ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বেলুচিস্তানে আত্নঘাতী বোমায় এমপি প্রার্থীসহ নিহত ১২৮

প্রকাশিত: ০৮:০৪, ১৪ জুলাই ২০১৮

বেলুচিস্তানে আত্নঘাতী বোমায় এমপি প্রার্থীসহ নিহত ১২৮

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ পাকিস্তনে বেলুচিস্তান আওয়ামী পার্টির (বিএপি) বৈঠকে আত্মঘাতী বোমা হামলায় আসন্ন নির্বাচনের প্রার্থী নবাবজাদা সিরাজ রাইসানিসহ অন্তত ১২৮ জন নিহত হয়েছেন। শুক্রবার বিকেলে বেলুচিস্তান প্রদেশের মাসতুংয়ে এ হামলায় দুই শতাধিক মানুষ আহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রাদেশিক সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ফাইজ কাকার। আগামী ২৫ জুলাইয়ের জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে তিন দিনের ব্যবধানে পাকিস্তানে বড় ধরনের প্রাণঘাতী হামলা ঘটল। আইএস এই হামলার দায় স্বীকার করেছে। খবর ডন ও এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের। গত ১০ জুলাই আওয়ামী ন্যাশনাল পার্টির (এএনপি) এক দলীয় বৈঠকে বিস্ফোরণে ২০ জন নিহত হন। শুক্রবার বিকেলের হামলাটির লক্ষ্য ছিল বেলুচিস্তান আওয়ামী পার্টির পিবি-৩৫ (মাসতুং) এলাকার প্রার্থী সিরাজের নির্বাচনী বৈঠক। প্রাদেশিক সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আগা উমর বানগালজাই বলেন, আত্মঘাতী হামলার পর আহতদের দ্রুত ডিস্ট্রিক্ট হেডকোয়ার্টার (ডিএইচকিউ) হাসপাতাল মাসতুং এবং কোয়েটার সিভিল হাসপাতালে নেয়া হয়। গুরুতর আহতদের নেয়া হয় সিএমএইচ কোয়েটা হাসপাতালে। কোয়েটায় নিয়ে যাওয়ার পথেই বেলুচিস্তান আওয়ামী পার্টির নেতা সিরাজ রাইসানির মৃত্যু হয় বলে প্রাদেশিক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান। বেলুচিস্তানের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী নবাব আসলাম রাইসানির ছোট ভাই নবাবজাদা সিরাজ রাইসানি বেলুচিস্তান মুত্তাহিদা মাহাজ (বিএমএম) এর প্রধান ছিলেন। ১৯৭০ এর দশকে দলটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন নবাব ঘোষ বখশ রাইসানি। এ বছর জুনে নবগঠিত বেলুচিস্তান আওয়ামী পার্টির (বিএপি) সঙ্গে যোগ দেয় সিরাজের বিএমএম। এ বছর আপন ভাই নবাব আসলাম রাইসানির বিরুদ্ধেই পিবি-৩৫ মাসতুং আসনে নির্বাচনী প্রার্থী হয়েছিলেন সিরাজ। তার কিশোর বয়সী ছেলে হাকমল রাইসানি ২০১১ সালে এ জেলাতেই গাড়িতে গ্রেনেড হামলায় নিহত হন। সেবার সিরাজ ওই গাড়িতে থাকলেও হামলা থেকে অক্ষতভাবে বেঁচে গিয়েছিলেন। কিন্তু তারপরও প্রাণের হুমকির কোন তোয়াক্কা না করে তিনি রাজনীতি চালিয়ে যান। জুলাইয়ের শুরু থেকেই নির্বাচনী সহিংসতায় এরই মধ্যে বহু মানুষ হতাহত হয়েছে। শুক্রবার সকালের দিকে বান্নু তে খাইবার পাখতুনখাওয়ার সাবেক মুখ্যমন্ত্রী আকরাম খান দুররানির গাড়িবহর লক্ষ্য করে হামলা হয়েছে। হামলায় দুররানি অক্ষত থাকলেও ৩২ জন আহত হয়েছে। এর আগের রাতে খুজদারে বিএপি’র নির্বাচনী কার্যালয়ের কাছে হামলায় দুইজন আহত হয়েছে। ১০ জুলাইয়ের আত্মঘাতী হামলায় ইয়াকুট এলাকায় আওয়ামী ন্যাশনাল পার্টি (এএনপি) নেতা হারুন বিলুরসহ ২০ জন নিহত হন। হামলা চালায় তেহরিক ই তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি)। এর আগে ৭ জুলাইয়ে বান্নু তে এক গাড়িবহরে বোমা হামলায় মুত্তাহিদা মজলিস-ই-আমল (এমএমএ) এর এক প্রার্থীসহ ৭ জন আহত হয়। এছাড়াও, এ মাসের শুরুর দিকে উত্তর ওয়াজিরিস্তানে পাকিস্তান তেহরিক ই-ইনসাফ (পিটিআই) পার্টি প্রার্থীর কার্যালয়ে হামলায় ১০ জন আহত হয়।
×