ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

মাঝ পদ্মায় ঝুঁকি নিয়ে লঞ্চ থেকে স্পীডবোটে যাত্রী তোলা হচ্ছে

প্রকাশিত: ০৬:৩৬, ৩০ মে ২০১৮

মাঝ পদ্মায় ঝুঁকি নিয়ে লঞ্চ থেকে স্পীডবোটে যাত্রী তোলা হচ্ছে

নিজস্ব সংবাদদাতা, মাদারীপুর, ২৯ মে ॥ শিবচর কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া নৌরুটে কোন নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মাঝ পদ্মায় লঞ্চ থেকে স্পীডবোটে যাত্রী তোলা হচ্ছে। স্বল্প ভাড়া ও অল্প সময়ে পদ্মানদী পাড়ি দেবার সুযোগ হাতছাড়া করতেও রাজি নন অনেক যাত্রী। প্রতিদিন কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া নৌরুটে দেখা যায় স্পীডবোটে তোলার এ দৃশ্য। জানা গেছে, কাঁঠালবাড়ি ও শিমুলিয়া ঘাট থেকে লঞ্চ ছেড়ে একটু দূরে গেলেই ফিরতি স্পীডবোট লঞ্চের পেছনে এসে স্বল্প ভাড়ায় যাত্রী তোলার জন্য হাঁকডাক শুরু করে। এতে অনেক যাত্রী পদ্মানদীর মধ্য থেকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে স্পীডবোটে উঠে নদী পারাপার হচ্ছে। কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া নৌরুটে ৮৭ লঞ্চ, ১৭ ফেরি ও ২ শতাধিক স্পীডবোট নিয়মিত চলাচল করে। এর মধ্যে স্বল্প সময়ে পদ্মানদী পার হওয়ার অন্যতম নৌযান স্পীডবোট যাত্রীদের কাছে বেশ জনপ্রিয়। এক ঘাটের যাত্রী অন্য ঘাটের স্পীডবোটে তোলার নিয়ম না থাকায় ট্রিপের যাত্রী নামিয়ে খালি যাওয়ার সময় স্পীডবোট চালক মাঝ পদ্মায় বা ঘাট থেকে ছেড়ে যাওয়া লঞ্চ থেকে যাত্রী তুলে পারাপার করে আসছে। এ ক্ষেত্রে ভাড়া কম হওয়ায় অনেক যাত্রী লঞ্চের পেছন থেকে ঝুঁকি নিয়ে স্পীডবোটে উঠছেন। স্পীডবোটে উঠতে যাওয়া যাত্রী রুবেল বলেন, ‘প্রায় সময়ই নদীর মধ্য থেকে স্পীডবোটে উঠে পারাপার হয়ে থাকি। এতে ভাড়াও কম লাগে আর তাড়াতাড়ি পার হওয়া যায়। তবে নদীর মধ্য থেকে স্পীডবোটে উঠা কিছুটা ঝুঁকিপূর্ণ।’ নদীর মধ্য থেকে এভাবে স্পীডবোটে উঠার বিরোধিতা করে অপর এক লঞ্চ যাত্রী আসলাম বলেন, ‘আসলে যাত্রীদের খামখেয়ালিপনা রয়েছে। ঝুঁকি জেনেও নদীর মাঝ থেকে এভাবে স্পীডবোটে উঠে অনেককেই পারাপার হতে দেখছি। কোনভাবে পা পিছলে যদি পড়ে যায় সেক্ষেত্রে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। আমাদের সচেতন হওয়া উচিত।’ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক স্পীডবোট চালক বলেন, ‘শিমুলিয়া থেকে কাঁঠালবাড়ি ঘাটে যাত্রী নিয়ে আসার পর কাঁঠালবাড়ি ঘাট থেকে খালি বোট নিয়ে ফেরৎ যেতে হয়। তেলের খরচ উঠানোর জন্য মাঝে-মধ্যে লঞ্চ থেকে কম টাকায় যাত্রী তুলি।’ এ ব্যাপারে কাঁঠালবাড়ি ঘাটের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর আক্তার হোসেন বলেন, ‘নদীর মধ্য থেকে যাত্রী তুললে আসলে আমাদের কিছু করার থাকে না। বিষয়টি পুলিশকেও আমরা জানিয়েছি।’ শিবচর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ইমরান আহমেদ বলেন, ‘ঘাটের কাছাকাছি থেকে যাত্রী তোলায় আমরা পাবলিক বোট নিয়ে তাদের ধরেছি। ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাদের শাস্তিও দিয়েছি। নদীর মধ্য থেকে যাত্রী তুললে আমরা অসহায়।’
×