নিজস্ব সংবাদদাতা, টাঙ্গাইল, ৩১ মে ॥ মধুপুর ও ধনবাড়ীতে বিদ্যুতের ভেলকিবাজীতে নাকাল হয়ে পড়েছেন এ দুই উপজেলাবাসী। ভয়াবহ লোডশেডিংয়ে গড়ে ২০ ঘণ্টা বিদ্যুত পাচ্ছেন না গ্রাহকরা। অর্থাৎ ২৪ ঘণ্টায় বিদ্যুত পাওয়া যায় মাত্র ৪ ঘণ্টা। তাও আবার রমজানের সেহরি, ইফতার ও তারাবিতে একেবারেই বিদ্যুত মেলে না। ফলে এ এলাকার মানুষের নাভিশ্বাস অবস্থা। লোডশেডিংয়ে ভুক্তভোগী গ্রাহকরা বিভিন্নভাবে প্রতিবাদ করছেন। বিদ্যুতের লোডশেডিং নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও চলছে তোলপাড়। দুই উপজেলার ভুক্তভোগীরা জানান, লোডশেডিংয়ে সরকারের সুনাম নষ্ট করতেই পল্লী বিদ্যুতের এক শ্রেণীর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এ অবস্থার তৈরি করছে। ফলে সরকারের প্রতি মানুষ আস্থা হারাচ্ছে। লোডশেডিং বর্তমানে মধুপুর ও ধনবাড়ীবাসীর নিত্যদিনের সঙ্গী। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রায় ২০ ঘণ্টাই বিদ্যুত থাকে না।
যে কারণে মানুষ প্রতিনিয়তই ভোগান্তির স্বীকার হচ্ছে। পৌরসভায় প্রতিনিয়ত ৪/৫ ঘণ্টা এবং ইউনিয়নে ৩/৪ ঘণ্টা বিদ্যুত দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্তিতে ফেলছে। ফলে দেখা যাচ্ছে, যে ছাত্রছাত্রীরা পড়াশোনা ঠিকভাবে করতে পারছে না। সারাদিন রোজা রেখে পরিশ্রম করে বাসায় এসে একটু বিশ্রামও নিতে পারছে না। লোডশেডিং থাকার পরও বিল দিতে হচ্ছে অনেক বেশি। ফলে বিদ্যুত বিভাগ হাতিয়ে নিচ্ছে অনেক টাকা। বিদ্যুত সাশ্রয়ে তিনবার পুরস্কার পেয়ে মধুপুরের ডিজিএম জনগণকে আরও বেশি কষ্ট দিয়ে আবারও পুরস্কারের জন্য বর্তমান সরকারের ক্ষতি করছে। তাতে দেখা যাচ্ছে সরকারের প্রতি আস্থা হারাচ্ছে সাধারণ জনগণ। মধুপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বাপ্পু সিদিক্কী বলেন, বিদ্যুতের পর্যাপ্ত উৎপাদন থাকা সত্ত্বেও বিদ্যুত বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিদ্যুত ব্যবস্থাপনায় অদক্ষতার কারণেই এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। আজহা অফসেট প্রেসের পরিচালক সিদ্দিক হোসেন জানান, বিদ্যুতের ভেলকিবাজিতে আমরা দিশাহারা। লোডশেডিংয়ের কারণে কাজ তো করতে পারি না। অতিরিক্ত ইলেট্রনিক্স যন্ত্রপাতিও নষ্ট হচ্ছে।