স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর ॥ পরিবেশবান্ধব ও আধুনিক পদ্ধতিতে সঠিক আগাছা ব্যবস্থাপনা কৌশল প্রয়োগ করে মাঠ ফসলের প্রায় ১৮-২২ ভাগ ফলন বৃদ্ধি করা সম্ভব। শনিবার গাজীপুরে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটে (ব্রি) অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ আগাছা বিজ্ঞান সমিতির ৬ষ্ঠ সম্মেলনে ‘মাঠ ফসলের আগাছা ব্যবস্থাপনা: বর্তমান অবস্থা ও ভবিষ্যত করণীয়’ শীর্ষক আলোচনায় এ তথ্য জানানো হয়।
বাংলাদেশ আগাছা বিজ্ঞান সমিতির সভাপতি ড. রফিকুল ইসলাম ম-লের সভাপতিত্বে সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ গিয়াস উদ্দিন মিয়া। সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. আবুল কালাম আজাদ, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক (প্রশাসন ও সাধারণ পরিচর্যা) ড. মোঃ আনসার আলী ও এসিআই এগ্রি বিজনেসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. এফ এইচ আনসারী। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ব্রির কৃষিতত্ত্ব বিভাগের উর্ধতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এবং বাংলাদেশ আগাছা বিজ্ঞান সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. মোঃ খায়রুল আলম ভূঁইয়া। সম্মেলনে বক্তারা জানান, আগাছা ব্যবস্থাপনা ফসল উৎপাদন প্রক্রিয়ার অবিচ্ছেদ্য অংশ। কারণ আগাছা মাঠ ফসলের শক্র। এটি ধানসহ অন্যান্য ফসলের খাদ্য, আলো, বাতাস ও পানিতে ভাগ বসিয়ে শস্যের স¦াভাবিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত করে। আগাছার উপদ্রবের ফলে মাঠ ফসল লিকলিকে, লম্বা, দুর্বল ও হলদে হয়ে যায় এবং কুশির সংখ্যা কমে যায়। এটি ফসলে পোকামাকড় ও রোগ বালাইয়ের আক্রমণ বাড়িয়ে দেয়।