ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ইয়াবা বিষয়ে শক্ত অবস্থান নেয়া হবে ॥ বিজিবি-বিজিপি বৈঠকে সিদ্ধান্ত

সীমান্তে মাইন পোঁতার অভিযোগ মিয়ানমারের অস্বীকার

প্রকাশিত: ০৫:৫৬, ১৩ জুলাই ২০১৮

সীমান্তে মাইন পোঁতার অভিযোগ মিয়ানমারের অস্বীকার

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সীমান্তে মাইন পুঁতে রাখার অভিযোগ ভিত্তিহীন। তারপরেও বাংলাদেশ-মিয়ানমার স্থল সীমান্তে যদি মাইন থাকে, তাহলে তা যৌথ উদ্যোগে অপসারণ করা হবে। ইয়াবার কারণে শুধু বাংলাদেশ নয়, মিয়ানমারও সমানভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। তাই ইয়াবার বিষয়ে শক্ত অবস্থান নেয়া হবে বলে জানিয়েছে মিয়ানমারের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিজিপি। আর রোহিঙ্গা বিষয়ে বিজিপির বিরুদ্ধে অসহযোগিতা করার যে অভিযোগ উঠেছে, তা অস্বীকার করেছে তারা। বৃহস্পতিবার বিজিবি সদর দফতরে চার দিনব্যাপী বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি ও মিয়ানমারের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিজিপির মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক শেষে বিজিপির তরফ থেকে এমনটাই জানানো হয়েছে। মিয়ানমারের ১১ সদস্যের প্রতিনিধি দলের প্রধান চীফ অব পুলিশ জেনারেল স্টাফ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মায়ো থানের দাবি, মিয়ানমার সিকিউরিটি ফোর্স কখনও মাইন বা আইইডি (ইমপ্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস) ব্যবহার করে না। তারপরেও সীমান্তে মাইন থাকলে তা বিজিবি ও বিজিপি যৌথভাবে অপসারণ করা হবে বলে যৌথ সিদ্ধান্ত হয়েছে। মিয়ানমারও ইয়াবার আগ্রাসনে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এ জন্য তারা ইয়াবার আগ্রাসন বন্ধে কার্যকর উদ্যোগ নেবে। আর রোহিঙ্গা সমস্যার বিষয়ে বিজিপি অসহযোগিতা করছে বলে বাংলাদেশ দাবি করলেও বিজিপির তরফ থেকে তা অস্বীকার করা হয়েছে। রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানের বিষয়ে তারা আন্তরিক বলে বিজিপি প্রধানের দাবি। গত ৯ জুলাই থেকে শুরু হওয়া উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে বিজিবির অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আনিছুর রহমান ১৫ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন। সংবাদ সম্মেলনে মিয়ানমার প্রতিনিধিদের পক্ষে দোভাষীর সহায়তায় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে বিজিবির অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মজিবুর রহমান বলেন, ইয়াবাসহ যে কোন মাদক চোরাচালান রোধে পারস্পারিক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে বিজিপি। মাদকের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযানের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশের মাদক কারবারিদের অনেক গডফাদার মিয়ানমারে আশ্রয় নেয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমারে আশ্রয় নেয়া মাদক কারবারিদের নামের তালিকা মিয়ানমারকে দেয়া হয়েছে। তাদের ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, রোহিঙ্গা সঙ্কটের বিষয়টি অনেক বড়। এটা নিয়ে দুই দেশের সরকারের উচ্চপর্যায়ে আলোচনা হচ্ছে। এ বিষয়ে জাতিসংঘ কথা বলছে। এ বিষয়ে সম্মেলনে তেমন কোন আলোচনা হয়নি। সীমান্ত নিরাপত্তা ও অবৈধ যাতায়াতের বিষয়টি বেশি গুরুত্ব দিয়ে আলোচনা হয়েছে। বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, সম্মেলনে রোহিঙ্গা ইস্যু ছাড়াও সীমান্তে গুলিবর্ষণ, মিয়ানমারের নাগরিকদের অবৈধ অনুপ্রবেশ, সীমান্ত এলাকায় মিয়ানমারের সামরিক হেলিকপ্টার ও ড্রোন চলাচলের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে বিজিবির উর্ধতন কর্মকর্তারা ছাড়াও বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মুহম্মদ মোহসিন রেজা উপস্থিত ছিলেন।
×