ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

যুবসমাজ রক্ষার জন্য মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ॥ মতিয়া চৌধুরী

প্রকাশিত: ০৭:০০, ৩ জুন ২০১৮

যুবসমাজ রক্ষার জন্য মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ॥ মতিয়া চৌধুরী

নিজস্ব সংবাদদাতা, শেরপুর, ২ জুন ॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন যুবসমাজকে রক্ষার জন্য, আগামী বংশধরদের বাঁচানোর জন্য মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন, ঠিক তখন একদল লোক মানবাধিকারের কথা বলে মাঠে নেমেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী। তিনি শনিবার দুপুরে তার নির্বাচনী এলাকা শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার কাপাসিয়া শহীদ স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে অসহায়, গরিব ও দুস্থদের মাঝে শাড়ি, শার্ট, পাজামা ও খেজুর বিতরণকালে এক সমাবেশে ওই মন্তব্য করেন। কৃষিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে তার বক্তব্যে রেস, জুয়া মদ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় গিয়ে সেদিন বিসমিল্লাহ বলে ৩৬০টি মদের লাইসেন্স দিয়েছিলেন। আর সেইসঙ্গে লাকি খানের ঝাঁকি নৃত্য এ দেশে চালু করেন। যুব কমপ্লেক্স করে তিনি যুবকদের বিপথগামী করতে নোংরা নাচ-গান গ্রামে-গঞ্জে চালু করেন। সেই থেকে আমাদের যুবসমাজ একদিকে মাদক ও অন্যদিকে জুয়াসহ নানা ধরনের নেশায় জড়িয়ে পড়ে। মতিয়া চৌধুরী আরও বলেন, ২০১৪ সালের নির্বাচনে খালেদা জিয়ার নির্দেশে পাকিস্তানপন্থীরা যখন বাপের সামনে ছেলের শরীরে পেট্রোল ঢেলে পুড়িয়ে মেরেছে, সেদিন মানবাধিকারের কথা শোনা যায়নি। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, নেশার টাকার জন্য যে ছেলে বাবাকে মেরে ফেলে, সেই বাপের কি মানবাধিকার নেই? ঐশী নেশাগ্রস্ত অবস্থায় বাবা-মা দু’জনকে হত্যা করল। ঐশীর মানবাধিকার আছে। তার বাবা-মার কোন মানবাধিকার নেই? মাদকাসক্তদের হাতে যারা মরে তাদের মানবাধিকার নেই? যারা মারে তাদের জন্য আমাদের কাঁদতে হবে এমন কথা বলে মাদকবিরোধী অভিযান বন্ধ করা যাবে না। শেখ হাসিনা বাপের বেটি, তিনি যা ধরেন তা করে ছাড়েন। ওইসময় মন্ত্রীর সঙ্গে শেরপুরের পুলিশ সুপার (পদোন্নতিপ্রাপ্ত অতিরিক্ত ডিআইজি) রফিকুল হাসান গনি, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক (উপ-সচিব) এটিএম জিয়াউল ইসলাম, খামারবাড়ীর উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আশরাফ উদ্দিন, নালিতাবাড়ী উপজেলা চেয়ারম্যান মোখলেছুর রহমান রিপন, স্পেশল পিপি গোলাম কিবরিয়া বুলু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জিয়াউল হোসেন মাস্টার, সাধারণ সম্পাদক ফজলুল হক, পৌর মেয়র আবু বক্কর সিদ্দিক বাক্কার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
×