বজ্রপাতে স্কুলছাত্রী ও কৃষকসহ ৮ জনের মৃত্যু

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ বজ্রপাতে দেশের বিভিন্নস্থানে কমপক্ষে আটজনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে শেরপুরে স্কুলছাত্রী ও কৃষকসহ চারজন, হবিগঞ্জে দুই কৃষক এবং মৌলভীবাজারে মৎস্যজীবীসহ দুজন নিহত হন। এ ছাড়া সিরাজগঞ্জে বজ্রপাতে ১০টি মহিষ মারা যায়। সোমবার এসব মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। খবর স্টাফ রিপোর্টার ও নিজস্ব সংবাদদাতাদের। শেরপুরের বিভিন্নস্থানে বজ্রপাতে স্কুলছাত্রী ও কৃষকসহ ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার সকালে বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের সময় পৃথক ঘটনায় তাদের মৃত্যু হয়। বজ্রপাতে যারা প্রাণ হারিয়েছেন তারা হচ্ছেন সদর উপজেলার হালগড়াচর গ্রামের আবু শেখের ছেলে কৃষক আব্দুর রহিম (৫০), নকলা উপজেলার মুচারচর গ্রামের ওয়াহেদ আলীর ছেলে দিনমজুর শহীদুল ইসলাম (৩২), শ্রীবর্র্দী উপজেলার বকচর গ্রামের মৃত জমির উদ্দিনের ছেলে কৃষক কুব্বাত আলী (৬০) ও নালিতাবাড়ী উপজেলার পাগারিয়া মির্জাবাজার এলাকার হাফেজ সোহেল মিয়ার মেয়ে স্কুলছাত্রী শারমিন আক্তার (১৫)। ওসব ঘটনায় জনমনে আতঙ্ক বিরাজ করছে। জানা যায়, সোমবার সকাল ১০টার দিকে মুষলধারে বৃষ্টির সময় সদর উপজেলার হালগড়াচর গ্রামের কৃষক আব্দুর রহিম ক্ষেতে ধান কাটছিলেন। ওইসময় আকস্মিক বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। প্রায় একই সময় শ্রীবর্দী উপজেলার বকচর গ্রামের বাসিন্দা কুব্বাত আলী ক্ষেতে ধান কাটছিলেন। ওই সময় আকস্মিক বজ্রপাতে আক্রান্ত হয়ে গুরুতর আহত হন তিনি। আশঙ্কাজনক অবস্থায় এলাকাবাসী উদ্ধার করে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়েগেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। হবিগঞ্জ ॥ বজ্রপাতে বানিয়াচঙ্গের বৃন্দাচিত্তা হাওরে দুই ধান কাটা শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এরা হলো কবিরপুর গ্রামের মৃত নান্দু বৈষ্ণবের পুত্র অধির বৈষ্ণব (২৭) ও তেলঘরি গ্রামের বীরশ্বর বৈষ্ণবের পুত্র বসু বৈষ্ণব (৩২)। মৌলভীবাজার ॥ মৌলভীবাজারে বজ্রপাতে এক কৃষক ও এক মৎস্যজীবীর মৃত্যু হয়েছে। এরা হলো সদর উপজেলার আবু সামাদ এবং শ্রীমঙ্গলের মফিজ মিয়া। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও তিনজন। সিরাজগঞ্জ ॥ কাজিপুরে নাটুয়ারপাড়া ইউনিয়নের ঘোড়াগাছা চরে সোমবার সকালে বজ্রপাতে ১০টি মহিষ মারা গেছে। এ সময় মহিষের বাথান দেখাশোনার দায়িত্বে থাকা দুই রাখাল আহত হন। আহত রাখাল নিবারণ ঘোষ ও নিমাই ঘোষকে বগুড়া জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।