোস্ট ও গাছের ডালে দড়ি দিয়ে ঝুলানো হয়েছে পোস্টার। ভর বর্ষায় ভোট হওয়ায় বৃষ্টির হাত থেকে রক্ষায় লেমিনেটিং করা হয়েছে পোস্টারগুলো। সড়কের ডিভাইডারের রেলিংগুলোতে টাঙানো হয়েছে সুদৃশ্য ব্যানার। ফাঁকে ফাঁকে অন্যান্য প্রার্থীদের ব্যানার-পোস্টার থাকলেও ভোটাররা বলছেন নগরীর যে দিকেই চোখ যায় দেখা মেলে নৌকার ব্যানার-পোস্টারের। ধানের শীষের প্রতীকও রয়েছে তবে মাঝে মাঝে। শুধু ব্যানার-পোস্টারই নয়, নৌকাকে বিজয়ী করতে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের কয়েক হাজার নেতাকর্মী সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে ভোটারদের কাছে ছুটে যাচ্ছেন। উন্নয়নের জন্য তারা ভোট চাচ্ছেন নৌকার সারথী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের পক্ষে। পিছিয়ে নেই নারী কর্মীরাও। নৌকার প্রচারে তারাও সকাল-বিকেল পাড়া-মহল্লা চষে বেড়াচ্ছেন। নগরীর ৩০টি ওয়ার্ডের প্রায় প্রতিটি সড়ক ও গলিতেই ল্যাম্প পোস্ট বা গাছের সঙ্গে দড়ি বেঁধে টাঙানো হয়েছে নৌকার পোস্টার। ল্যাম্প পোস্ট বা গাছে সাঁটানো হয়েছে ব্যানার। এর ফাঁকে ফাঁকে কোথাও কোথাও ঝুলানো হয়েছে ধানের শীষের পোস্টার। তবে বিএনপির প্রার্থীর অভিযোগ নগরীতে ধানের শীষের পোস্টার টাঙানোর জায়াগা পাচ্ছে না তারা। তবে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বলছেন, পরাজয় নিশ্চিত জেনে প্রচারে মন নেই বিএনপির মেয়র প্রার্থী বুলবুলের। তাই অপপ্রচারের কৌশল অবলম্বন করছে বিএনপি। ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রতিদিনই মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থী এবং তাদের কর্মী-সমর্থকরা তাদের বাড়ি অথবা কর্মস্থলে এসে ভোট চাচ্ছেন। তবে এর মধ্যে মেয়র প্রার্থীদের মধ্যে নৌকার পক্ষেই প্রচারণা অনেক বেশি। দিনে অন্তত নৌকার কয়েকটি টিম ভোট চাইতে আসছে তাদের কাছে। অন্যান্য প্রার্থীদের কর্মী-সমর্থকদের সেভাবে ভোট চাইতে দেখা যাচ্ছে না বলে জানান তারা। . নির্বাচনী জ্বরে কাঁপছে বরিশাল খোকন আহম্মেদ হীরা, বরিশাল ॥ নির্বাচনের জ্বরে কাঁপছে প্রাচ্যের ভেনিস খ্যাত বরিশাল মহানগরী। নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে প্রচার জোয়ার দেখে ততই বেশি ভোটের আগাম হিসেব নিকেস কষতে শুরু করেছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক থেকে শুরু করে তরুণ, যুব ও সাধারণ ভোটাররা। বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনের ফলাফলের ওপর ভর করেছে জাতীয় নির্বাচনের আগাম হাওয়া। তাই সিটি নির্বাচন বরিশাল মহানগরীর হলেও এ নির্বাচনের উত্তাপ ছড়িয়ে পড়েছে জেলা থেকে শুরু করে গোটা বিভাগ জুড়ে। সাধারণ ভোটাররা উন্নয়নের পক্ষে নাকি দুর্নীতির পক্ষে অবস্থান করে তাদের মূল্যবান ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন এ নিয়ে শহরের চায়ের দোকান থেকে শুরু করে অফিস-আদালত, বাজার, পাড়া ও মহল্লার মোড়ে মোড়ে চলছে একই আলোচনা। ৩০ জুলাইয়ের নির্বাচনে কে হতে যাচ্ছেন বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের চতুর্থ পরিষদের নগর পিতা। মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার দিন থেকে শুরু করে অদ্যাবধি ক্ষমতাসীনদের বিরুদ্ধে প্রচারে বাঁধা দেয়া ও ভোটের দিন কেন্দ্র দখলের আশঙ্কা করছেন বিএনপি মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের মেয়র প্রার্থী মজিবর রহমান সরোয়ার ও তার সমর্থকেরা। বিএনপির মেয়র প্রার্থীর অভিযোগ সম্পূর্ণ উড়িয়ে দিয়ে ও সমালোচনার প্রতি উত্তরে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা মার্কার মেয়র প্রার্থী সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ বলেন, উন্নয়নের নেত্রী ও মানবতার মা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমার ফুফু এবং আমার বাবা আলহাজ আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ মন্ত্রী, এটা কি আমার অপরাধ? বরং প্রধানমন্ত্রী আমার আত্মীয় হওয়ায় তার কাছ থেকে চেয়ে বরিশালে বেশি উন্নয়ন করতে পারব। রাজনীতিতে সহঅবস্থান বজায় রাখার অঙ্গীকার ॥ নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে মেয়র প্রার্থীরা আষাঢ়ের গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি আর কাঠফাটা রৌদ্র মাথায় উপেক্ষা করে বিরামহীনভাবে নগরীর ভোটারদের কাছে ছুটে চলেছেন বরিশালে প্রথমবারের মতো সিটি নির্বাচন করতে আসা তরুণ রাজনৈতিক নেতা আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা মার্কার প্রার্থী ও মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ। তিনি তার প্রচারে বিগত দিনের নির্বাচনের প্রার্থীদের ছাড়িয়ে নিজেকে এগিয়ে নিয়েছেন। এজন্য ছোট শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধ পর্যন্ত নগরবাসীর কাছে দাঁড়িয়ে তিনি (সাদিক) বলেন, প্রথমে আমি আপনাদের সকলের কাছে দোয়া চাই। তার পরে আমি আপনাদের বিবেচনায় যোগ্য প্রার্থী হলে ভোট চাই। আপনাদের মূল্যবান ভোটে আমি নির্বাচিত হলে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে বরিশালের উন্নয়নমূলক কাজ করতে চাই। রবিবার প্রচারের ষষ্ঠদিনে সাদিক আব্দুল্লাহ নগরীর প্রাণ কেন্দ্র সদর রোডে গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণকালে গণমাধ্যম কর্মীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে বলেন, আমরা চাই সকল রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের নিয়ে শান্তিপূর্ণ ও সহঅবস্থানমূলক বজায় রাখার। ভোটের দিন কোন ধরনের শঙ্কা নেই উল্লেখ করে নৌকা মার্কার প্রার্থী আরও বলেন, সকল ভোটার কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে যার ভোট সে নিজেই দিবেন এবং যাকে খুশি তাকে আপনাদের মূল্যবান ভোট দিবেন। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, বরিশালের মানুষ উন্নয়নের বিশ্বাসী, সে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে তারা নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আমাকে বিজয়ী করবে। ১১ কেন্দ্রে ইভিএম’এ ভোট ॥ সিটি কর্পোরেশনের চারটি ওয়ার্ডের ১১টি কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট গ্রহণ করা হবে। যার প্রাথমিক পর্যায়ের কাজ শেষ হয়েছে। এখন যে কোন দিন ওইসব কেন্দ্রে ভোটারসহ সংশ্লিষ্টদের প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। রবিবার দুপুরে বরিশাল জেলা জেষ্ঠ্য নির্বাচন কর্মকর্তা ও সিটি নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং অফিসার মোঃ হেলাল উদ্দিন খান জানান, বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ১২ নম্বর ওয়ার্ডের দুইটি, ২০ নম্বর ওয়ার্ডের তিনটি, ২১ নম্বর ওয়ার্ডে তিনটি ও ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের তিনটি কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট গ্রহণ করা হবে। তিনি আরও জানান, ইতোমধ্যে প্রাথমিক পর্যায়ের কাজ শেষ হয়েছে। আগামী ২১ জুলাই বা এর কাছাকাছি যে কোন দিন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব) শাহাদৎ হোসেন চৌধুরী বরিশালে আসতে পারেন। তিনি আসার পরই ওই ওয়ার্ডগুলোতে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। তিনি বলেন, কেন্দ্রের দূরত্ব ও ওয়ার্ডে শিক্ষিতের হারসহ বিভিন্ন দিক বিবেচনা করে নির্বাচন কমিশন এ ওয়ার্ডগুলোতে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ ॥ সিটি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থীর ১১ নম্বর ওয়ার্ডের নির্বাচনী ক্যাম্প ভাংচুর করা হয়েছে। সংঘর্ষে কমপক্ষে পাঁচজন আহত হয়েছে। গুরুতর আহত সামছুল হক নামের একজনকে উদ্ধার করে শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হামলা, সংঘর্ষ ও ভাংচুরের ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে নগরীর শেবাচিম হাসপাতালের বিপরীত পাশে। খবর পেয়ে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। আহত সামছুল হক ওই ওয়ার্ডের প্রতিদ্বন্দ্বী কাউন্সিলর প্রার্থী মারুফ আহম্মেদ জিয়ার সমর্থক বলে জানা গেছে। . প্রচারে কামরান ও আরিফুলের স্ত্রীরা সালাম মশরুর, সিলেট অফিস ॥ সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ৭ মেয়র প্রার্থী চষে বেড়াচ্ছেন নগরীর ২৭টি ওয়ার্ডের অলি গলি। প্রার্থীদের প্রচারে সরগরম হয়ে উঠেছে নগরী। প্রার্থীদের পাশাপাশি তাদের পক্ষে প্রচারণায় নেমেছেন দলীয় নেতা কর্মী ছাড়াও প্রার্থীদের পরিবারের সদস্যরা। বিশেষ করে বড় দুই দলের মেয়র প্রার্থী আওয়ামী লীগের বদর উদ্দিন আহমদ কামরানের স্ত্রী আছমা কামরান ও বিএনপির আরিফুল হক চৌধুরীর স্ত্রী শামা হক মাঠে সমানতালে প্রচার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। তারা ভোটারদের কাছে মেয়র প্রার্থী নিজেদের স্বামীর বিগত দিনের ক্ষমতায় থাকাকালীন উন্নয়ন কাজের ফিরিস্তি তুলে ধরে ভোট চাচ্ছেন। ক্ষমতায় গেলে আরও উন্নয়ন করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। মেয়র প্রার্থীদের অতীতের ভুলত্রুটির জন্য তাদের পতœীরা ক্ষমাও চাচ্ছেন। এভাবে পথ চলতে গিয়ে কখনও এক পক্ষের সঙ্গে অপর পক্ষের সাক্ষাতও হয়ে যাচ্ছে প্রচারের মাঠে। সব মিলিয়ে সম্প্রীতির নগরী সিলেটে চলছে প্রার্থীদের সৌহার্দ্যপূর্ণ প্রাচরণা। এলাকা নির্ধারণ করে মেয়র প্রার্থীর স্ত্রীরা মহিলা কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। মেয়র পতœীদের পেয়ে নারী ভোটাররার বেশ আনন্দ উপভোগ করছেন। কাছে পেয়ে তাদের আদর আপ্যায়ন করছেন। আরিফুল হক চৌধুরী ॥ সিলেট মহানগরীর বিভিন্ন জায়গায় ধানের শীষের সমর্থনে জোট মনোনীত মেয়র প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী গণসংযোগ করেছেন। রবিবার সকালে বন্দরবাজারস্থ মধুবন মার্কেট থেকে শুরু করে বন্দরবাজার, লালদিঘীর পাড়, মহাজনপট্টি, কালিঘাট বাজার, কামালগড়, ডাকবাংলো রোডসহ বিভিন্ন জায়গায় গণসংযোগ করেন। এ সময় তিনি সকলের কাছে দোয়া প্রার্থনা করেন এবং উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষায় আগামী সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে তাকে ভোট দেয়ার জন্য অনুরোধ জানান। এ সময় মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, ‘আমি যেখানেই যাচ্ছি সেখানেই অভূতপূর্ব সাড়া পাচ্ছি। সিলেটবাসীর ভালবাসায় আমি মুগ্ধ-অভিভূত। আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, আমার ওপর কি অবিচার হয়েছে তা সিলেটবাসী ভাল করেই জানেন। তারপরও আমি মনোবল হারাইনি। সিলেটের উন্নয়নের স্বার্থে আমি আমার ওপর অন্যায় অবিচার ভুলে গিয়ে প্রতিটি পাড়া মহল্লার উন্নয়নে ঝাঁপিয়ে পড়েছি। নতুন প্রজন্মের জন্য একটি পরিকল্পিত নগরীর গড়ার স্বার্থে প্রয়োজনে আমি নিজের জীবন উৎসর্গ করব।’ বদরুজ্জামান সেলিম ॥ সিলেট সিটি নির্বাচনে সিলেট নাগরিক কমিটি মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থী বদরুজ্জামান সেলিম বলেছেন, আমার কোন লাঠিয়াল বাহিনী নেই। আধিপত্য ও পেশিশক্তি দিয়ে নয়, মানুষের ভালবাসা ও দোয়া নিয়ে সম্প্রীতির সিলেট নগরী গড়তে চাই। আমার বাস মার্কা প্রতীক হচ্ছে সিলেটের সম্প্রীতির প্রতীক। উন্নয়নের পাশাপাশি সিলেটের রাজনৈতিক সম্প্রীতি রক্ষায় আমি দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। তিনি রবিবার সকাল থেকে দিনভর নগরীর বিভিন্ন স্থানে পৃথক গণসংযোগ ও মতবিনিময় কালে উপস্থিত জনতার উদ্দেশে উপরোক্ত কথা বলেন। রবিবার সিলেট নাগরিক কমিটির নেতৃবৃন্দকে নিয়ে বন্দরবাজার মধুবন মার্কেটের সামন থেকে গণসংযোগ শুরু করে করিমউল্লাহ মার্কেট, রংমহল টাওয়ার, সুরমা মার্কেট হয়ে তালতলার বিভিন্ন পয়েন্ট ঘুরে পুনরায় কোর্ট পয়েন্টে এসে সংক্ষিপ্ত মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক শোয়েব আহমদসহ ২৭টি ওয়ার্ডের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গের পাশাপাশি বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন। আবু জাফর ॥ সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে সিপিবি-বাসদ মনোনীত মেয়র প্রার্থী আবু জাফরের মই মার্কার সমর্থনে গণসংযোগ করেছেন। রবিবার সকাল ১১টা থেকে নগরীর মহাজনপট্টি, লাল দিঘীর পার, কালিঘাট, কাষ্টঘর, চালিবন্দরে তিনি গণসংযোগ করেন। গণসংযোগকালে মেয়র প্রার্থী আবু জাফর এর সঙ্গে ছিলেন নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ও বাসদ জেলা সদস্য জুবায়ের আহমদ চৌধুরী সুমন, বাসদ জেলা সদস্য প্রণব জ্যোতি পাল, ছাত্র ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আল কাদেরী জয়, ছাত্র ফ্রন্ট মহানগর সাংগঠনিক সম্পাদক বদরুল আমিন, ছাত্র ইউনিয়ন মহানগর নেতা নাবিল এইচ, তন্ময় পাল, পার্থ প্রতীম তালুকদার, ছাত্র ফ্রন্ট মহানগর নেতা অমৃত মোহন্ত সন্জয় শর্মা, এনামুল হক সামী, সাজ্জাদ হোসাইন, শাম্মা পারভীন, সন্জিত শর্মা প্রমুখ। এ সময় তিনি ধনী-গরিব সকল মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে মই মার্কায় ভোট চান।
×