ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

টাঙ্গাইলে বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধে ভাঙ্গন ॥ হুমকিতে ফসলী জমি

প্রকাশিত: ০৪:৪৫, ১১ মে ২০১৮

টাঙ্গাইলে বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধে ভাঙ্গন ॥ হুমকিতে ফসলী জমি

নিজস্ব সংবাদদাতা, টাঙ্গাইল, ১০ মে ॥ টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার রামেশ্বর কামার্থী গ্রামে ৯০ দশকের ৪৭ কিলোমিটার চারান-লক্ষ্মীবাসা বন্যা নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের বাঁধ ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। এতে প্রায় এক শ’ একর ফসলী জমি হুমকির মুখে রয়েছে। যেকোন মুহূর্তে বাঁধটি ভেঙ্গে যেতে পারে বলে আশঙ্কায় রয়েছে এলাকাবাসী। বাঁধটি ভেঙ্গে গেলে প্রায় এক শ’ একর ফসলি জমি নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে এলাকাবাসী জানান। বাঁধভাঙ্গন থেকে রক্ষা পেতে পরিত্রাণ চায় এলাকাবাসী। ওই গ্রামের কৃষক হায়দার আলী জানান, আমার ৬০ শতাংশ ফসলি জমি রয়েছে। ওই জমির ফসলে আমার সংসার চলে। বাঁধ ভেঙ্গে গেলে ফসল নষ্ট হলে আমার সংসার চলবে না। ইতিপূর্বে এলাকাবাসীর সহায়তায় তিনবার বাঁধ ভাঙ্গন প্রতিরোধ করা হয়েছে। স্থানীয় প্রভাবশালীরা ওই বাঁধসংলগ্ন ঝিনাই নদী থেকে প্রশাসনকে ম্যানেজ করে বালু উত্তোলন করায় বাঁধটি ভাঙ্গনের হুমকির মুখে পড়ে। বাঁধের তিনভাগের দুইভাগ ইতিমধ্যেই ভেঙ্গে গেছে। বর্ষার মৌসুমে বাঁধটি পুরোটাই ভেঙ্গে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই বর্ষার মৌসুমের আগেই বাঁধটি মেরামত করা হলে প্রায় এক শ’ একর ফসলি জমি ও তিন থেকে চার শ’ কৃষকের পরিবার রক্ষা পাবে। কৃষক আব্দুল জলিলের স্ত্রী রায়না মতি বলেন, এই চরায় আমার জমি রয়েছে। এই জমির ফসলেই সংসার ও সন্তানদের লেখাপড়ার খরচ চলে। বাঁধটি আমনেরা বাইন্দা দেইন। স্থানীয় কৃষক সুহেল মিয়া জানান, গতবারও বাঁধটি ভাঙছিল। পরে আমরা এলাকাবাসী মাটির বস্তা ও টিন দিয়ে বান দিছিলাম। আমরা এই ভাঙ্গন থেকে মুক্তি চাই। কৃষক হাসমত আলী জানান, এই ভাঙ্গনের জন্য ফসল রক্ষা করতেই দিন-রাত আতঙ্কে থাকতে হয়। কুনসুম জানি ভাইঙ্গা যায়। স্থানীয়রা অনেকেই জানান, এই এক শ’ একর ফসলি জমি রক্ষা করতে বর্ষা মৌসুমের আগেই বাঁধটি মেরামত করা প্রয়োজন। এ ব্যাপারে তারা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এ বিষয়ে টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শাজাহান সিরাজ জানান, চারান-লক্ষ্মীবাসা বন্যা নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের বাঁধটি ভাঙ্গনের কথা শুনেছি। লোক পাঠানো হবে। ভাঙ্গনটি দেখে আগামী বাজেটে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
×