ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

রোহিঙ্গাদের জন্য আরও ৪৪ মিলিয়ন ডলার দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশিত: ০৫:৫৮, ১৬ মে ২০১৮

রোহিঙ্গাদের জন্য আরও ৪৪ মিলিয়ন ডলার দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র

রোহিঙ্গাদের জন্য ৪৪ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (ইউএসআইডি)। মিয়ানমারে জাতিগত নিধনের শিকার রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী ও এই সঙ্কটে ক্ষতিগ্রস্তদের জরুরী প্রয়োজনে মানবিক সহায়তা হিসেবে এই অতিরিক্ত ৪৪ মিলিয়ন ডলার সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। ২০১৭ সালের ২৫শে আগস্ট থেকে সৃষ্ট এই সঙ্কটে মিয়ানমার ও বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তার পরিমাণ দাঁড়াল ২০৭ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি এবং ২০১৬ সালের অক্টোবর থেকে মিয়ানমার থেকে আগত বাস্তুচ্যুত জনগোষ্ঠীর জন্য মোট মানবিক সহায়তার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৯৯ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি। ইউএসআইডি প্রশাসক মার্ক গ্রীন কক্সবাজারে কুতুপালং রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির পরিদর্শনকালে এই নতুন অর্থসহায়তার ঘোষণা দেন। -বাসস। বিশ্বের সর্ববৃহৎ মানবিক দাতা হিসেবে, যুক্তরাষ্ট্র মিয়ানমার-বাংলাদেশ সীমান্তের দু’পাশে জরুরী প্রয়োজন মেটাতে সক্রিয়ভাবে সাড়া দিচ্ছে। এই তহবিল ঘোষণার ফলে গত বছরের আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত এই সঙ্কটে ইউএসআইডি’র মোট সহায়তার পরিমাণ দাঁড়াল ১০০ মিলিয়ন ডলারে। এই নতুন তহবিলের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে যে সহায়তা প্রদান করবে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে কক্সবাজার ও এর পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে বসবাসরত শরণার্থীদের জন্য জরুরী খাদ্য সহায়তা। এর মধ্যে রয়েছে সাধারণ বণ্টনের জন্য জরুরি খাদ্য, তীব্র পুষ্টিহীনতারোধে বিশেষায়িত খাবার এবং ভাউচার, যা ব্যবহার করে শরণার্থীরা স্থানীয় বাজার থেকে সুলভে খাদ্যসামগ্রী ক্রয় করতে পারবে। এছাড়াও এই তহবিলের মাধ্যমে মিয়ানমারের রাখাইন, শান ও কাচিন রাজ্যের চলমান সংঘাতের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত লক্ষাধিক মানুষের জন্য জরুরী খাদ্য ও পুষ্টি সহায়তা, আশ্রয়, স্বাস্থ্যসেবা এবং অন্যান্য অত্যাবশ্যকীয় সাহায্য প্রদান করা হবে। ২০১৭ সালের আগস্ট থেকে যুক্তরাষ্ট্র প্রদত্ত ২০৭ মিলিয়ন ডলারের মধ্যে, যুক্তরাষ্ট্র পররাষ্ট্র দফতরের পপুলেশন, রিফিউজিস এবং মাইগ্রেশন (পিআরএম) ব্যুরো প্রায় ১২৮ মিলিয়ন ডলারের মানবিক সহায়তা প্রদান করেছে রোহিঙ্গা শরণার্থী ও বাংলাদেশে তাদের আশ্রয় দেয়া স্থানীয় জনগণের জন্য। যেসব মানবিক সহায়তা প্রদানকারী সংস্থা পিআরএম-এর এই অর্থসহায়তা পেয়েছে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে ইউএনএইচসিআর, আইওএম, ইউনিসেফ এবং রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট। সংস্থাগুলো এই অর্থ সহায়তা এই সঙ্কটের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীকে সুরক্ষা, জরুরী আশ্রয়, নিরাপদ পানি, পরিষ্কার-পরিচ্ছনতা, স্বাস্থ্যসেবা ও মানসিক স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে ব্যবহার করছে। এই সহায়তা আসন্ন বর্ষা ও ঘূর্ণিঝড়ের মৌসুমে জীবনহানি থেকে রক্ষা, আশ্রয় ও অত্যাবশ্যকীয় সেবা নিশ্চিত করতে শরণার্থীদের প্রস্তুতি গ্রহণে সাহায্য করছে।
×