ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

মহাস্থানগড়ের জাহাজঘাটায় খনন শুরু

প্রকাশিত: ০৪:২১, ১৯ মে ২০১৮

মহাস্থানগড়ের জাহাজঘাটায়  খনন শুরু

স্টাফ রিপোর্টার, বগুড়া অফিস ॥ কাউকে না জানিয়ে মহাস্থানগড় জাদুঘরের বিপরীতে জাহাজঘাটায় খনন কাজ করেছে প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতর। শুরু হয়েছে ১০ মে। কতদিন চলবে তা জানাতে পারেননি প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতরের বগুড়া আঞ্চলিক অফিস। উল্লেখ্য, প্রায় এক মাস আগেই মহাস্থানগড়ের বৈরাগীর ভিটায় বাংলাদেশ-ফ্রান্স যৌথ প্রত্ন খনন কাজ শেষ হয়েছে। ওই খননে প্রাচীন কীর্তির মন্দিরের অস্তিত্বের স্ট্রাকচার, প্রাচীন মৃৎপাত্রের টুকরো আর পাত কুয়ার কাঠামো পাওয়া যায়। যা জানায় ওই অধিদফতরের কর্মকর্তাগণ। এবার হঠাৎ করেই খনন কাজ শুরু হয়েছে প্রাচীন পুন্ড্রনগরের উত্তর পূর্ব কোনায়। স্পটটির নাম জাহাজঘাটা। কেন এই এলাকার নাম জাহাজঘাটা হলো, প্রাচীন আমলে জাহাজ ভিড়তো কি না তা জানা যায়নি। তবে বছর কয়েক আগে প্রাচীন এই এলাকায় খনন কাজে ঘাটে জাহাজ আটকানোর একটি নোঙর (এ্যাংকর) পাওয়া যায়। ধারণা করা বড় ভূকম্পনে ধ্বংসের আগে করতোয়া নদী সংযোগের বারাণসী বিলে জাহাজ বা বড় নৌকা ভিড়তো। তা থেকেই জাহাজঘাটা নাম হতে পারে, এমনটি ধারণা মাত্র। এই জাহাজঘাটাতেই এখন খনন চলছে। প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতরের আঞ্চলিক পরিচালক নাহিদ সুলতানা জানান, এই জাহাজঘাটায় আগেও প্রত্ন খনন হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতরের অর্থায়নে ইতিহাস অনুসন্ধানে খনন করা হচ্ছে। খননে শুক্রবার পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য কিছু পাওয়া যায়নি। কেবল ঘাস সরিয়ে ভিতরে ঢোকা হচ্ছে। এই এলাকা যে প্রাচীন আমলে জনবসতি ছিল তার নিদর্শন পাওয়া গেছে এমনটি জানিয়ে আঞ্চলিক পরিচালক বললেন, খননে পাওয়া মাটির পাত কুয়ার কাঠামোগুলো তার প্রমাণ বহন করে। খননকারীগণ তাদের খনন অভিজ্ঞতায় আশাবাদী জাহাজঘাটার খননে হয়তো বড় কিছু প্রত্ন নিদর্শন পাওয়া যাবে।
×